Uncategorized

টাইট-ফিট ও ফ্যাশানেবল বোরকা

142200937 1147756798977197 8538191730857754076 n

প্রশ্ন: আমি আগে একটু টাইট-ফিট ও ফ্যাশানেবল বোরকা ইউজ করতাম। এখন করি না আলহামদুলিল্লাহ। এখন ওই বোরকাগুলো কি আমি মানুষকে দান করতে পারবো? না কি ওরা পরে ঘুরে বেড়ালে আমারও গুনাহ হবে?উত্তর:মহান আল্লাহ আপনাকে দীনের সঠিক বুঝ দান করেছেন এই জন্য অভিনন্দন। তিনি যেন আপনার মধ্যে তাকওয়া-পরহেজগারিতা আরও বৃদ্ধি করে দেন। আমীন।অতঃপর প্রত্যেক মুসলিম নারীর জানা আবশ্যক যে, মহান আল্লাহ তাআলা নারীদেরকে তাদের সৌন্দর্য কেবল স্বামী অথবা মাহরাম বা বিবাহ নিষিদ্ধ পুরুষ ছাড়া পরপুরুষদের সামনে প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّـهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ”তারা (নারীরা) যেন-যা সাধারণত: প্রকাশমান তা ছাড়া-তাদের সৌন্দর্য (শরীর, পোশাক, অলংকার ইত্যাদির) প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নি পুত্র, স্ত্রীলোক, অধিকারভুক্ত বাদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপনাঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পাদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর নিকট তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (সূরা নূর: ৩১)সুতরাং টাইট ফিট, দৃষ্টি আকর্ষণ করার মত কারুকার্য খচিত, কালার ফুল ও ফ্যাশানেবল বোরকা পরা কোন তাকওয়াবান নারীর জন্য বৈধ নয়। কারণ এমন চাকচিক্য ময় ও সৌন্দর্য বর্দ্ধক বোরকা পরপুরুষদের দৃষ্টি কাড়ে এবং নারীকে তাদের সামনে আরও মহনীয় করে ফুটিয়ে তোলে অথচ বোরকার উদ্দেশ্য হল, পরপুরুষ থেকে নিজের সৌন্দর্য আবৃত রাখা।তাই তো জনৈক আলেম বলেছেন, “এসব আকর্ষণীয়, টাইট-ফিট ও কারুকার্য খচিত বোরকাকে আলাদা বোরকা দিয়ে ঢাকা প্রয়োজন।” তিনি যথার্থই বলেছেন।যাহোক, ইসলামের বিধান অনুযায়ী, যে বোরখা পরা আপনার জন্য জায়েজ নেই তা অন্যের জন্যও জায়েজ নেই। সুতরাং নিজে পাপ থেকে বাঁচার জন্য যদি তা অন্য কোন নারীকে দেন (যে তা পরিধান করে পরপুরুষদের সামনে চলাফেরা করবে) তাহলে প্রকারান্তরে আপনি তার সামনে পাপের রাস্তা খুলে দিলেন-যার দায়ভার আপনার উপরও বর্তাবে। তা ছাড়া এটি গুনাহের কাজে সহযোগিতার শামিল-যা ইসলামে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন,وَتَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ وَلَا تَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡعُدۡوَٰنِۚ“তোমরা পুণ্য ও তাকওয়ার কাজে পরস্পরকে সাহায্য করো। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে তোমরা একে অপরকে সাহায্য করো না।” [সূরা আল মায়িদা: ২](আল্লাহ ক্ষমা করুন। আমিন)সুতরাং এ ধরণের বোরকা বাড়িতে সালাতের সময়, কেবল ফ্যাশন হিসেবে নারী অঙ্গনে (যদি তা অতিরিক্ত টাইট ফিট না হয়) পরিধান করবেন অথবা সম্ভব হলে তা অন্য কোন প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করবেন। কিন্তু তা যেন ছিঁড়ে-ফেড়ে বা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নষ্ট করে না ফেলা হয় সে চেষ্টা করা উচিত।মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ইসলামের সুরক্ষা মূলক নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন-যাপনের তাওফিক দান করুন। আমিন।আল্লাহু আলাম।▬▬▬▬◍◯◍▬▬▬▬উত্তর প্রদানে:আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানীদাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *