“তাদাব্বুরসহ অল্প পরিমাণ তিলাওয়াত করা তাদাব্বুরহীন বেশি তিলাওয়াতের চেয়ে উত্তম”
কথাটার যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায় সালাফগণের থেকে,
এক ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রা.) কে বললো,”আমি খুব দ্রুত কুরআন তিলাওয়াত করি। তিন দিনে এক খতম দিই।”
তিনি তখন তাকে বললেন,”তুমি যেভাবে তিলাওয়াত করো তার তুলনায় ধীরে-সুস্থে,চিন্তা-ভাবনার সাথে এক রাতে শুধু সূরা বাক্বারা তিলাওয়াত করা আমার কাছে বেশি প্রিয়। ” [ফাযাইলুল কুরআন, আবু উবাইদ:১৫৭]
ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেছেন,”চিন্তাভাবনাসহ কুরআনের একটি আয়াত তিলাওয়াত করা চিন্তাভাবনা ছাড়াই একখতম তিলাওয়াতের চেয়ে অধিক উত্তম। এটি অন্তরের জন্য বেশি উপকারী এবং ঈমানবৃদ্ধি ও তিলাওয়াতের স্বাদ আস্বাদনের পক্ষে সহায়ক। সালাফদের রীতি এমনটাই ছিলো। তাদের কেউ কেউ একই আয়াত সকাল পর্যন্তও বারবার তিলাওয়াত করতেন। “[মিফতাহু দারিস সাআদাহ,ইবনুল কায়্যিম:১/৫৩৫]
তিনি(রহ.) আরও বলেন,” অর্থ বুঝে ও চিন্তাভাবনার সাথে একটি সূরা তিলাওয়াত করা এবং এর প্রতি পূর্ণরূপে মনোনিবেশ করা আল্লাহর কাছে দ্রুত এক খতম তিলাওয়াতের চেয়ে বেশি প্রিয়–যদিও এক খতমের সাওয়াব পরিমাণে বেশি হয়ে থাকে। এমনিভাবে তনু-মন একসাথে করে আল্লাহর প্রতি পুরোপুরি মনোযোগী হয়ে দুই রাকাত সালাত আদায় করা এমন বৈশিষ্ট্যহীন দুইশত রাকাত সালাতের চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়–যদিও রাকাত সংখ্যার বিচারে এর সাওয়াবের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। [আল-মানারুল মুনীফ,ইবনুল কায়্যিম:২৯]
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন,”তোমরা কুরআন তিলাওয়াত করো এবং এর মাধ্যমে অন্তরকে আন্দোলিত রাখো। তোমাদের লক্ষ্য যাতে কেবলই শেষ সূরা না হয়। “[শুআবুল ঈমান,বাইহাকী:৩/৪০৭]
আর কি লাগে কুরআনের তাদাব্বুর করার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে?
[লেখাগুলো ” যিকিরে ফিকিরে কুরআন-শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ(হাফি.) “এই বই থেকে নেয়া। বইটি প্রকাশ করেছে “মাকতাবাতুল আসলাফ”। মুদ্রিত মূল্য মাত্র ৬০/-। ]