Uncategorized

নামাজ না পড়েও ঈমান ঠিক থাকে কি!?

122028269 1051911678580154 6012833084375174321 o

▌নামাজ না পড়েও ঈমান ঠিক থাকে কি!?

.প্রায়শই দেখি অনেক বেনামাজি নামাজ পড়েনা। তাদেরকে নামাজ পড়ার কথা বললে জবাবে তারা বলে, ‘নামাজ না পড়লে কি হবে আমার ঈমান ঠিকই আছে।’

আসলেই কি তাই! নামাজ না পড়লে সত্যিই ঈমান ঠিক থাকে কি? চলুন দেখি কোরআন হাদিস কি বলে!
.
ঈমান হচ্ছে—

► অন্তরে বিশ্বাস,
► মুখে স্বীকৃতি,
► কর্মে (আমলে) বাস্তবায়ন।
এই তিনটার সমন্বয়ে ঈমান গঠিত হয়। এই তিনটা থেকে কোন একটার অনুপস্থিত থাকলে অটোমেটিকলি ঈমান ভেঙ্গে যায়।
[ফাতহুল বারী ১/৬১]

.সালাত (নামাজ) হচ্ছে ইসলামের পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে একটি। একজন মানুষের ইসলাম কবুল করার পর সর্বপ্রথম তার উপর যে কাজটি ফরজ হয় তা হচ্ছে পাঁচওয়াক্ত সালাত আদায় করা। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে একওয়াক্ত সালাত ত্যাগ করে সে কুফরি করে।

রাসূল (ﷺ) বলেছেন,

بَيْنَ الْعَبْدِ وَبَيْنَ الْكُفْرِ تَرْكُ الصَّلَاةِ.
“(মুমীন) বান্দা ও কাফিরের মাঝে পার্থক্যই হচ্ছে সালাত পরিত্যাগ করা।”
[সহিহ মুসলিম: ৮২, মিশকাত: ৫৬৯]

রাসূল ﷺ আরো বলেছেন,

لَيْسَ بَيْنَ الْعَبْدِ وَالشِّرْكِ إِلاَّ تَرْكُ الصَّلاَةِ فَإِذَا تَرَكَهَا فَقَدْ أَشْرَكَ ‏.
” মু’মিন বান্দা ও শিরক-এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সালাত বর্জন করা। অতএব যে ব্যক্তি সালাত ত্যাগ করলো, সে অবশ্যই শিরক করলো।”
[ইবনে মাজাহ: ১০৮০]

সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন,
“যে ব্যক্তি নামাজ ত্যাগ করে তার দ্বীনই নেই।”
[ইবনে আবী শায়বা, সহিহ তারগীব: ৫৭১]

সাহাবি আবু দারদা (রাঃ) বলেন,
“যার নামাজ নেই তার ঈমান-ই নেই।”
[ইবনে আব্দুল বার, প্রমুখ, সহীহ তারগীব: ৫৭২]

.যেখানে রাসূল (ﷺ) নামাজ ত্যাগ করাকে কুফরী বলেছেন, যেখানে সাহাবায়ে কেরামগন বলেছেন বেনামাজির দ্বীন-ই নেই, বেনামাজির ঈমান নেই। সেখানে আপনি কোন মুখে বলেন, ‘নামাজ পড়ি না তো কি হয়েছে, আমার ঈমান ঠিক আছে।’ এটা নিজের সাথেই প্রতারনা, নিজেকে নিজেই ধোঁকা দেওয়া নয় কি!?

Leave a Reply

Your email address will not be published.