👉কখনো কখনো জীবনটাকে অসহ্য মনে হতে পারে।
চারপাশের এত পরীক্ষা দূর্বিষহ লাগতে পারে। মনে হতে পারে জীবন আর চলছে না।
প্রতিটি মূহুর্ত যেন বুকের উপর বিশাল পাথর হয়ে আসে।
অপেক্ষার দিনগুলো বড্ড ক্লান্তিকর মনে হয়। তখন কী করা?
দাঁতে দাঁত চেপে সবর করতে হবে।
মহান রবের নিকট ফরিয়াদ করে যেতে হবে।
এমনিতে চোখের পানি ফেলে কোনো লাভ নেই।
যদি আল্লাহর দরবারে বিনয়ে বিগলিত হয়ে অশ্রু সংবরন করা যায় তবে এর ফায়দা আছে৷
অন্তর হালকা হবে, গোনাহ মাফ হবে, না পাওয়াগুলো পাওয়া সহজ হবে।
ধৈর্যের পরীক্ষা যুগে যুগে মুমিনদের দিয়ে যেতে হয়েছে।
আল্লাহ্ তা’আলা ঘোষণা দিয়েছেন তিনি অবশ্যই আমাদের পরীক্ষা করবেন।
পবিত্র কোরআনে তিনি বলেন,
وَ لَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَیْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَ الْجُوْعِ وَ نَقْصٍ مِّنَ الْاَمْوَالِ وَ الْاَنْفُسِ وَ الثَّمَرٰتِ وَ بَشِّرِ الصّٰبِرِیْنَ.
“আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব (কখনও) ভয়-ভীতি, (কখনও) ক্ষুধা দ্বারা এবং (কখনও) জানমাল ও ফলফসলের ক্ষয়-ক্ষতি দ্বারা, আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। -সূরা বাকারা (২) : ১৫৫”
অবশ্যই আমাদের পরীক্ষা করা হবে।
যে যে অবস্থানে আছি তাকে সে অবস্থানে রেখে পরীক্ষা করা হবে।
আর এই পরীক্ষায় ধৈর্যশীলদের জন্য কী আছে?
সুসংবাদ!
কিসের সেটি?
সুবিশাল জান্নাতের।
যেখানে কারো মন খারাপ হবে না, যেখানে কারো সবর করতে হবে না!
সুতরাং যখন মনে হবে আর কোনো উপায় নেই। আর ধৈর্য ধরতে পারছেন না৷ কোরআন খুলে বসে পড়ুন। অর্থসহ তিলাওয়াত করুন। জানার চেষ্টা করুন আপনার রব আপনাকে কী বলছে।