হাদিস নং ০১ঃ
“দেবর মৃত্যু সমতুল্য।
মৃত্যু থেকে মানুষ যেভাবে পলায়ন বা সতর্কতা অবলম্বন করে এক্ষেত্রে তাই করতে হবে।”
হাদিস নং ০২ঃ
“কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে নির্জনে মিলিত হলে নিঃসন্দেহে তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান।”
হাদিস নং ০৩ঃ
“তোমরা সেই মহিলাদের নিকট গমন করো না যাদের স্বামীরা বিদেশে আছে কারণ, শয়তান তোমাদের রক্ত শিরায় প্রবাহিত হয়।”
হাদিস নং ০৪ঃ-
“কোন অবৈধ নারীকে স্পর্শ করার চেয়ে মাথায় লোহার পেরেক পুঁতে যাওয়া ভালো।”
হাদিস নং ০৫ঃ-
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “দুই শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামের অধিবাসী যাদেরকে আমি দেখিনি। তারা ভবিষ্যতে আসবে।
প্রথম শ্রেণী হবে একদল অত্যাচারী, যাদের সঙ্গে থাকবে গরুর লেজের মত চাবুক যার দ্বারা তারা লোকদেরকে প্রহার করবে।
আর দ্বিতীয় শ্রেণী হল সে নারীর দল, যারা কাপড় পরিধান করবে কিন্তু তবুও তারা উলঙ্গ অবস্থায় থাকবে, নিজেরা অন্যদের প্রতি আকৃষ্ট এবং অন্যদেরকেও তাদের প্রতি আকৃষ্ট করবে, যাদের মস্তক (খোঁপা বাধার কারণে) উটের হেলে যাওয়া কুঁজের মত হবে।
তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, তার গন্ধও পাবে না।
অথচ জান্নাতের সুগন্ধ বহু দূরবর্তী স্থান থেকেও পাওয়া যাবে।”
হাদিস নং ০৬ঃ-
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদের বাহিরে দেখতে পান যে, নারীরা রাস্তায় পুরুষের সাথে মিশে গেছেন।
তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের বলেন, তোমরা অপেক্ষা কর, কারণ, তোমাদের জন্য রাস্তার মাঝে হাটা উচিত নয়, তোমাদের জন্য হল রাস্তার পাশ।
এ কথা শুনে নারীরা দেয়াল ঘেঁসে হাটা শুরু করে তখন দেখা গেল তাদের অনেকের কাপড় দেয়ালের সাথে মিশে যেত।”
হাদিস নং ০৭ঃ-
“কোন মহিলা যেন মাহরাম পুরুষ ছাড়া একাকিনী সফর না করে, তার নিকট যেন মাহরাম ছাড়া কোনো বেগানা পুরুষ প্রবেশ না করে, এ কথা শোনে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, হে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমি অমুক অমুক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য সৈন্য দলে নাম লিখিয়েছি অথচ আমার স্ত্রী হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন এখন আমি কি করব?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উত্তর দিলেন তুমি তার সাথে বের হও।”
হাদিস নং ০৮ঃ-
“নারী গোপন জিনিস, সুতরাং যখন সে (বাড়ি হতে) বের হয়, তখন শয়তান তাকে পুরুষের দৃষ্টিতে রমণীয় করে দেখায়।”
হাদিস নং ০৯ঃ-
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিষেধ করেছেন যে, “আমরা যেন মহিলাদের নিকট তাদের স্বামীদের বিনা অনুমতিতে গমন না করি।”
হাদিস নং ১০ঃ-
“প্রত্যেক চক্ষুই ব্যভিচারী।
আর নারী যদি সুগন্ধি ব্যবহার করে কোনো (পুরুষের) মজলিসের পাশ দিয়ে পার হয়ে যায় তাহলে সে এক বেশ্যা। এমন কি এই অবস্থায় নামাযের জন্য যেতেও নিষিদ্ধ।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,“যে মহিলা সেন্ট ব্যবহার করে মসজিদে যায়, সেই মহিলার গোসল না করা পর্যন্ত কোনো নামায কবুল হবে না।”
হাদিস নং ১১ঃ-
“আদম সন্তানের উপর ব্যভিচারের কিছু অংশ লিপিবদ্ধ হয়েছে সে অবশ্যই তার মধ্যে লিপ্ত হবে। দুই চোখের ব্যভিচার হল দৃষ্টি, দুই কানের ব্যভিচার হল শ্রবণ, মুখের ব্যাভিচার হল কথা বলা, হাতের ব্যভিচার হল স্পর্শ করা এবং পায়ের ব্যভিচার হল খারাপ উদ্দেশ্যে অগ্রসর হওয়া।
আর অন্তর আশা ও আকাঙ্ক্ষা করতে থাকে।
লজ্জা স্থান তাকে বাস্তবায়ন করে অথবা মিথ্যায় পরিণত করে।”
হাদিস নং ১২ঃ-
“যে নারী স্বগৃহ,স্বামীগৃহ বা মায়ের বাড়ি ছাড়া অন্য স্থানে নিজের পর্দা রাখে (কাপড় খোলে) সে তার ও তার রবের মধ্যকার পর্দা ও লজ্জাশীলতাকে বিদীর্ণ করে দেয়।”
হাদিস নং ১৩ঃ
“কোন নারীর উপর তোমার দৃষ্টি পড়লে তার প্রতি বারবার দৃষ্টিপাত করো নাহ বরং নজর অতিসত্তর ফিরিয়ে নিও কারণ, তোমার জন্য প্রথমবার ক্ষমা, দ্বিতীয়বার নয়।”
হাদিস নং ১৪ঃ-
“নারীদের বেশ ধারী পুরুষের উপর অভিশাপ এবং পুরুষদের বেশ ধারিণী নারীদের উপর আল্লাহর অভিশাপ।
হাদিস নং ১৫ঃ-
“যে নারী তার মাথায় এমন চুল বাড়তি লাগায় যা তার মাথার নয়,সে তার মাথায় জালিয়াতি সংযোগ করে।”
ফুটনোটঃ
১)বুখারী ৫২৩২, মুসলিম ২১৭২, তিরমিযী ১১৭১
২) তিরমিযী ১১৭১
৩)তিরমিযী ১১৭২
৪)আস-সিলসিলাতুস সহীহাহ ২২৬
৫)মুসলিম শরীফ ২১২৮
৬)আবু-দাউদ ৫২৭২
৭)বুখারী শরীফ ১৮৬২
৮)তিরমিযী শরীফ ১১৩৭
৯)তিরমিযী ২৭৭৯
১০)সহীহ আল-জামে আস-সগীর আযযিয়াদাতুহ ২৭০
১১)মুসলিম শরীফ ২৬৫৭
১২)তিরমিযী শরীফ ২৮০৩
১৩)আহমাদ শরীফ ১৩৬৯
১৪)সহীহ মুসলিম শরীফ ২৬৭৪,৬৮০৪
১৫)সহীহ আল-জামিউস সাগীর ২৭০৫
ইয়া আল্লাহ আমাদের সকল প্রকার ফেতনা এবং গুনাহ থেকে হেফাজত করুন, আমিন।