অধিকাংশ মানুষই অনুকরণপ্রিয়। নিত্য-নূতন সব কিছুকে গ্রহণ করতে সদা আগ্রহী, সদা প্রস্তুত। ভাল হোক চাহে মন্দ, সে বিবেক করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করে না। অবশ্য তা সকলের পক্ষে করা সম্ভবও নয়। তাই তো অধিকাংশ মানুষেরই শ্লোগান হল, যেমনি কলি তেমনি চলি। আর সে জন্যই নতুন কিছু পরিবেশে প্রবেশ করলেই তা অনেকের বরণীয় রীতি অথবা ফ্যাশন হয়ে যায়। নির্বিচারে তা গ্রহণ ও ব্যবহার করতে শুরু করে দেয়। যেমন:
যাঁরা চোখ বুজে ভাল-মন্দ অভিনব সব কিছুই গ্রহণ করেন এবং ভাল হলেও পুরাতন সব কিছুই বর্জন করেন তাঁরাই ‘প্রগতিশীল’ বলে পরিচিত।
পক্ষান্তরে কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা বাচ-বিচার করে বিভিন্ন নিত্য-নূতন অনুপ্রবেশকারী ফ্যাশন, ট্র্যাডিশন, সভ্যতা ও সংস্কৃতি গ্রহণ করে থাকেন। যা মন্দ তা বর্জন করেন, যা ভালো তা অর্জন করেন এবং যা চিরসত্য ও চিরন্তন সেই সভ্যতাকে আমরণ ধারণ করে থাকেন। যে সভ্যতাকে মানুষের সৃষ্টিকর্তা চিরন্তন বলে ঘোষণা করেছেন সে সভ্যতাকে সীমিত ও পরিবর্তনশীল জ্ঞানের অধিকারী কোন মানুষের কথায় বর্জন করেন না। আর সে জন্যই ওঁরা এঁদেরকে ‘গোঁড়া’ বা ‘রক্ষণশীল’ বলে আখ্যায়ন ও ব্যঙ্গ করে থাকেন। এর পশ্চাতে রয়েছে একটিই কারণ। আর তা হল মরণশীল মানুষের মরণের পরপারকে অবিশ্বাস করা, দ্বীন ও আল্লাহকে অস্বীকার করা।
ভুয়া প্রগতিবাদীদের মোকাবেলা করে চলতে হলে ইসলামী পরিবেশ গড়ার ব্যাপারে প্রত্যেক মুসলিমকে সচেতন হতে হবে। ইসলামী পরিবেশের সুফল এবং তথাকথিত প্রগতিশীল পরিবেশের কুফল বর্ণনা করার মাধ্যমে গণচেতনা গড়ে তুলতে হবে। ইসলামী শিক্ষাকে জোরদার করে জোর পদক্ষেপে কুফ্রী পরিবেশকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে।
Reviews
There are no reviews yet.