আদর্শ মুসলিম নারী
আদর্শ মুসলিম নারী
লেখক : আব্দুল হামিদ ফাইযী আল মাদানী
প্রকাশনী : তাওহীদ পাবলিকেশন্স
বিষয় : ইসলামে নারী/মহিলা
পৃষ্ঠা : ২২৮, কভার : হার্ড কাভার,
বইটি কিনতে কিল্ক করুন: আদর্শ মুসলিম নারী
আরো জানতে কিল্ক করুন: তাওহীদ পাবলকিশেন্স
নারীদের মধ্যে সুন্দরী নারীর অভাব নেই। কিন্তু ‘আদর্শ মুসলিম নারী’র বড় অভাব। যারা আদর্শ মানুষ অথবা আদর্শকে ভালবাসেন এমন মানুষ সেই নারীর অনুসন্ধান ক’রে থাকেন বিবাহের পূর্বে। সেই ভাইদের আশামত তেমনই নারী গড়ার প্রচেষ্টায় আমার এবারের প্রয়াস।
আমি আদর্শ মুসলিম নারী পুস্তিকায় সরাসরি আমার দ্বীনী বোনকে সম্বোধন করেছি। তার প্রকৃতি ও মনের পরশ পেতে যথা সব গান, কবিতা ও হেঁয়ালি দিয়ে কথার মালা গেঁথেছি।আদর্শ মুসলিম নারী পুস্তিকা পড়ে নিজেকে ‘আদর্শ তরুণী, আদর্শ স্ত্রী, আদর্শ মা ও আদর্শ শাশুড়ী’ হিসাবে নিজেকে গড়তে প্রয়াস পাবে। আর তওফীক আল্লাহর হাতে। বইটি পড়ে তুমি মনে করতে পার যে, ‘নারীকে কেবল পুরুষের সুখদানকারিণীর ভূমিকায় রাখা হয়েছে।’ আমি বলি, সেটা হলেই বা ক্ষতি কি? স্বামীকে কি স্ত্রীর সুখদানকারী রূপে সৃষ্টি করা হয়নি? তুমি মনে করতে পার, ‘বইটিতে নারীকে অনেক ক্ষেত্রে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।’ আমি বলি, হ্যাঁ, তা অবশ্যই। তবে তা বিশেষ শ্রেণীর বিশেষ স্বভাবের নারীকে। উদ্দেশ্য হেয় বা তুচ্ছ করা নয়; বরং স্বর্ণকারের মত আঘাত দিয়ে তাদের মত স্বর্ণকে সুন্দর অলঙ্কার রূপে গড়ে তোলা। তুমি বলতে পার, ‘সবই মেয়েদের দোষ। পুরুষদের কিছু কি নেই?’ আমি বলি, অবশ্যই আছে, ঢের আছে। কেবল পুরুষদের সুবিধার জন্য এ বই কুরআন-হাদীস ঘেঁটে লিখা হয়নি। নারীর অধিকার ও পুরুষদের কর্তব্য নিয়ে এ বইয়ের আলোচনা নয়। এ বই পুরুষ বা মহিলার মর্যাদা ছোট বা বড় ক’রে দেখাবার উদ্দেশ্যে লেখা হয়নি। এ বই লিখা হয়েছে, নারীকে ‘আদর্শ মুসলিম নারী’ ক’রে গড়ে তোলার জন্য।
এস, পড় ও বড় হও, আল্লাহর কাছে, মানুষের কাছে। তোমার মত ‘আদর্শ স্ত্রী’ পেয়ে ধন্য হোক ভাগ্যবানেরা। বেহেশত হোক তাদের সংসার। আমি তোমাকে এই স্নেহের উপহার দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমার জন্য দুআ করো বোনটি !
আদর্শ মুসলিম নারী
আব্দুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী
বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ইসলামী গবেষক, লেখক, মুহাক্কিক আলিম ও দাঈ
প্রকাশনায়
তাওহীদ পাবলিকেশন্স
ঢাকা-বাংলাদেশ
আন্তরিক অভিমত
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ্ যিনি আমাদেরকে সব সৃষ্টির মাঝে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি ক’রে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন এবং দুনিয়া ও আখিরাতের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ার জন্য দান করেছেন মহাগ্রন্থ আল-কুরআন ও তাকে বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে প্রচার করার জন্য পাঠিয়েছেন নবীকুল শিরোমণি, মানবমণ্ডলীর নেতা, সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম)কে। ভাই আব্দুল হামীদ ফাইযীর লেখা ‘আদর্শ মুসলিম নারী’ বইখানা আদ্যান্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছি। সত্যিকারে বইখানির প্রয়োজনীয়তা অতি অল্প কথায় লিখা সব নয়। তবুও স্বল্প কথায় লিখি বা বলি যে, দুনিয়া ও আখিরাতের মঙ্গল যারা চায়, তাদের জন্য আমাদের প্রিয় লেখকের লেখা কুরআন ও হাদীসের আলোকে অত্যন্ত সহজ ভাষায় বুঝার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। আমি একজন নারী, একজন মা, একজন ঘরনী হিসাবে শ্রদ্ধেয় লেখকের কাছে কৃতজ্ঞ এই জন্য যে, সত্যই তিনি মানব-কল্যাণে তথা সমগ্র নর-নারীর মঙ্গলার্থে এই বইখানি প্রণয়ন করেছেন। আমাদের ঘর-সংসার জীবনের খুঁটিনাটি ভুল-ত্রুটি সংশোধনের লক্ষ্যে অতি নিপুণভাবে কখনও কুরআনের বাণী ও হাদীসের আলোকে আবার কখনও কবিতার ছন্দে বহু সমস্যা ও সমাধান তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
আল্লাহ্ আমাদের নারী সমাজের প্রত্যেককে একজন ‘আদর্শ মুসলিমা’ হিসাবে গড়ে ওঠার তওফীক দিন। আমীন
অস্বাল্লাল্লাহু আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ।
ইতি
রেহেনা আখতার যওজে আনীসুর রহমান
আল-মাজমাআহ
অভিমত
নারী সংসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে; কখনও কন্যা, কখনও স্ত্রী, কখনও মা, কখনও শাশুড়ী রূপে। একজন নারীই পারে সংসার ভেঙ্গে দিতে। অনুরূপ একজন নারীর দ্বারাই তৈরী হয় শান্তির নীড় বা সুখী সংসার। পৃথিবী রঙিন হয়ে উঠছে দিনের পর দিন। বাড়ির মধ্যে ভাই-বোন, আব্বা-আম্মা, স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ীর প্রতি নানা কর্তব্য আছে। সেসব ভুলে নারীরা আজ বাড়ী থেকে বাজারের দিকে পা বাড়িয়েছে প্রগতির নামে। ভুলে গেছে বড়দেরকে মানা, স্বার্থ ত্যাগ করা, পর্দার বিধান মেনে চলা, আল্লাহকে ভয় করা, জাহান্নামকে ভয় করা, জান্নাতের লোভ করা, স্বামীকে নৈকট্য দেওয়া, স্বামীর আদেশ মেনে চলা, দাম্পত্য জীবনে সঠিক পথ অনুসরণ করা, পরকালের সীমাহীন জীবনকে বিশ্বাস করা, দুনিয়াবী সুখ বর্জন করা, আল্লাহ্র হুকুম ও নবীর তরীকা মেনে নেওয়া ঈত্যাদি। রাজা যেসব নারীরা এইসব ভুলে যায়নি, তারাই ‘আদর্শ মুসলিম নারী’। তারাই হবে ইহকাল ও পরকালের সুখ-ভোগের অধিকারিণী।
আমার মনে হয়, এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে দিশাহারা নারী সমাজকে সঠিক পথ দেখাতে উপযুক্ত দিশারী হবে আব্দুল হামীদ মাদানী সাহেবের মহামূল্যবান পুস্তক ‘আদর্শ মুসলিম নারী’। কুরআন ও হাদীসের আলোকে নারী-জীবনের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি একত্রিত ক’রে উক্ত বইটিতে সুন্দরভাবে প্রকাশ করা হয়েছে, যা প্রতিটি মুসলিম নারীকে সঠিকভাবে জীবনযাপন করতে ও জান্নাতের পথ দেখাতে সাহায্য করবে। আমি বইটির বহুল প্রচার কামনা করি।
আল্লাহ্র নিকট দুআ করি যে, তিনি যেন এই পুস্তকের লেখক, প্রকাশক ও পাঠক-পাঠিকাদের তাঁর নবী (সা)-এর শাফাআত নসীব করেন। আমীন, সুম্মা আমীন।
ইতি
মুসাম্মাৎ মারইয়াম খাতুন
পুবার, পাণ্ডুক, বর্ধমান
শুরুর কথা
নারীদের মধ্যে সুন্দরী নারীর অভাব নেই। কিন্তু ‘আদর্শ মুসলিম নারী’র বড় অভাব। যাঁরা আদর্শ মানুষ অথবা আদর্শকে ভালবাসেন এমন মানুষ সেই নারীর অনুসন্ধান ক’রে থাকেন বিবাহের পূর্বে। অনেকে সে মর্মে কিছু লেখার পরামর্শ দেন। সেই ভাইদের আশামত তেমনই নারী গড়ার প্রচেষ্টায় আমার এবারের প্রয়াস। আল্লাহ্ যেন তা কবুল করেন।
আমি এ পুস্তিকায় সরাসরি আমার দ্বীনী বোনকে সম্বোধন করেছি। তার প্রকৃতি ও মনের পরশ পেতে যথা সব গান, কবিতা ও হেঁয়ালি দিয়ে কথার মালা গেঁথেছি। আশা করি সেই ফুলের মালা তার গলায় শোভা পাবে।
স্বামীগৃহ ও সংসারের কিছু খুঁটিনাটি ছোট ছোট কথা লিখেছি, আশা করি, তা তার দাম্পত্য জীবনের সহায়ক হবে। এই পুস্তিকা পড়ে নিজেকে ‘আদর্শ তরুণী, আদর্শ স্ত্রী, আদর্শ মা ও আদর্শ শাশুড়ী’ হিসাবে নিজেকে গড়তে প্রয়াস পাবে। আর তওফীক আল্লাহ্র হাতে।
আমি যে আবেগ নিয়ে লিখেছি, সেই আবেগ নিয়ে পড়তে আমার বোনটিকে আবেদন জানাচ্ছি। হয়তো বা এত সব কথা মানতে তোমাকে ভারী বোধ হবে, কিন্তু ‘আদর্শ মুসলিম নারী’ হতে হলে কিছু ত্যাগ স্বীকার তো করতেই হবে।
‘বড় হওয়া সংসারেতে কঠিন ব্যাপার,
সংসারে সে বড় হয়, বড় গুণ যার।’
বইটি পড়ে তুমি মনে করতে পার যে, ‘নারীকে কেবল পুরুষের সুখদানকারিণীর ভূমিকায় রাখা হয়েছে।’ আমি বলি, সেটা হলেই বা ক্ষতি কি? স্বামীকে কি স্ত্রীর সুখদানকারী রূপে সৃষ্টি করা হয়নি? নারী-পুরুষ একে অপরের সুখদানকারী না হলে দাম্পত্যে সুখ কোথায়?
তুমি মনে করতে পার, ‘বইটিতে নারীকে অনেক ক্ষেত্রে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।’ আমি বলি, হ্যাঁ, তা অবশ্যই। তবে তা বিশেষ শ্রেণীর বিশেষ স্বভাবের নারীকে। উদ্দেশ্য হেয় বা তুচ্ছ করা নয়; বরং স্বর্ণকারের মত আঘাত দিয়ে তাদের মত স্বর্ণকে সুন্দর অলঙ্কার রূপে গড়ে তোলা।
ইসলাম পুরুষের তুলনায় নারীকে তিনগুণ মর্যাদা দিয়ে ধন্য করেছে। নারীকে তার যথার্থ মর্যাদা ও অধিকার প্রদান করেছে। কিন্তু নারীকে পুরুষের সমান মর্যাদা দেয়নি, নারীর উপর পর্দা ফরয করেছে, তার উপর স্বামীকে ‘স্বামী’ ও কর্তা বানিয়েছে, চরম প্রয়োজনে তাকে মারার অনুমতি দিয়েছে, নারীর উপর তার স্বামীর খিদমত ওয়াজেব করেছে, তাতে যদি কোন স্বাধীন-চিত্তের আধুনিকা ভুল বুঝে মনে করে যে, নারীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে, তাহলে আমার আর কি বলার আছে? তুমিও কবির সুরে সুর মিলিয়ে আমাকে গালি দিয়ে বলতে পার,
‘হাদিস কোরান ফেকা লয়ে যারা করিছে ব্যবসাদারী,
মানে নাক’ তারা কোরানের বাণী –
সমান নর ও নারী! শাস্ত্র ছাঁকিয়া নিজেদের যত সুবিধা বাছাই ক’রে,
নারীদের বেলা গুম্ হ’য়ে রয় গুমরাহ্ যত চোরে!”
তুমি বলতে পার, ‘সবই মেয়েদের দোষ। পুরুষদের কিছু কি নেই?’ আমি বলি, অবশ্যই আছে, ঢের আছে। কেবল পুরুষদের সুবিধার জন্য এ বই কুরআন-হাদীস ঘেঁটে লিখা হয়নি। নারীর অধিকার ও পুরুষদের কর্তব্য নিয়ে এ বইয়ের আলোচনা নয়। এ বই পুরুষ বা মহিলার মর্যাদা ছোট বা বড় ক’রে দেখাবার উদ্দেশ্যে লেখা হয়নি। এ বই লিখা হয়েছে, নারীকে ‘আদর্শ মুসলিম নারী’ ক’রে গড়ে তোলার জন্য। ঈমানী মন নিয়ে পড়, তাহলেই বুঝতে পারবে ‘গুমরাহ ও চোর’ কে বা কারা?
এস, পড় ও বড় হও, আল্লাহর কাছে, মানুষের কাছে। তোমার মত ‘আদর্শ স্ত্রী’ পেয়ে ধন্য হোক ভাগ্যবানেরা। বেহেশ্ত হোক তাদের সংসার। আমি তোমাকে এই স্নেহের উপহার দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমার জন্য দুআ করো বোনটি!
ইতি-
তোমার হিতাকাঙ্ক্ষী ভাই
আব্দুল হামীদ ফাইযী
আল-মাজমাআহ সউদী
আরব ২১/১২/০৮
আদর্শ তরুণী
স্নেহময়ী বোনটি আমার। জীবন হল অচেনা পুকুরের মত। নামার সময় সাবধানে নামতে হবে। জীবন গতিশীল। শৈশব থেকে কৈশোর পার হয়ে এখন তুমি যৌবনে পদার্পণ করেছ। তোমার মনে এখন কত স্বপ্ন, কত আশা, কত ভয়, কত ভরসা।
তুমি মুসলিম তরুণী, এ সবকিছু রাখ আল্লাহ্র প্রতি। আল্লাহকে ভয় কর। মন পরিষ্কার কর: শির্ক ও অমূলক বিশ্বাস থেকে, হিংসা, ঈর্ষা, গর্ব, অহংকার ইত্যাদি থেকে।
জেনে রেখো তোমার ইহ-জীবনের গাড়ি পার হবে তিনটি সেতুর উপর দিয়ে। অতঃপর পরকালের জীবনে পুলসিরাতের সেতু পার হয়ে পৌঁছবে শেষ মঞ্জিল জান্নাতে। দুনিয়ার পথে তোমার প্রথম সেতু হল মা। দ্বিতীয় হল বাপ। আর তৃতীয় হল স্বামী। আর তোমার অচেনা পথের গাইড-বুক হল, কুরআন ও সহীহ হাদীস।
জাহেমাহ। নবী সা: এর নিকট এসে বললেন, “হে আল্লাহ্ রসূল! আমি জিহাদ করব মনস্থ করেছি, তাই আপনার নিকট পরামর্শ নিতে এসেছি।’ এ কথা শুনে তিনি বললেন, ‘তোমার মা আছে কি?’ জাহেমাহ তাআলা বললেন, ‘হ্যাঁ’। তিনি বললেন, ‘তাহলে তুমি তার খিদমতে অবিচল থাক। কারণ, তার পদতলে তোমার জান্নাত রয়েছে।””
মহানবী (সা:) বলেন, ‘পিতা হল বেহেশতের মধ্যম দরজা। সুতরাং তোমার ইচ্ছা হলে তার যত্ন নাও, না হলে তা নষ্ট করে দাও।”
নবী (সা:) বলেন, ‘স্ত্রীর জন্য স্বামী তার জান্নাত অথবা জাহান্নাম।
১ ইবনে মাজাহ, সহীহ নাসাঈ ২৯০৮নং। আহমাদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, ইবনে হিব্বান, হাকেম। ইবনে আবী শাইবাহ, নাসাঈ, তাবারানী, হাকেম, প্রভৃতি।
প্রকৃতির প্রথম ও প্রধান আইন হচ্ছে, মাতা-পিতাকে মান্য করা। অবশ্য তা হবে বৈধ বিষয়ে। অবৈধ কোন বিষয়ে কারো কথাই মান্য নয়।
আদর্শ মুসলিম নারী
জীবন পথে প্রস্তুতি
হয়তো বা তুমি তোমার কৈশোর থেকেই লক্ষ্য করেছ, ছেলেরা যেন তোমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তোমার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, তা কেন?
‘মেয়েদেরকে দেখে হ্যাংলা কুকুরের মত যে সব পুরুষের জিভে পানি আসে, মেয়েরা তাদেরকেই বেশী ঘৃণা করে।’ তা কেন? কেন লম্পটরা তোমাকে দেখে ‘আঙ্গুর ফল টক’ ইত্যাদি বলে মন্তব্য করে?
আসলে তোমার যৌবন তোমার সম্পদ। তোমার দেহে যৌবনের ফুল ফুটলে, তারুণ্যের লাবণ্য উজ্জ্বল হয়ে প্রকাশ পেলে, তোমার দিকে পুরুষে তাকাবে– এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
এই সম্পদ তোমার অমূল্য সম্পদ। তুমি তোমার সম্পদের হিফাযত কর।
“নারীর নারীত্বের প্রধান সম্পদ হল তার দেহের নিভৃতে রক্ষিত মূল্যবান মোহর; যা সাপের মাথার মণির চেয়েও দামী। সাপ মণি-হারা হলে গাছের সাথে মাথা কুটে অঘোরে প্রাণ হারায়। পক্ষান্তরে ঝিনুক জীবন দেয়, তবু বুকের মুক্তোটি কাউকে নিতে দেয় না।’ সতী নারী তার সতীত্ব ও নারীত্ব রক্ষা করে সকল শক্তি ব্যয় ক’রে।
পর্দা
ফুলের বাগান রক্ষা করতে হলে ভালো করে বেড়া দিয়ে রাখতে হয়, নইলে ছাগলে খেয়ে যায়। তারের জাল দিয়ে পুকুরের মোহনা বন্ধ করতে হয়। নচেৎ চঞ্চল মাছ বের হয়ে যায়। মহিলার সৌন্দর্যও যদি গোপন করা না হয়, তাহলে তাও নষ্ট হয়ে যায়।
সোনার মূল্য আছে বলেই তাকে কোটা, আলমারী ও রুমের মধ্যে তালাবদ্ধ রাখা হয়। যাতে অপরের লালসা সৃষ্টি না হয়, চুরি ও ছিন্তাই না
আদর্শ মুসলিম নারী

আদর্শ মুসলিম নারী
Reviews
There are no reviews yet.