-35%Sold out

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

৳ 55

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল
লেখক : শায়খ আবদুস সাত্তার কালাবগী

Out of stock

Description

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল
লেখক : শায়খ আবদুস সাত্তার কালাবগী

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া ছাড়া মুক্তাদীর সালাত হয় না, এ ব্যাপারে সাহাবীদের সহীহ আসারে হাদীস থেকে প্রমান তুলে ধরলাম।

প্রায় ৫০ টির অধিক আসার উল্লেখ করলাম।

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

প্রথমে হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পরার আসার বা মতামতঃ

ইয়াযিদ বিন শাকির হযরত ওমর (রাঃ) এর নিকট ইমামের পিছনে কেরাত পড়া সম্পর্কে জিজ্জেস করলেন। ওমর (রাঃ) বললেন, সূরা ফাতিহা পড়। আমি বললাম, আপনি যদি ইমাম হন? তিনি বললেন, যদিও আমি ইমাম হই। আমি বললাম যদি আপনি উচ্চ স্বরে পড়েন? তিনি বললেন, যদিও আমি উচ্চ স্বরে পড়ি তখনও সূরা ফাতিহা পড়।

এই আসারটি ইমাম বুখারী (রহঃ) তাঁর যুযউল কেরাতে ১৫ পৃষ্ঠা, একাধিকবার এনেছেন এবং একাধিক সনদে এনেছে। তিনি এটি তারিখে কবিরের ২য় খণ্ড, ৩৪০ পৃষ্ঠায় এনেছেন।

মুসান্নাফা ইবনে আবি শায়বার ১ম খণ্ড, ৩৭৩ পৃষ্ঠা, সুনানে দারাকুতনী ১ম খণ্ড, ৩১৭ পৃষ্ঠা, বায়হাকী, সুনানে কুবরার ২য় খণ্ড, ১৬৭ পৃষ্ঠা।

এ আসারটি সম্পর্কে ইমাম আবুল হাসান দারাকুতনী (রহঃ) বলেন, হাদিসের সনদ সহীহ এবং প্রত্যেক বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত। (দারাকুতনী ১২০, পৃষ্ঠা)

ইমাম হাকেম এ আসারকে সহীহ বলেছেন।

রেজাম শাস্ত্রের পণ্ডিত ইমাম শামসুদ্দিন যাহাবী এ আসারকে সহীহ বলেছেন।

(দেখুন, তালখিস, আল মুস্তাদরাক)

হযরত ওমর (রাঃ) এক প্রশ্নকারীকে বললেন, ইমামের পিছে সূরা ফাতিহা পড়। (প্রশ্নকারী বললেন) যদি আপনি পড়েন? তিনি বললেন যদিও আমি পড়ি।

যুয কেরাত, বুখারী ৫ পৃষ্ঠা।

ইয়াযিদ বিন শাকির বলেন, আমি হযরত ওমর (রাঃ) কে বললাম, আমি ইমামের পিছে সূরা ফাতিহা পড়ব? ওমর (রাঃ) বললেন, হাঁ। আমি বললাম যদি আপনার পিছনে হই? তিনি বললেন, যদিও তুমি আমার পিছনে হও তবুও তুমি সূরা ফাতিহা পরবে।

মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৩৭৩ পৃষ্ঠা।

হারেস বিন সোয়ায়েদ এবং ইয়াজিদুত তায়মী বলেন, হযরত ওমর (রাঃ) আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন যে, আমরা যেন ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়ি।

বায়হাকি কেতাবুল কিরাত, ৬০ পৃষ্ঠা।

এ বর্ণনা দারা কুতনী ১ম খণ্ড, ৩২২ পৃষ্ঠা, ইমাম হাকেম মুস্তাদারাক ১ম খণ্ড, ২৩৯ পৃষ্ঠা। বায়হাকী ২য় খণ্ড, ১৬৮ পৃষ্ঠা, সবাই এ হাদিসকে সহীহ বলেছেন।

ইয়াযিদ বিন শাকির তায়মী বলেন, আমি হযরত ওমর (রাঃ) কে বললাম, হে আমিরুল মু’মীনিন আমি ইমামের পিছনে

পড়ব? তিনি বলেন হাঁ। তারপর প্রশ্ন করলেন, হে আমিরুল মু’মীনিন আপনি যদি কেরাত জোরে পড়েন? তিনি বললেন, যদিও আমি কেরাত জোরে পড়ি। (সূরা ফাতিহা পড়)

কেতাবুল কেরাত ৫৯ পৃষ্ঠা। (বায়হাকী)

এ ব্যাপারে হযরত ওমর (রাঃ) এর আর একটি আসার। দেখুন আল মুহাল্লা ইবনে হাযম, ৩য় খণ্ড, ২৩৭ পৃষ্ঠা। এছাড়া ইমাম তিরমিযী বলেন, সূরা ফাতিহা ছাড়া সালাত হয়না এটা অধিকাংশ সাহাবীর আমল। তাদের ভিতর ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) একজন। তিরমিজী ১ম, ৩৪ পৃষ্ঠা।

ইমাম বাগাবী বলেন, মুক্তাদীদের জন্য ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া ইমাম এবং মুনফারেদের মত ফরয একথা ওমর (রা) এর।

তাফসীরে মাযহারী ২য় খণ্ড, ১১৮ পৃষ্ঠা।

তাফসীরে খাজেন, ২য় খণ্ড, ৩৩১ পৃষ্ঠা।

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

এ ব্যাপারে হযরত আলি (রাঃ) এর আসার বা মতামতঃ

ওবায়দুল্লাহ বিন আবি রাফে হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যোহর এবং আসরের সালাতে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা এবং একটি সূরা পড় প্রত্যেক রাকাতে। আর এই আসারটির সনদ দুনিয়ার ভিতরে সবচেয়ে বিশুদ্ধ।

ইবনে আবি শায়বা ২ম খণ্ড, ৩৭৩ পৃষ্ঠা।

ইমাম দারা কুতনী ১ম খণ্ড, ৩২২ পৃষ্ঠা।

ইমাম হাকেম মুস্তাদারেক হাকিমের ১ম ,খণ্ড, ২৩৯ পৃষ্ঠা।

বায়হাকী ২য় খণ্ড, ১৮৬ পৃষ্ঠা।

এবং সবাই এ আসারকে সহীহ বলেছেন।

হযরত আলী(রাঃ) বললেন, ইমামের পিছনে প্রথম দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা এবং আর একটি সূরা এবং শেষের দুই রাকাতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। তবে বায়হাকীর ভিতরে যোহর ও আসরের কথা উল্লেখ আছে।

আল মুস্তাদারেক ১ম খণ্ড, ৩৩৯ পৃষ্ঠা।

বায়হাকী ২য় খণ্ড, ১৬৮ পৃষ্ঠা। যুয ৮ পৃষ্ঠা।

হাকাম এবং হাম্মাদ বলেন, হযরত আলী(রাঃ) ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পরার হুকুম দিতেন।

মুসান্নাফা ইবনে আমি শায়বা ১ম খণ্ড, ৩৭৩ পৃষ্ঠা।

হযরত আলী(রাঃ) বলেন, যে কোন সালাত যার মধ্যে সূরা ফাতিহা পড়া হয় না সে সালাত খেদায পুরা হয় না।

কেতাবুল কিরাত পৃষ্ঠা ৩২। (বায়হাকী)

হাকেম বলেন, ইমামের পিছনে মুক্তাদীর সূরা ফাতিহা পড়া সম্পর্কে হযরত ওমর (রাঃ) ও হযরত আলী (রাঃ) থেকে সহীহ সূত্রে বর্ণিত। আর এনারা দুজনেই ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পরার হুকুম দিতেন।

আল মুস্তাদারেক, ১ম খণ্ড, ২৩৯ পৃষ্ঠা।

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

হযরত উসমান (রাঃ) থেকে যা পাওয়া যায়ঃ

ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, মুক্তাদীর জন্য সূরা ফাতিহা পড়া ইমাম এবং মুনফারেদের জন্য ফরয। ইমাম বাগাবী বলেন, হযরত ওমর (রাঃ) হযরত আলী (রাঃ) হযরত উসমান (রাঃ), হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) , হযরত মুয়াজ (রাঃ) থেকে এ রুপ বর্ণিত।

খাযেন, ২য় খণ্ড, ৩৩১ পৃষ্ঠা।

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) থেকে যা পাওয়া যায়ঃ

ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, সূরা ফাতিহা প্রত্যেক রাকাতে পড়া ফরয। যদি কোন রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়া সালাতি ছেড়ে দেয় তাহলে তাঁর সালাত বাতিল হবে। শায়খ আবু হামেদ আসফারিনী বলেন, এই কথার উপর সমস্ত সাহাবাগনের ইজমা হয়েছে। এবং হযরত আবু বকর (রাঃ), হযরত ওমর (রাঃ) , হযরত আলী(রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসাউদ (রাঃ) ও একি কথা বলেছেন।

তাফসীরে কবীর, ১ম খণ্ড, ২১৬ পৃষ্ঠা।

এ ব্যাপারে প্রসিদ্ধ বদরী সাহাবী হযরত ওবায় বিন কা-আব (রাঃ) এর আসার বা মতামতঃ

আবু মুগিরা (রহঃ) বলেন যে, হযরত উবায় বিন কা’আব (রাঃ) ইমামের পিছনে কেরাত পরতেন।

যুযুল কিরাত, ৮ পৃষ্ঠা।(বুখারি)(রহ) কেতাবুল কিরাত , ৬২ প্রিশ্তহা।(বায়হাকী)

এক নজরে এ আসারটির বর্ণনাকারীদের সংক্ষিপ্ত পরিছয়ঃ

১। মালেক বিন ইসমাইল সেহাহ সিত্তার বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী এবং একজন আবেদ। (তাকরিব)

২। জিয়াদ বিন আবদুল্লাহ। সহীহ বুখারী ও মুসলিমের হাদীস বর্ণনাকারী এবং জমহুর মুহাদ্দিসদের নিকট সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত।

দেখুন, ইবনে খালকান, রেজালের পণ্ডিত ইমাম যাহাবী তাকে বিশ্বস্ত বলার পর বলেছেন, তাঁর ত্রুটি যারা ধরেছেন ওটা মরদুদ।

(লেছানুল মিযান, ২য় খণ্ড, ১৫৯ পৃষ্ঠা)

৩। আবু ফরু মুসলিম বিন সালেমুন নাহদী , বুখারী মুসলিমের হাদীস বর্ণনাকারী। ইবনে মঈন বলেন, তিনি বিশ্বস্ত,

আবু হাতেম বলেন, সালেহুল হাদীস।

দেখুন কেতাবুস সেকাহ, ৫ম খণ্ড, ৩৯৫ পৃষ্ঠা।

৪। আবু মুগিরা সহীহ মুসলিমের বর্ণনাকারী এবং বিশ্বস্ত।

অতএব এই আসারটি সহীহ।

এ ব্যাপারে ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, হযরত ওমর (রাঃ) ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়ার পক্ষে ছিলেন। একই ভাবেই হযরত ওবায় বিন কা’আবের ফতোয়া ওমরের মত।

যুজুল কেরাত , বুখারী, ৫ পৃষ্ঠা।

বিখ্যাত তাবেয়ী আবু মুগিরা বলেন, উবায় বিন কা;আব(রাঃ) ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পরতেন।

কেতাবুল কিরাত, ৬২ পৃষ্ঠা (বায়হাকী)

যুয বুখারী ৮ পৃষ্ঠা।

আবদুল্লাহ বিন আবি হুজাইল বলেন, আমি হযরত উবায় বিন কা;আব (রা) এর নিকত প্রশ্ন করলাম, আমি কি ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়ব? তিনি বললেন, পরবে।

বায়হাকী, ২য় খণ্ড, ১৬৯ পৃষ্ঠা।

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

এ ব্যাপারে হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) এর মতামতঃ

হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) থকে ইমামের পিছনে কেরাত পড়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল। তিনি বললেন, সাহাবায়ে কেরামগন, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা আস্তে পড়া খারাপ জানতেন না।

যুয –দিল্লি ৭ পৃষ্ঠা।

আবিল আলিয়া বলেন, আমি মক্কা মুকাররামায় হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলাম যে আমি সালাতের মধ্যে পড়ব কি না। তিনি বললেন, এই ঘর বাইতুল্লাহর প্রভু থেকে আমি লজ্জিত, যে আমি কোন সালাত পড়ব আর তার ভিতর কোন কিছু পড়ব না যদিও সেটা সূরা ফাতিহা হয়।

বায়হাকী ২য় খণ্ড, ১৬১ পৃষ্ঠা।

এ ব্যাপারে হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) এর আর একটি আসার, দেখুন আল মুহাল্লা, ইবনে হাযম, ৩য় খণ্ড, ২৩৭ পৃষ্ঠা।

এ ব্যাপারে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়।

শরহে মা আনিল আসার ১ম খণ্ড, ২০৬ পৃষ্ঠা।

সুনানে কুবরা বায়হাকী, ৯৬ পৃষ্ঠা।

বাইহাকী বলেন, এ আসারে হাদিসটির সনদ সহীহ। এর উপর কোন ময়লা নেই।

কেতাবুল কিরাত, বায়হাকী ১৯৮ পৃষ্ঠা।

এ আসারের বর্ণনাকারীগণ সবাই সহীহ মুসলিমের বর্ণনাকারী এবং ইমাম মুসলিমের শর্তের উপর আসারটি সহীহ।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়, তা ইমাম জোরে পড়ুক বা আস্তে পড়ুক।

কেতাবুল কেরাত, ৬৪ পৃষ্ঠা। বায়হাকী।

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রত্যেক রাকাতে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া ছাড়বে না, ইমাম জোরে পড়ুক বা জোরে না পড়ুক।

ইবনে আবি শায়বা ১ম খণ্ড, ৩৭৩ পৃষ্ঠা।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া ছেড়ে দিয়ো না। তা ইমাম বড় করে কেরাত পড়ুক আর আস্তে কেরাত পড়ুক।

কেতাবুল কেরাত, ৬৪ পৃষ্ঠা। বায়হাকী।

হানাস বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, ইমামের পিছনে প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়।

কেতাবুল কেরাত , ৬৪ পৃষ্ঠা।

ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, ইমাম জোরে কেরাত করে বা আস্তে কেরাত করে।

আল-মুহাল্লাহ। ইবনে হাজম ৩য় খণ্ড, ২৩৭ পৃষ্ঠা।

এ সকল বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রাঃ) যিনি রাসূল(সঃ) এর চাচাতো ভাই এবং রাসূল(সঃ) এর জীবন্দশায় কোরআন জমা করেছিলেন। তিনি ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া ওয়াজিব এবং জরুরী মনে করতেন।

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

এ ব্যাপারে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসাউদ (রাঃ) এর আসার বা মতামতঃ

আবু মারয়ামা বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে মাসাউদ (রাঃ) থেকে ইমামের সূরা ফাতিহা পড়তে শুনেছি।

যুযুল কিরাত ৫-৮ পৃষ্ঠা। (একাধিক সনদে আছে)

এ আসারটির বর্ণনাকারী আবু মারিয়ামা আবদুল্লাহ বিন যিয়াদিল আসাদী। ইনি সহীহ বুখারীর বর্ণনাকারী। (তাকরিব)। আর একজন বর্ণনাকারী আসাস বিন আবিস সাসা আল মাহরবী। ইনি সিহাহ সিত্তার বর্ণনাকারী ও বিশ্বস্ত। (তাকরিব)

এ থেকে বোঝা যায় এ হাদিস সহিহ।

আবদুল্লাহ বিন জিয়াদিল আসাদী বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে মাসাউদ (রাঃ) এর পাশে দাঁড়িয়ে ইমামের পিছনে সালাত পড়েছি। আমি তাকে যোহর ও আসরের সালাতে (সূরা ফাতিহা পড়তে শুনেছি) পড়তে শুনেছি।

বায়হাকী ২য় খণ্ড, ১৬৯ পৃষ্ঠা।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসাউদ (রাঃ) আসরের সালাতে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা এবং আরও একটি সূরা পড়েছেন।

ইবনে আবি শায়বা ১ম খণ্ড, ৩৭৩ পৃষ্ঠা।

ইবনে মাসাউদ (রাঃ) একজন বদরী সাহাবী। তিনি একজন প্রসিদ্ধ ফকিহ। তিনি খাদেমে রাসূল(সঃ) ছিলেন। তাঁর থেকে বর্ণিত আসার থেকে এ কথাই স্পস্থ হয় যে সালাতে ইমামের পিছনে হোক আর একাকী হোক ফাতিহা পড়া ওয়াজিব।

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

এ ব্যাপারে হযরত উবাদাহ (রাঃ) এর আসার বা মতামতঃ

মাহমুদ বিন রবী বলেন, আমি ইমামের পিছনে উবাদাহ (রাঃ) কে কেরাত পড়তে শুনেছি। (এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্জেস করলে) উবাদাহ (রাঃ) বলেন, সূরা ফাতিহা ছাড়া সালাত হয় না।

কেতাবুল কেরাত, ৪৬ পৃষ্ঠা। (বায়হাকী)

এখানে উবাদাহ (রাঃ) যে কেরাত পড়েছিলন, সে কেরাত যে সূরা ফাতিহা সেটা স্পষ্ট হয়ে গেছে এ হাদীসের মতন থেকে।

মাহামুদ বিন রবী বলেন, আমরা জামাতের সঙ্গে সালাত পড়ছিলাম আর আমার পাশে উবাদাহ (রাঃ) দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি তাঁকে সূরা ফাতিহা পড়তে শুনেছি। যখন আমরা সালাত থেকে ফারিগ হলাম, তখন আমি উবাদাহ (রাঃ)কে বললাম, আমি কি তোমাকে ফাতিহাতিল কোরআন (ইমামের পিছে) পড়তে সুনি নাই? উবাদাহ (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ, কেননা সূরা ফাতিহা ছাড়া সালাত হয় না।

বায়হাকী ২য় খণ্ড, ১৬৮ পৃষ্ঠা।

মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ১ম খণ্ড, ৩৭৫ পৃষ্ঠা।

(মাহামুদ বিন রবী) আমি উবাদাহ (রাঃ) এর নিকট এক ব্যাক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম যিনি কেরাতে (ফাতিহা) পড়তে ভুলে গেছে। তিনি কি করবে? ঐ ব্যাক্তি সালাত আবার পড়ে। যদি তার দ্বিতিও রাকাতে স্মরণ হয় তখনও সে যেন সালাত আবার শুরু করে। কারন সূরা ফাতিহা ছাড়া কারও সালাত হবে না।

যুযুল কেরাত, বুখারী, দিল্লি ৩য় পৃষ্ঠা।

উক্ত আসারে হাদিসগুলো থেকে বোঝা গেল প্রখ্যাত বদরী সাহাবী হযরত উবাদাহ (রাঃ) যেমন ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পরতেন এবং তদ্রূপ অন্যকে পড়ার নির্দেশ দিতেন।

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

এ ব্যাপারে হযরত আবদুল্লাহ বিন আ’মর (রাঃ) এর আসার বা মতামতঃ

মুজাহীদ বলেন, আমি আবদুল্লাহ বিন আমরকে যোহর ও আসরে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়তে শুনেছি।

শরাহ মাআনিল আসার ১০ খণ্ড, ২১ পৃষ্ঠা।

ইবনে আবি শায়বা ১ম খণ্ড, ৩৭৩ পৃষ্ঠা।

আ আসার সম্পর্কে ইমাম বায়হাকী বলেন, এ আসারটির সনদ সহীহ।

আসারটির বর্ণনাকারীদের সংক্ষিপ্ত পরিচয়।

১, আবু বকর বিন কুতায়বা- ইমাম হাকেম তাঁকে বিশ্বস্ত বলেছেন। দেখুনঃ আল মুস্তাদারাক ১ম, খণ্ড, ১৬০ পৃষ্ঠা। ইবনে হিব্বান তাঁকে কেতাবুস সেকাতে বয়ান করেছেন। দেখুন কেতাবুস সেকাহ ৮ম খণ্ড, ১৫২ পৃষ্ঠা।

২, আবু দাউদ তায়লিসি সহীহ মুসলিমের বর্ণনাকারী এবং জমহুরে মুহাদ্দিস তাঁকে বিশ্বস্ত বলেছেন।

৩, শোবা, তিনি প্রসিদ্ধ ইমাম এবং সহী সিত্তার বর্ণনাকারী। রেজালের পণ্ডিত হাফেয ইবনে হাজার বলেন, তিনি বিশ্বস্ত। (তাকরিব)

৪, হুসাইন বিন আব্দুর রহমান সহী সিত্তার হাদীস বর্ণনাকারী ও বিশ্বস্ত। হাফেয ইবনে হাজার বলেন, তিনি তাফসির ও এলেমে বিশ্বস্ত। (তাকরিব)

হযরত মুজাহীদ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) কে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়তে শুনেছি।

ইবনে আবি শায়বা ১ম খণ্ড, ৩৭৩ পৃষ্ঠা।

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

এ ব্যাপারে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) এর আসার বা মতামতঃ

আবু সায়েব বলেন আমি হযরত হুরাইরা (রাঃ) কে বললাম, আমি যখন ইমামের পিছনে থাকব এবং ইমাম জোরে কেরাত পরবে তখন আমি কি করবো? আবু হুরাইরা (রাঃ) বললেন, হে ফারেগী তমার উপর আফসোস (তুমি এই কথাটুকু বোঝ না?) সূরা ফাতিহা ইমামের পিছনে আস্তে পড়বে।

যুয ১০ পৃষ্ঠা, কেতাবুল কেরাত ১৯ পৃষ্ঠা।

আব্দুর রহমান বিন ইয়াকুব বলেন, আমি বললাম, হে আবু হুরাইরা (রাঃ) আমি কখনও ইমামের পিছনে থাকি আর ইমামের পিছনে কেরাত শুনতে পাই। তিনি বলেন, হে ফারেসীর বেটা, সূরা ফাতিহ আস্তে পড়।

দেখুন কেতাবুল কেরাত ২২ পৃষ্ঠা।

আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, ইমাম যখন সূরা ফাতিহা পড়ে তখন তুমিও সূরা ফাতিহা তার সাথে সাথে পড় এবং আগে শেষ কর। কেননা ইমাম যখন অলাদ্দলিন বলে, তখন ফেরেস্তারা আমিন বলে। আর যার আমিন তাদের সাথে একত্রিত হবে সেটা কবুল হওয়ার জন্য সহায়ক।

যুযুল কিরাত বুখারি (দিল্লি), ২৬-৩০ পৃষ্ঠা।

এই আসারটির সকল বর্ণনাকারী সহীহ মুসলিমের বর্ণনাকারী। তার মধ্যে আবু সাবেত মুহাম্মাদ বিন ওবায়দুল্লাহ আল মাদানী সহীহ বুখারিএ বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী ও হাদীসের হাফেয। (দেখুন, তাহযিবুত তাহযীব।)

আবু হুরাইরা (রাঃ) জোরে এবং আস্তের সকল সালাতে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়ার হুকুম দিতেন।

মুয়ালিমুস সুনান, ১ম খণ্ড, ৩৯২ পৃষ্ঠা।

এ আসারগুলো থেকে বোঝা গেল আবু হুরাইরা(রাঃ) জোরের এবং আস্তের সালাতে মুক্তাদির জন্য সূরা ফাতিহা পড়া আবশ্যিক মনে করতেন।

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

এ ব্যাপারে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) এর মতামতঃ

হযরত আয়েশা (রাঃ) ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়ার হুকুম দিতেন।

কেতাবুল কিরাত, ৫ পৃষ্ঠা। (বায়হাকি) একাধিক সনদ।

আবু হুরাইরা (রাঃ) এবং আয়েশা (রাঃ) এর মতঃ

আবু হুরাইরা(রাঃ) এবং মা আয়েশা(রাঃ) এনারা দুজনই ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়ার পক্ষপাতী।

কেতাবুল কিরাত , ৬৬ পৃষ্ঠা। (বায়হাকী)

আবু হুরাইরা (রাঃ) ও মা আয়েশা(রাঃ) যোহর ও আসরের সালাতে ইমামের পিছনে প্রথম দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা এবং কোরআন থেকে কিছু পড়ার হুকুম দিতেন। এবং মা আয়েশা (রাঃ) বলতেন, শেষের দুই রাকাতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়বে।

বায়হাকী ২য় খণ্ড, ১৭১ পৃষ্ঠা, কেতাবুল কিরাত ৬৬ পৃষ্ঠা।

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

এ বিষয়ে হযরত হুজাইফা বিন ইয়ামানের (রাঃ) আসার বা মতামতঃ

হযরত ওমর (রাঃ) প্রশ্নকারীকে হুকুমের মত বলতেন, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়। আমি বললাম যদি আপনি পড়তে থাকেন? ওমর (রাঃ) বলতেন, যদিও আমি পড়তে থাকি। আর উবায়বিন কা’আব হুজাইফা বিন ইয়ামান এবং উবায়দাহ (রাঃ) এভাবেই বলতেন।

যুযুল কিরাত, ৮ পৃষ্ঠা।

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

এ বিষয়ে হযরত হিসাম বিন আমের (রাঃ) এর আসারঃ

হ্যমায়েদ বিন হিলাল বলেন, হিসাম বিব আমের (রাঃ) একদা ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়লেন। তখন বলা হল আপনি ইমামের পিছনে পড়েন?

হিসাম বিন আমের বললেন, আমরা (সাহাবীগণ) অবশ্যই (ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা) পড়ি।

সুনানে কুবরা বায়হাকী , ২য় খণ্ড, ১৭০ পৃষ্ঠা।

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

এ ব্যাপারে হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) এর মতামতঃ

আবু নসর বলেন, আমি হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) এর নিকট ইমামের পিছনে কেরাত পড়া সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ইমামের পিছনে শুধু সূরা ফাতেহা পড়।

বায়হাকী, ২য় খণ্ড, ১৭০ পৃষ্ঠা।

এ আসারের সকল বর্ণনাকারী শুধু একজন বাদে আর তিনি হলেন, জমহুরে মুহাদ্দিসগণের নিকত বিশ্বস্ত। এবং রেজালের পণ্ডিত ইবনে হাজার তাঁকে (ছুদুক) সত্যবাদী বলেছেন। (তাকরীব)

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

এ ব্যাপারে হযরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) এর এর আসার বা মতামতঃ

হযরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) একজন প্রসিদ্ধ সাহাবী এবং হাফেজ। ইমাম যাহাবী বলেন, ইমাম আবু আবদুল্লাহ আনসারী ফকীহ এবং মদীনার মুফতি।

তাযকিরাতুল হুফফায, ১ম খণ্ড, ২৩ পৃষ্ঠা।

হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, ইমাম এবং মুক্তাদি প্রথম দুই রাকাতে যেন সূরা ফাতিহা এবং একটি সূরা এবং শেষের দুই রাকাতে যেন শুধু সূরা ফাতিহা পড়ে।

কেতাবুল কিরাত, ৬৭ পৃষ্ঠা। (বায়হাকী)

হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, আমরা (সাহাবীগণ) ইমামের পিছনে যোহরের প্রথম দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা এবং আর একটি সূরা এবং শেষের দুই রাকাতে শুধু সূরা ফাতিহা পরতাম।

বায়হাকী ২য় খণ্ড, ১৭০ পৃষ্ঠা।

ইবনে মাজাহ ১ম খণ্ড, ৬১ পৃষ্ঠা, কেতাবুল কেরাত, ৬৭ পৃষ্ঠা।

এই আসারটির সম্পর্কে ইবনে মাজার হাশিয়ায় লেখা হয়েছে, এ হাদীসের সনদ সহীহ এবং বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত। (ইবনে মাজাহ, ৬১ পৃষ্ঠা)

বর্ণনাকারীগণ সকলে বুখারী এবং মুসলিমের হাদীস বর্ণনাকারী। সাঈদ বিন আমের বিশ্বস্ত। (দেখুন, দারেমী ১২৭ ও ৩৯৫ পৃষ্ঠা)

হযরত জাবের (রাঃ) সূরা ফাতিহা ছাড়া সালাত জায়েজ বা যথেষ্ট হয় না।

(যুয কিরাত,৪ পৃষ্ঠা)

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

এ ব্যাপারে হযরত আবু্দ দারদাহ (রাঃ) এর মতামতঃ

হাসসান বিন আতিয়া থেকে বর্ণিত। হযরত আবুদ দারদাহ (রাঃ) বলেন, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া ছেড়ে দিয়না তা ইমাম জোরে পড়ুক বা আস্তে পড়ুক।

কেতাবুল কিরাত, ৬৮ পৃষ্ঠা। (বায়হাকী)

হযরত আবুদ দারদাহ (রাঃ) বলেন, আমি যদি ইমামের রুকু অবস্থায় পাই, তাহলে আমি পছন্দ করি যে, সূরা ফাতিহা পড়ে নেই।

কেতাবুল কেরাত, ৬৮ পৃষ্ঠা।

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

এ ব্যাপারে হযরত আনাস (রাঃ) এর কথাঃ

সাবেত বলেন, হযরত আনাস (রাঃ) আমাদেরকে সবসময় ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার হুকুম দিতেন।

বায়হাকী ২য় খণ্ড, ১৭০ পৃষ্ঠা।

এ আসারের সনদ হাসান। আসারটির বর্ণনাকারীদের সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ

১, আবু আবদুল্লাহ আল হাফেজ সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত। (তারিখে বাগদাদ, ৫ম খণ্ড, ৩৭৩ পৃষ্ঠা)

২,মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব তিনি বিশ্বস্ত হওয়ার উপর ইজমা প্রমাণিত। রেজালের পণ্ডিত যাহাবী বলেন, তিনি একজন ইমাম, বিশ্বস্ত ও মুহাদ্দেস। (তাযকিরাতুল হুফফায ৩য় খণ্ড, ৮৬০ পৃষ্ঠা।

৩,মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সাগানী। তিনি সহীহ মুসলিমের বর্ণনাকারী। রেজালের পণ্ডিত ইবনে হাজার বলেন, তিনি বিশ্বস্ত, (ত্তাকরিব, ৪৬৭ পৃষ্ঠা)

৪,আহ্মদ বিন সাঈদ, আদদারেমী। তিনি বুখারি, মুসলিমের বর্ণনাকারী। হাফেয ইবনে হাজার বলেন, তিনি বিশ্বস্ত, (তাকরিব)

৫, নজর ইবনে সুমায়েল , তিবি সহী সিত্তার বর্ণনাকারী। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি বিশ্বস্ত, ইমাম ও সুন্নতের হেফাযাতকারী। (আল কাশেফ, ৩য় খণ্ড, ১৭৯ পৃষ্ঠা)

৬, আওয়াম বিন হামযা সত্যবাদী। (তাকরীব, ৪৩৩ পৃষ্ঠা)।

৭, সাবেত আল বানানী , ইনিও সহী সিত্তার হাদীস বর্ণনাকারী ও বিশ্বস্ত। (তাকরীব, ১৩২ পৃষ্ঠা)

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

হযরত ইমরান বিন হুসাইন এর মতামতঃ

হযরত ইমরান বিন হুসাইন (রাঃ) বলেন, কোন মুসলিমের সালাত, ওজু ও রুকু ও সেজদা ও সূরা ফাতিহা ছাড়া পাক পবিত্র হয় না, ইমামের পিছনে হোক না হোক।

কেতাবুল কেরাত, ৬৮ পৃষ্ঠা।

ইমরান বিন হুসাইন (রাঃ) বলেন, সূরা ফাতিহা ছাড়া সালাত জায়েজ নাই।

(বায়হাকী, ২য় খণ্ড, ১৬২ পৃষ্ঠা)

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

হযরত আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল (রাঃ) এর মতামতঃ

হযরত আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল (রাঃ) ইমামের পিছনে যোহর ও আসরের প্রথম দুই রাকাতে সূরা ফাতিহাএবং তার সাথে আরও দুটি সূরা পড়তেন এবং শেষের দুই রাকাতে শুধু সূরা ফাতেহা পড়তেন।

যুযুল কেরাত, ৮ পৃষ্ঠা।

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

হযরত আবদুল্লাহ বিন যোবায়ের (রাঃ) এর মতামতঃ

মুজাহীদ (রহঃ) বলেন, যখন ইমামের পিছনে কেউ সূরা ফাতিহা না পড়ে তখন সে যেন, সালাত আবার পড়ে, এবং আবদুল্লাহ ইবনে যোবায়েরও এই কথা বলেন।

যুযুল কিরাত, ৬ প্রিশ্তহা।(বুখারী)

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

এই বিষয়ে মুয়াজ বিন জাবাল(রাঃ) এর মতামতঃ

এক ব্যাক্তি মুয়াজ বিন জাবাল(রাঃ) এর নিকট ইমামের পিছনে সূরা কেরাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেন, সূরা ফাতিহা পড়।

(মুয়ালেমুত তানযিল ২য় খণ্ড, ৩৩১ পৃষ্ঠা)

(বায়হাকী ২য় খণ্ড, ১৬৯ পৃষ্ঠা)

 

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

এ বিষয়ে হযরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) এর সাক্ষ্যঃ

হযরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমরা সাহাবায়ে কেরামগণ বলতাম, কোন সালাত সূরা ফাতিহা ছাড়া জায়েজ হয় না।

ইবনে আবি শায়বা ১ম খণ্ড, ৩৬১ পৃষ্ঠা ।

 

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল

Reviews (0)

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার দলিল আকাশের নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart
Facebook Twitter Instagram YouTube WhatsApp WhatsApp

Sign in

No account yet?