ইলমে গায়েবের মাসয়ালাটি খুবই সূক্ষ্ম, ঝুঁকিপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। বুঝলে পানির মতোই সহজ – নইলে, পাথরের চেয়েও কঠিন এবং মাকড়সার জালের চেয়েও জটিল মনে হবে। ফলে, গোমরাহ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকবে! বহু আলেমকে দেখেছি যে, এ নিয়ে আলোচনা বা বিতর্ক করতে গিয়ে জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ফেলেন! ফলে, নিজেরাতো গোমরাহ হনই, বরং অনুসারীদেরও গোমরাহ করে ফেলেন; এমনকি অনেকে না বুঝে কুফরি মন্তব্য করে কাফেরের খাতায় পর্যন্ত নাম লিখিয়েছে (মায়াজাল্লা)। উল্লেখ্য, সুন্নী মুসলিম ও ওয়াহাবীদের মাঝে আকীদাগত প্রধানতম পার্থক্য রয়েছে, এ মাসয়ালায়। কেননা, এতে হাজির-নাযির, মীলাদ ও কিয়াম শরীফ এবং নবী-ওলীগণের দূর থেকে বা তাঁদের ইন্তেকালের পরে দুনিয়াবাসীকে সাহায্য করার মাসয়ালাগুলোও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
ইলমে গায়েবের মাসয়ালা সঠিকভাবে বুঝতে হলে, আগে এ সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং সেগুলোর উত্তর পরিষ্কারভাবে জানতে হবে। যেমন-
১। এলেম বা জ্ঞান কতো প্রকার ও কী কী এবং সেসবের সংজ্ঞাইবা কী?
২। ইন্দ্রিয় কাকে বলে এবং কতো প্রকার ও কী কী?
৩। নাবা, নবুয়ত ও নবী শব্দের অর্থ ও মর্ম কী কী?
৪। ইলমে গায়েবের ভান্ডারগুলো কী কী?
৫। “আলিমুল গায়েব” এর অর্থ কী এবং আল্লাহুতা’লা ছাড়া আর কেউ আলিমুল গায়েব কিনা?
৬। মহান আল্লাহপাক মহানবীকে ইলমে গায়েব দান করেছেন কিনা এবং করে থাকলে, কতোটুকু ও কিভাবে?
দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, অধিকাংশ আলেমেরই এসব ব্যাপারে স্পষ্ট, সঠিক ও সন্তোষজনক ধারণা নেই। ফলে, সুন্নী ও ওয়াহাবীদের মাঝে দূরত্ব দিনে দিনে বাড়ছেই। তাই, আমি এ ব্যাপারে আলোকপাত করবো এবং আমার প্রতিপক্ষের প্রতি চ্যালেঞ্জ থাকবে – গঠনমূলক যুক্তি দিয়ে আমার বক্তব্যগুলো খন্ডন করার!
Reviews
There are no reviews yet.