একশ হাদীস
একশ হাদীস
দীনের বিভিন্ন বিষয়ে পানি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক বর্ণিত অতি গুরুত্বপূর্ণ
একশ হাদীস
সংকলনে:
যুলফী ইসলামিক সেন্টার সু‘উদী আরব
অনুবাদক:
মুহাম্মাদ ইব্রাহীম আল-মাদানী
সম্পাদক:
শাইখ আনীসুর রহমান আল-মাদানী
দাঈ ধর্ম মন্ত্রণালয়, সু‘উদী আরব, বাংলাদেশ
প্রকাশনায়
তাওহীদ পাবলিকেশন্স
একশ হাদীস
একশ হাদীস
(۱) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: كَلِمَتَانِ خَفِيْفَتَانِ عَلَى النِّسَانِ، ثَقِيْلَتَانِ فِي الْمِيزَانِ، حَبِيْبَتَانِ إِلَى الرَّحْمَنِ: سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحَانَ اللَّهِ
الْعَظِيْمِ (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]
১। আবূ হুরাইরা (র) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: দু’টি কালিমাহ- বাক্য যা মুখে উচ্চারণে হালকা-সহজ, নেকীর পাল্লায় ভারী ও অসীম করুণাময় আল্লাহর নিকটে প্রিয়, ঐ কালিমাহ দু’টি হলো: সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযীম।
[বুখারী (৬৪০৬, ৬৬৮২, ৭৫৬৩) ও মুসলিম (২৬৯৪)]
(٢) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ الله
، فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ! مَنْ أَحَقُّ النَّاسِ بِحُسْنِ صَحَابَتِي؟ قَالَ: «أُمُّكَ» قَالَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: «أُمُّكَ» قَالَ: ثَمَّ مَنْ؟ قَالَ: «أُمُّكَ قَالَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: «أَبُوْكَ» [مُتَفَقٌ عَلَيْهِ ]
২। আবূ হুরাইরা (র) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (স) এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল: মানুষের মধ্যে কে আমার সৎ ব্যবহার পাওয়ার বেশী অধিকারী? রাসূল বললেন: তোমার মা। সে বল্ল:তারপর কে? রাসূল বললেন: তোমার মা। সে বলল: তারপর কে? রাসূল বললেন: তোমার মা। সে বলল: তারপর কে? রাসূল বললেন: তোমার বাবা। [বুখারী (৫৯৭১) ও মুসলিম (২৫৪৮)]
একশ হাদীস
(۳) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِيَّاكَ وَالظَّنَّ, فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيْثِ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]
৩। আবূ হুরাইরা (র:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমরা ধারণা করা হতে বেঁচে থাকো। কারণ ধারণা করা সর্বাপেক্ষা মিথ্যা কথা। [বুখারী (৫১৪৩, ৬০৬৪, ৬০৬৬, ৬৭২৪) ও মুসলিম (২৫৬৩)]
(٤) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مَا يَتَبَيَّنُ فِيْهَا، يَزِلُّ بِهَا فِي النَّارِ أَبْعَدَ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]
৪। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: নিশ্চয় ব্যক্তি এমন শব্দের দ্বারা কথাবার্তা বলে যাতে সে ভাল-মন্দের যাচাই-বাছাই করে না, শেষে এর বিনিময় সে জাহান্নামে পিছলে পড়ে যায়, যার দূরত্ব পশ্চিম ও পূর্বের দূরত্বের ন্যায়। [বুখারী (৬৪৭৭) ও মুসলিম (২৯৮৮)]
একশ হাদীস
(٥) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِنَّ الله يُغَارُ، وَغَيْرَ : الله أن يأتي الْمُؤْمِنُ مَا حَرَّمَ الله
৫। আবূ হুরাইরা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন:নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহ গাইরাত করেন-কোন জিনিসে অপরের শরীক হওয়াকে অপছন্দ করেন। আর আল্লাহর গাইরাত হলো: তিনি যা হারাম করেছেন তাতে মু’মিনের পতিত হওয়া। [বুখারী (৫২২৩) ও মুসলিম (২৭৬১)]
(٦) عَنْ أَبي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ اللهُ قَالَ: «مَنْ
قَامَ رَمَضَانَ إِيْمَانًا وَاِحْتِسَبًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»
[ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]
৬। আবূ হুরাইরা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের প্রত্যাশায় রামাযান মাসে কিয়াম- রাত্রির সালাত আদায় করবে সে ব্যক্তির অতীতের পায় যা হবে গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। [বুখারী (৩৭, ২০০৯) ও মুসলিম (৭৫৯)]
একশ হাদীস
(۷) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةُ لِمَا بَيْنَهُمَا، والتحجُ الْمَبْرُورُ
একশ হাদীস
لَيْسَ لَهُ جَزَاءُ إِلَّا الْجَنَّةِ» [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ا )
৭। আবূ হুরাইরা (র:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয় রাসূল (স:) বলেছেন: এক উমরাহ হতে অপর উমরাহ এ দু’য়ের মাঝে কৃত পাপের কাফ্ফারা। আর গৃহীত হজ্জের একমাত্র প্রতিদান হল জান্নাত। [হাদীসটি ইমাম বুখারী (১৭৭৩) ও মুসলিম (১৩৪৯) বর্ণনা করেছেন]
(۸) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: التَّثَاؤُبُ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِذَا تَثَاوَّبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرُدَّهُ مَا
اسْتَطَاعَ [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]
৮। আবূ হুরাইরা (র:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স:) বলেছেন: হাই দেয়া শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। অতঃপর তোমাদের কারো হাই আসলে সে যেন তা সাধ্যানুপাতে প্রতিহত করে। [বুখারী (৩২৮৯) ও মুসলিম (২৯৯৪)]
(۹) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: السَّاعِي عَلَى الْأَرْمِلَةِ وَالْمِسْكِيْنِ كَالْمُجَاهِدِ فِي سَبِيْلِ اللهِ، وَأَحْسِبُهُ قَالَ: وَكَالْقَائِمِ الَّذِي لَا يَفْتُرُ وَكَالْصَائِمِ
الَّذِي لَا يَفْظُرُ» [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]
৯। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: বিধবা ও দরিদ্রদেরকে দেখা-শুনাকারী ও তাদের জন্য প্রচেষ্টাকারী আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর ন্যায়। বর্ণনাকারী বলেন: আমি তাঁকে ধারণা করলাম যে তিনি বলেছেন: সারারাত নিরলস সালাত আদায়কারী ও একাধারে সিয়াম সাধনাকারীর ন্যায়।[বুখারী (৫৩৫৩, ৬০০৬, ৬০০৭) ও মুসলিম (২৯৮২)]
একশ হাদীস
(١٠) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَا يُصِيبُ الْمُسْلِمَ مِنْ نَصَبٍ وَلَا وَصَبٍ وَلَا هَمَ وَلَا حُزْنٍ وَلَا أَذًى وَلَا غَمَ حَتَّى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا إِلَّا كَفْرَ الله
بِهَا مِنْ خَطَايَاهُ [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]
১০। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: কাঁটা বিদ্ধ হওয়াসহ যে কোন দুংখ-কষ্ট, চিন্তা-ভাবনা, অসুস্থতা, অশান্তি একজন মুসলিমের জীবনে পৌঁছলে, আল্লাহ এর বিনিময় তার পাপকে মিটিয়ে দিবেন। [বুখারী (৫৬৪১) ও মুসলিম (২৫৭৩)]
(۱۱) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسُ رَدُّ السَّلَامِ، وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ، وَاتَبَاعُ الجنَائِزِ، وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ، وَتَشْمِيْتُ
একশ হাদীস
الْعَاطِسِ». [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]
১১। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের পাঁচটি হক্ব- অধিকার রয়েছে: ১. সালামের উত্তর দেয়া, ২. অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া, ৩. জানাযার সালাতে অংশগ্রহণ করা, ৪. দা—ওয়াত গ্রহণ করা, ৫. হাঁচি দিয়ে আল-হামদু লিল্লাহি বলা ব্যক্তির জাওয়াব-উত্তর দেয়া। [বুখারী (১২৪০) ও মুসলিম (২১৬২)]
একশ হাদীস
(١٢) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَنْ شَهِدَ الْجَنَازَةَ حَتَّى يُصَلَّى عَلَيْهَا فَلَهُ قِيْرَاطُ، وَمَنْ شَهِدَهَا حَتَّى تُدْفَنَ فَلَهُ قِيرَاطَانِ، قِيْلَ: وَمَا الْقِيرَاطَانِ؟ قَالَ:
১২। আবূ হুরাইরা (র:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (প্রাণানাই) বলেছেন: যে ব্যক্তি জানাযায় উপস্থিত হয়ে সালাত আদায় করলো সে এক কীরাত নেকীর অধিকারী হলো, আর যে দাফন করা পর্যন্ত জানাযার সঙ্গে থাকলো সে দু’ কীরাত নেকীর অধিকারী হলো। জিজ্ঞেস করা হলো: দু’ কীরাত কী? তিনি বললেন: দু’টি বিরাট দু’টি বিরাট পাহাড় সমপরিমাণ। [বুখারী (১৩২৫) ও মুসলিম (৯৪৫)]
একশ হাদীস
(١٣) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَا عاب النبي صلى الله عليه وسلم طَعَامًا قَط، إِنْ اشْتَهَاهُ أَكَلَهُ، وَإِنْ كَرِهَهُ
تَرَكَهُ». [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]
১৩। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: নাবী (সা.) কখনই কোন খাবারের দোষ বর্ণনা করেননি। ভাল লাগলে খেতেন, খারাপ লাগলে ছেড়ে দিতেন। [বুখারী (৫৪০৯) ও মুসলিম (২০৬৪)]
(١٤) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: الحُجِبَتِ النَّارُ بِالشَّهَوَاتِ، وَحُجِبَتِ الجنَّةُ بِالْمَكَارِهِ)
১৪। আবূ হুরাইরা অআলা) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সারা) বলেছেন: শাহাওয়াত তথা প্ৰবৃত্তি দ্বারা জাহান্নাম ঢাকা রয়েছে। আর মাকারিহ তথা কষ্ট দ্বারা জান্নাত ঢাকা রয়েছে। [বুখারী (৬৪৮৭) মুসলিম (২৮২২)]
قُلْتَ لِصَاحِبِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَنْصِتْ وَاْلإِمَامُ يَخْطُبُ،
একশ হাদীস
১৫। আবূ হুরাইরা (র:) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: জুমু’আ দিবসে খুত্ববা চলাকালীন তুমি তোমার সাথীকে যদি চুপ থাক বল, তাহলে তুমি অসার কাজে লিপ্ত হলে। [বুখারী (৯৩৪) ও মুসলিম (৮৫১)]
(١٦) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «لَوْ لَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسَوَاكِ عَنْدَ كَلِ صَلَاةٍ
[ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]
১৬।আবূ হুরাইরা (র:) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: আমি আমার উম্মাতের উপর কষ্ট মনে না করলে, তাদেরকে প্রত্যেক সালাতের সময় মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম। [বুখারী (৭২৪০) ও মুসলিম (২৫২)]
(۱۷) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: وَيْلٌ لِلْأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ» [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]
১৭। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যারা অযূ করার সময় পায়ের গোড়ালী ভালভাবে ধৌত করে না, তাদের জন্য জাহান্নামের ওয়াইল নামক স্থান বরাদ্দ রয়েছে। [বুখারী (১৬৫) ও মুসলিম (২৪২)]
(۱۸) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «أَمَا
একশ হাদীস
يَخْشَى الَّذِي يَرْفَعُ رَأْسَهُ قَبْلَ الْإِمَامِ أَنْ يُحَولَ اللهُ رَأْسَهُ
১৮। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি সালাতে ইমামের আগে মাথা উঠায় সে ব্যক্তি কি ভয় পায় না যে, আল্লাহ তার মাথাকে গাধার মাথায় পরিণত করে দিবেন? [বুখারী (৬৯১) ও মুসলিম (৪২৭)]
(۱۹) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَنْ غَدَا إِلَى الْمَسْجِدِ أَوْ رَاحَ، أَعَدَّ اللهُ لَهُ نُزُلًا في الجنَّةِ
১৯। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি সকালে অথবা সন্ধ্যায় মাসজিদে যাবে, সে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাতে মেহমানদারীর ব্যবস্থা করবেন। যতবার সকাল ও সন্ধ্যায় যাবে ততবারই। [হাদীসটি ইমাম বুখারী (৬৬২) ও মুসলিম (৬৬৯) বর্ণনা করেছেন]
(٢٠) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ اللهِ قَالَ: «آيه الْمُنَافِقِ ثَلاث: إذا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ،
একশ হাদীস
২০। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: মুনাফিকের নিদর্শন তিনটি: ১. যখন কথা বলবে মিথ্যা বলবে, ২. যখন ওয়াদা দিবে ভঙ্গ করবে, ৩. যখন তার নিকট আমানত রাখা হবে তার খিয়ানত করবে। [হাদীসটি ইমাম বুখারী (৩৩, ২৬৮২, ২৭৪৯, ৬০৯৫) ও মুসলিম (৫৯) বর্ণনা করেছেন]
(٢١) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَا
أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ مِنَ الْإِزَارِ فَفِي النَّارِ». [رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ]
২১। আবূ হুরাইরা (র) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: লুঙ্গির যতটুক পায়ের টাখনুর নিচে থাকবে ততটুকু জাহান্নামে থাকবে। [হাদীসটি ইমাম বুখারী (৫৭৮৭) বর্ণনা করেছেন]
(٢٢) عَنْ أبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: الْمَلَائِكَةُ تُصَلِّ عَلَى أَحَدِكُمْ ما دَامَ فِي مُصَلاهُ الَّذِي صَلَّى فِيْهِ مَا لَمْ يُحْدِثُ، تَقُولُ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، اللّهُم
ارْحَمْهُ». [رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ]
২২। আবূ হুরাইরা (রা:) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: তোমাদের কেউ যতক্ষণ অযূ অবস্থায় নিজ সালাত আদায় স্থানে থাকে ততক্ষণ ফিরিশতারা তার জন্য ক্ষমা চায়। বলে: হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা কর। হে আল্লাহ! তুমি তার প্রতি দয়া কর। [হাদীসটি ইমাম বুখারী (৪৪৫) বর্ণনা করেছেন]
একশ হাদীস
(٢٣) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «كُلُّ أُمَّتى يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ أَبَى» قَالُوا: يَا رَسُوْلَ اللهِ!
وَمَنْ أَبَى؟ قَالَ: «مَنْ أَطَاعَنِيْ دَخَلَ الْجَنَّةَ، وَمَنْ عَصَانِي
فَقَدْ أَبَى». [رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ]
২৩। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: অস্বীকারকারী ব্যতীত আমার উম্মাতের সকলেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন: হে আল্লাহর রাসূল! অস্বীকারকারী কে? তিনি বললেন: যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করবে সে জান্নাতে যাবে। আর যে ব্যক্তি আমার বিরোধিতা করবে সে অস্বীকারকারী। [হাদীসটি ইমাম বুখারী (৭২৮০) বর্ণনা করেছেন]
(٢٤) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِذَا قَالَ الرَّجُلُ لِأَخِيهِ يَا كَافِرُ، فَقَدْ بَاءَ بِهِ أَحَدُهُمَا رَوَاهُ
২৪। আবূ হুরাইরা(র:) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (আনায়ার) বলেছেন: কোন ব্যক্তি যখন তার অপর ভাইকে বলবে হে কাফির! এর বিনিময়ে তার দিকে দু’টি বিধানের একটি বিধান প্রত্যাবর্তন করবে।

একশ হাদীস
Reviews
There are no reviews yet.