একশ হাদীস

৳ 36

একশ হাদীস
লেখক : মুহাম্মাদ ইবরাহীম আল-মাদানী
প্রকাশনী : তাওহীদ পাবলিকেশন্স
বিষয় : হাদিস ও সুন্নাত
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৫৫; কাভার: পেপার ব্যাক
Description

একশ হাদীস

একশ হাদীস
প্রকাশনী : তাওহীদ পাবলিকেশন্স
বিষয় : হাদিস ও সুন্নাত
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৫৫; কাভার: পেপার ব্যাক
বইটি কিনতে কিল্ক করুন: একশ হাদীস
আরো জানতে কিল্ক করুন: তাওহীদ পাবলিকেশন্স

একশ হাদীস

দীনের বিভিন্ন বিষয়ে পানি বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক বর্ণিত অতি গুরুত্বপূর্ণ

একশ হাদীস

সংকলনে:

যুলফী ইসলামিক সেন্টার সু‘উদী আরব

অনুবাদক:

মুহাম্মাদ ইব্রাহীম আল-মাদানী

সম্পাদক:

শাইখ আনীসুর রহমান আল-মাদানী

দাঈ ধর্ম মন্ত্রণালয়, সু‘উদী আরব, বাংলাদেশ

প্রকাশনায়

তাওহীদ পাবলিকেশন্স


একশ হাদীস

একশ হাদীস

(۱) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: كَلِمَتَانِ خَفِيْفَتَانِ عَلَى النِّسَانِ، ثَقِيْلَتَانِ فِي الْمِيزَانِ، حَبِيْبَتَانِ إِلَى الرَّحْمَنِ: سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحَانَ اللَّهِ

الْعَظِيْمِ (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]

১। আবূ হুরাইরা (র) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: দু’টি কালিমাহ- বাক্য যা মুখে উচ্চারণে হালকা-সহজ, নেকীর পাল্লায় ভারী ও অসীম করুণাময় আল্লাহর নিকটে প্রিয়, ঐ কালিমাহ দু’টি হলো: সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযীম।

[বুখারী (৬৪০৬, ৬৬৮২, ৭৫৬৩) ও মুসলিম (২৬৯৪)]

(٢) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ الله

، فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ! مَنْ أَحَقُّ النَّاسِ بِحُسْنِ صَحَابَتِي؟ قَالَ: «أُمُّكَ» قَالَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: «أُمُّكَ» قَالَ: ثَمَّ مَنْ؟ قَالَ: «أُمُّكَ قَالَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: «أَبُوْكَ» [مُتَفَقٌ عَلَيْهِ ]

২। আবূ হুরাইরা (র) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (স) এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল: মানুষের মধ্যে কে আমার সৎ ব্যবহার পাওয়ার বেশী অধিকারী? রাসূল বললেন: তোমার মা। সে বল্ল:তারপর কে? রাসূল বললেন: তোমার মা। সে বলল: তারপর কে? রাসূল বললেন: তোমার মা। সে বলল: তারপর কে? রাসূল বললেন: তোমার বাবা। [বুখারী (৫৯৭১) ও মুসলিম (২৫৪৮)]

একশ হাদীস

(۳) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِيَّاكَ وَالظَّنَّ, فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيْثِ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]

৩। আবূ হুরাইরা (র:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমরা ধারণা করা হতে বেঁচে থাকো। কারণ ধারণা করা সর্বাপেক্ষা মিথ্যা কথা।  [বুখারী (৫১৪৩, ৬০৬৪, ৬০৬৬, ৬৭২৪) ও মুসলিম (২৫৬৩)]

(٤) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مَا يَتَبَيَّنُ فِيْهَا، يَزِلُّ بِهَا فِي النَّارِ أَبْعَدَ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]

৪। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: নিশ্চয় ব্যক্তি এমন শব্দের দ্বারা কথাবার্তা বলে যাতে সে ভাল-মন্দের যাচাই-বাছাই করে না, শেষে এর বিনিময় সে জাহান্নামে পিছলে পড়ে যায়, যার দূরত্ব পশ্চিম ও পূর্বের দূরত্বের ন্যায়। [বুখারী (৬৪৭৭) ও মুসলিম (২৯৮৮)]

একশ হাদীস

(٥) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِنَّ الله يُغَارُ، وَغَيْرَ : الله أن يأتي الْمُؤْمِنُ مَا حَرَّمَ الله

৫। আবূ হুরাইরা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন:নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহ গাইরাত করেন-কোন জিনিসে অপরের শরীক হওয়াকে অপছন্দ করেন। আর আল্লাহর গাইরাত হলো: তিনি যা হারাম করেছেন তাতে মু’মিনের পতিত হওয়া। [বুখারী (৫২২৩) ও মুসলিম (২৭৬১)]

(٦) عَنْ أَبي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ اللهُ قَالَ: «مَنْ

قَامَ رَمَضَانَ إِيْمَانًا وَاِحْتِسَبًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»

[ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]

৬। আবূ হুরাইরা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের প্রত্যাশায় রামাযান মাসে কিয়াম- রাত্রির সালাত আদায় করবে সে ব্যক্তির অতীতের পায় যা হবে গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। [বুখারী (৩৭, ২০০৯) ও মুসলিম (৭৫৯)]

একশ হাদীস

(۷) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةُ لِمَا بَيْنَهُمَا، والتحجُ الْمَبْرُورُ

একশ হাদীস

لَيْسَ لَهُ جَزَاءُ إِلَّا الْجَنَّةِ» [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ا )

৭। আবূ হুরাইরা (র:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয় রাসূল (স:) বলেছেন: এক উমরাহ হতে অপর উমরাহ এ দু’য়ের মাঝে কৃত পাপের কাফ্ফারা। আর গৃহীত হজ্জের একমাত্র প্রতিদান হল জান্নাত। [হাদীসটি ইমাম বুখারী (১৭৭৩) ও মুসলিম (১৩৪৯) বর্ণনা করেছেন]

(۸) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: التَّثَاؤُبُ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِذَا تَثَاوَّبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرُدَّهُ مَا

اسْتَطَاعَ [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]

৮। আবূ হুরাইরা (র:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স:) বলেছেন: হাই দেয়া শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। অতঃপর তোমাদের কারো হাই আসলে সে যেন তা সাধ্যানুপাতে প্রতিহত করে। [বুখারী (৩২৮৯) ও মুসলিম (২৯৯৪)]

(۹) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: السَّاعِي عَلَى الْأَرْمِلَةِ وَالْمِسْكِيْنِ كَالْمُجَاهِدِ فِي سَبِيْلِ اللهِ، وَأَحْسِبُهُ قَالَ: وَكَالْقَائِمِ الَّذِي لَا يَفْتُرُ وَكَالْصَائِمِ

الَّذِي لَا يَفْظُرُ» [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]

৯। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: বিধবা ও দরিদ্রদেরকে দেখা-শুনাকারী ও তাদের জন্য প্রচেষ্টাকারী আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর ন্যায়। বর্ণনাকারী বলেন: আমি তাঁকে ধারণা করলাম যে তিনি বলেছেন: সারারাত নিরলস সালাত আদায়কারী ও একাধারে সিয়াম সাধনাকারীর ন্যায়।[বুখারী (৫৩৫৩, ৬০০৬, ৬০০৭) ও মুসলিম (২৯৮২)] 

একশ হাদীস

(١٠) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَا يُصِيبُ الْمُسْلِمَ مِنْ نَصَبٍ وَلَا وَصَبٍ وَلَا هَمَ وَلَا حُزْنٍ وَلَا أَذًى وَلَا غَمَ حَتَّى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا إِلَّا كَفْرَ الله

بِهَا مِنْ خَطَايَاهُ [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]

১০। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: কাঁটা বিদ্ধ হওয়াসহ যে কোন দুংখ-কষ্ট, চিন্তা-ভাবনা, অসুস্থতা, অশান্তি একজন মুসলিমের জীবনে পৌঁছলে, আল্লাহ এর বিনিময় তার পাপকে মিটিয়ে দিবেন। [বুখারী (৫৬৪১) ও মুসলিম (২৫৭৩)]

(۱۱) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسُ رَدُّ السَّلَامِ، وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ، وَاتَبَاعُ الجنَائِزِ، وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ، وَتَشْمِيْتُ

একশ হাদীস

الْعَاطِسِ». [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]

১১। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের পাঁচটি হক্ব- অধিকার রয়েছে: ১. সালামের উত্তর দেয়া, ২. অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া, ৩. জানাযার সালাতে অংশগ্রহণ করা, ৪. দা—ওয়াত গ্রহণ করা, ৫. হাঁচি দিয়ে আল-হামদু লিল্লাহি বলা ব্যক্তির জাওয়াব-উত্তর দেয়া। [বুখারী (১২৪০) ও মুসলিম (২১৬২)]

একশ হাদীস

(١٢) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَنْ شَهِدَ الْجَنَازَةَ حَتَّى يُصَلَّى عَلَيْهَا فَلَهُ قِيْرَاطُ، وَمَنْ شَهِدَهَا حَتَّى تُدْفَنَ فَلَهُ قِيرَاطَانِ، قِيْلَ: وَمَا الْقِيرَاطَانِ؟ قَالَ:

১২। আবূ হুরাইরা (র:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (প্রাণানাই) বলেছেন: যে ব্যক্তি জানাযায় উপস্থিত হয়ে সালাত আদায় করলো সে এক কীরাত নেকীর অধিকারী হলো, আর যে দাফন করা পর্যন্ত জানাযার সঙ্গে থাকলো সে দু’ কীরাত নেকীর অধিকারী হলো। জিজ্ঞেস করা হলো: দু’ কীরাত কী? তিনি বললেন: দু’টি বিরাট দু’টি বিরাট পাহাড় সমপরিমাণ। [বুখারী (১৩২৫) ও মুসলিম (৯৪৫)]

একশ হাদীস

(١٣) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَا عاب النبي صلى الله عليه وسلم طَعَامًا قَط، إِنْ اشْتَهَاهُ أَكَلَهُ، وَإِنْ كَرِهَهُ

تَرَكَهُ». [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]

১৩। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: নাবী (সা.) কখনই কোন খাবারের দোষ বর্ণনা করেননি। ভাল লাগলে খেতেন, খারাপ লাগলে ছেড়ে দিতেন। [বুখারী (৫৪০৯) ও মুসলিম (২০৬৪)]

(١٤) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: الحُجِبَتِ النَّارُ بِالشَّهَوَاتِ، وَحُجِبَتِ الجنَّةُ بِالْمَكَارِهِ)

১৪। আবূ হুরাইরা অআলা) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সারা) বলেছেন: শাহাওয়াত তথা প্ৰবৃত্তি দ্বারা জাহান্নাম ঢাকা রয়েছে। আর মাকারিহ তথা কষ্ট দ্বারা জান্নাত ঢাকা রয়েছে। [বুখারী (৬৪৮৭) মুসলিম (২৮২২)]

قُلْتَ لِصَاحِبِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَنْصِتْ وَاْلإِمَامُ يَخْطُبُ،

একশ হাদীস

১৫। আবূ হুরাইরা (র:) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: জুমু’আ দিবসে খুত্ববা চলাকালীন তুমি তোমার সাথীকে যদি চুপ থাক বল, তাহলে তুমি অসার কাজে লিপ্ত হলে। [বুখারী (৯৩৪) ও মুসলিম (৮৫১)]

(١٦) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «لَوْ لَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسَوَاكِ عَنْدَ كَلِ صَلَاةٍ

[ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]

১৬।আবূ হুরাইরা (র:) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: আমি আমার উম্মাতের  উপর কষ্ট মনে না করলে, তাদেরকে প্রত্যেক সালাতের সময় মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম। [বুখারী (৭২৪০) ও মুসলিম (২৫২)]

(۱۷) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: وَيْلٌ لِلْأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ» [مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ ]

১৭। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যারা অযূ করার সময় পায়ের গোড়ালী ভালভাবে ধৌত করে না, তাদের জন্য জাহান্নামের ওয়াইল নামক স্থান বরাদ্দ রয়েছে। [বুখারী (১৬৫) ও মুসলিম (২৪২)]

(۱۸) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «أَمَا

একশ হাদীস

 

يَخْشَى الَّذِي يَرْفَعُ رَأْسَهُ قَبْلَ الْإِمَامِ أَنْ يُحَولَ اللهُ رَأْسَهُ

১৮। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি সালাতে ইমামের আগে মাথা উঠায় সে ব্যক্তি কি ভয় পায় না যে, আল্লাহ তার মাথাকে গাধার মাথায় পরিণত করে দিবেন? [বুখারী (৬৯১) ও মুসলিম (৪২৭)]

(۱۹) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَنْ غَدَا إِلَى الْمَسْجِدِ أَوْ رَاحَ، أَعَدَّ اللهُ لَهُ نُزُلًا في الجنَّةِ

১৯। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি সকালে অথবা সন্ধ্যায় মাসজিদে যাবে, সে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাতে মেহমানদারীর ব্যবস্থা করবেন। যতবার সকাল ও সন্ধ্যায় যাবে ততবারই। [হাদীসটি ইমাম বুখারী (৬৬২) ও মুসলিম (৬৬৯) বর্ণনা করেছেন]

(٢٠) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ اللهِ قَالَ: «آيه الْمُنَافِقِ ثَلاث: إذا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ،

একশ হাদীস

২০। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: মুনাফিকের নিদর্শন তিনটি: ১. যখন কথা বলবে মিথ্যা বলবে, ২. যখন ওয়াদা দিবে ভঙ্গ করবে, ৩. যখন তার নিকট আমানত রাখা হবে তার খিয়ানত করবে। [হাদীসটি ইমাম বুখারী (৩৩, ২৬৮২, ২৭৪৯, ৬০৯৫) ও মুসলিম (৫৯) বর্ণনা করেছেন]

(٢١) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَا

أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ مِنَ الْإِزَارِ فَفِي النَّارِ». [رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ]

২১। আবূ হুরাইরা (র) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: লুঙ্গির যতটুক পায়ের টাখনুর নিচে থাকবে ততটুকু জাহান্নামে থাকবে। [হাদীসটি ইমাম বুখারী (৫৭৮৭) বর্ণনা করেছেন]

(٢٢) عَنْ أبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: الْمَلَائِكَةُ تُصَلِّ عَلَى أَحَدِكُمْ ما دَامَ فِي مُصَلاهُ الَّذِي صَلَّى فِيْهِ مَا لَمْ يُحْدِثُ، تَقُولُ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، اللّهُم

ارْحَمْهُ». [رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ]

 ২২। আবূ হুরাইরা (রা:) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: তোমাদের কেউ যতক্ষণ অযূ অবস্থায় নিজ সালাত আদায় স্থানে থাকে ততক্ষণ ফিরিশতারা তার জন্য ক্ষমা চায়। বলে: হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা কর। হে আল্লাহ! তুমি তার প্রতি দয়া কর। [হাদীসটি ইমাম বুখারী (৪৪৫) বর্ণনা করেছেন]

একশ হাদীস

(٢٣) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «كُلُّ أُمَّتى يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ أَبَى» قَالُوا: يَا رَسُوْلَ اللهِ!

وَمَنْ أَبَى؟ قَالَ: «مَنْ أَطَاعَنِيْ دَخَلَ الْجَنَّةَ، وَمَنْ عَصَانِي

فَقَدْ أَبَى». [رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ]

 

২৩। আবূ হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: অস্বীকারকারী ব্যতীত আমার উম্মাতের সকলেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন: হে আল্লাহর রাসূল! অস্বীকারকারী কে? তিনি বললেন: যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করবে সে জান্নাতে যাবে। আর যে ব্যক্তি আমার বিরোধিতা করবে সে অস্বীকারকারী। [হাদীসটি ইমাম বুখারী (৭২৮০) বর্ণনা করেছেন]

(٢٤) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِذَا قَالَ الرَّجُلُ لِأَخِيهِ يَا كَافِرُ، فَقَدْ بَاءَ بِهِ أَحَدُهُمَا رَوَاهُ

 

২৪। আবূ হুরাইরা(র:) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (আনায়ার) বলেছেন: কোন ব্যক্তি যখন তার অপর ভাইকে বলবে হে কাফির! এর বিনিময়ে তার দিকে দু’টি বিধানের একটি বিধান প্রত্যাবর্তন করবে।

একশত হাদীস

একশ হাদীস

Reviews (0)

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “একশ হাদীস”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart
Facebook Twitter Instagram YouTube WhatsApp WhatsApp

Sign in

No account yet?