ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি
ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি
লেখক : আল্লামা নাসীরুদ্দীন আলবানী (রহঃ)
প্রকাশনী : তাওহীদ পাবলিকেশন্স
বিষয় : সালাত/নামায
সম্পাদক : আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম,আবূ রাশাদ আজমাল বিন আব্দুন নূর
পৃষ্ঠা : ২৩৯, কভার : পেপার ব্যাক,
বইটি কিনতে কিল্ক করুন: ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি
আরো জানতে কিল্ক করুন: তাওহীদ পাবলকিশেন্স
ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি বইটি সারা বিশ্বে প্রসিদ্ধ একটি গ্রন্থ এবং প্রায় সকল ভাষাতেই অনূদিত হয়েছে। লেখক কিতাবে ছলাতের মৌলিক-অমৌলিক খুঁটিনাটি সমস্ত নিয়ম-পদ্ধতির আলাদা আলাদা শিরোনাম নির্ধারণ করে তার আওতায় হাদীছের বিভিন্ন গ্রন্থের উদ্ধৃতিসহ তথ্য উল্লেখ করেছেন। শুধু ছহীহ বা হাসান হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত নিয়মগুলোই তিনি নিয়েছেন। যঈফ বা মওযু হাদীছ থেকে যে সমস্ত নিয়ম পাওয়া যায় তা তিনি উল্লেখ করেননি। এছাড়াও পাঠকের সুবিধার্থে এতে প্রয়োজনীয় টীকা সংযুক্ত করা হয়েছে।
“তোমরা সালাতসমূহ বিশেষভাবে মধ্যবতী সালাতে হিফাজত কর এবং আল্লাহর জন্য দাঁড়াও বিনীত হয়ে। কিন্তু যদি তোমরা ভয় করো, তবে হেঁটে কিংবা আরোহণ করে (আদায় করে নাও)। এরপর যখন নিরাপদ হবে তখন আল্লাহকে স্মরণ কর, যেভাবে তিনি তোমাদেরকে শিখিয়েছেন, যা তোমরা জানতে না।” ( সূরা আল-বাকারা ২ঃ২৩৮-২৩৯)
নিশ্চয়ই আমরা জানতাম না, আমাদেরকে আল্লাহ তাআলা বিশ্ব নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে জানিয়েছেন। বিশ্ব নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে সালাত আদায় করতেন আমাদেরকে সেভাবেই সালাত আদায় করতে হবে।
নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের
ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি
“তাকবীর থেকে সালাত পর্যন্ত এমনভাবে যেন আপনি দেখছেন।”
মূল:
যুগ শ্রেষ্ঠ প্রকৃত আল্লামাহ ও মুহাদ্দিছ
মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহিমাহুল্লাহ)
অনুবাদ ও সম্পাদনা:
আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম
আবূ রাশাদ আজমাল বিন আব্দুন নূর
প্রকাশনায়
তাওহীদ পাবলিকেশন্স
ঢাকা-বাংলাদেশ
সূচীপত্র
বিষয়
- অনুবাদক ও সম্পাদকের ভূমিকা
- প্রথম সংস্করণের ভূমিকা
- গ্রন্থ প্রণয়নের কারণ
- কিতাবটির সংকলন পদ্ধতি
- সুন্নাহ্র অনুসরণ ও তার বিপক্ষে ইমামগণের কথা বর্জন করার
- ব্যাপারে ইমামগণের উক্তি
- কাবামুখী হওয়া
- কিয়াম বা দাঁড়ানো
- পীড়িত ব্যক্তির বসে সলাত আদায়
- নৌযানে সলাত
- রাত্রিকালীন ছলাতে দাঁড়ানো ও বসা
- জুতা পরে সলাত ও তার আদেশ
- মিম্বরের উপর সলাত
- সুতরা বা আড়াল ও তার ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গ
- যা সলাত ভঙ্গ করে
- কবরের দিকে সলাত (এর বিধান)
- নিয়ত প্ৰসঙ্গ
- তাকবীর প্রসঙ্গ
- হস্ত উত্তোলন প্রসঙ্গ
- বাম হাতের উপর ডান হাত রাখার নির্দেশ
- বুকের উপর হাত রাখা
- সাজদার স্থানে দৃষ্টি রাখা ও একাগ্রতা
- ছলাতের শুরুতে পঠিতব্য দু’আ
- ক্বিরা’আত প্রসঙ্গ
- প্রতি আয়াতকে পৃথক পৃথকভাবে পাঠ করা সূরা ফাতিহার রুকন হওয়া ও তার ফযীলতসমূহ
- সরব ক্বিরা‘আতবিশিষ্ট ছালাতে ইমামের পিছনে কিরা’আত পড়া বিধান রহিত
- নীরব ক্বিরা‘আতবিশিষ্ট ছালাতে (মুক্তাদীর) ক্বিরা’আত পড়া ফরয আমীন প্রসঙ্গ ও ইমামের শব্দ করে আমীন বলা
- সূরা ফাতিহা পাঠের পর রাসূল (স)-এর কিরা আত
- নবী (স) কর্তৃক এক রাক্‘আতে সমার্থবোধক ও অন্য সূরার সংযুক্তিকরণ
- শুধু সূরা ফাতিহা পড়ার উপর ক্ষান্ত হওয়া বৈধ
- ফরয ও নফল ছালাতে সরব ও নীরবে কিরাআত পাঠ প্রসঙ্গ রাতের নফল ছালাতে সরবে ও নীরবে কিরা’আত পাঠ রাসূল (স) ছালাতে যা পাঠ করতেন
- ১। ফজরের ছালাত
- ফজরের সুন্নতে কিরা আত
- ২। যহরের ছালাত
- শেষের দুই রাক্‘আতে ফাতিহার পর নবী (স) আয়াত পাঠের বর্ণনা
- প্রত্যেক রাক্‘আতে সূরা ফাতিহা পাঠ ফরয
- ৩। আছরের ছালাত
- ৪ । মাগরিবের ছালাত
- মাগরিবের সুন্নত ছালাতে ক্বিরা’আত
- ৫। ইশা’র ছালাত
- ৬। রাতের নফল ছালাত
- ৭। বিতরের ছালাত
- জুমু’আহর ছলাত
- দুই ঈদের ছালাত
- জানাযার ছালাত
- ধীর গতিতে ও সুললিত কণ্ঠে কিরাআত পাঠ ইমামের প্রতি উন্মোচন বা লুকুমাহ দান
- কুমন্ত্রণা ঠেকাতে আউযুবিল্লাহ পাঠ ও থুথু নিক্ষেপ
- রুকূ প্রসঙ্গ
- রুকুর পদ্ধতি
- রুকুতে ধীরস্থিরতা অবলম্বন
- রুকুর যিক্র বা দু’আসমূহ
- রুকূ দীর্ঘায়িত করা
- রুকুতে কুরআন পাঠ
- রুকু থেকে সোজা হয়ে সুস্থিরভাবে দাঁড়ানো ও পঠিতব্য দু’আ
- রুকূর পর দণ্ডায়মান দীর্ঘায়িত করা ও তাতে ধীরস্থিরতা ওয়াজিব
- সাজদাহ প্রসঙ্গ
- হস্তদ্বয়ের উপর ভর করে সাজদায় গমন করা
- সাজদায় ধীরস্থিরতা অবলম্বন অপরিহার্য
- সাজদার যিকরসমূহ
- সাজদায় কুরআন পড়া নিষেধ
- সাজদাকে দীর্ঘায়িত করা
- সাজদার ফযীলত
- মাটি ও চাটাই এর উপর সাজদাহ করা
- সাজদাহ থেকে উঠা
- দুই সাজদার মধ্যে পায়ের গোড়ালির উপর বসা
- দুই সাজদার মধ্যবর্তী অবস্থায় স্থিরতা অবলম্বন ওয়াজিব
- দুই সাজদার মধ্যে পঠিতব্য দু’আ ও যিকরসমূহ
- বিরাম নেয়ার বৈঠক
- পরবর্তী রাক’আতের উদ্দেশ্যে উঠার জন্য দুই হাতের উপর ভর কর
- প্রত্যেক রাক’আতে সূরা ফাতিহা পাঠ ফরয
- প্রথম তাশাহ্হুদ
- তাশাহ্হুদের বৈঠক
- তাশাহহুদে আঙ্গুল নাড়ানো
- প্রথম তাশাহহুদ ওয়াজিব হওয়া ও এর ভিতর দু’আ করা
- শরীয়তসম্মত হওয়া প্রসঙ্গ তাশাহ্হুদের শব্দাবলী
- ১। ইবনু মাসউদ (র)-এর বর্ণিত তাশাহ্হুদ
- ২। ইবনু আব্বাস (র) এর তাশাহ্হুদ
- ৩। ইবনু উমার এর তাশাহ্হুদ
- ৩। উমার (র) এর তাশাহ্হুদ আনত
- ৪ । আবূ মূসা আশ্‘আরী (র)-এর তাশাহহুদ
- ৫। উমার বিন খাত্তাব (র)-এর তাশাহ্হুদ
- ৬। ‘আইশাহ-এর তাশাহহুদ
- নাবী (স) এর প্রতি ছালাত পাঠ এবং তার স্থান ও শব্দাবলী নাবী (স) এর প্রতি ছালাত পাঠ প্রসঙ্গে উপকারী গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
- তৃতীয় রাক’আতের উদ্দেশ্যে দণ্ডায়মান-
- রাক’আতের উদ্দেশ্যে
- উপনীত সমস্যায় পাঁচ ওয়াক্ত ছলাতে কুনূত প্ৰসঙ্গ
- বিতরে কুনূত
- শেষ তাশাহহুদ
- তাশাহহুদ ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গ
- অতঃপর চতুর্থ
- তাশাহ্হুদে নাবী (সা.)-এর প্রতি ছালাত পাঠ ওয়াজিব
- দু’আর পূর্বে চার বিষয়বস্তু থেকে আশ্রয় প্রার্থনা ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গ সালাম ফিরার পূর্বে দু’আ পাঠ এবং এর প্রকারভেদ
- নবী (সা) আবূ বাকর (র)-কে এই দু’আ বলতে শিখিয়েছিলেন সালাম ফিরানো
- সালাম বলা ওয়াজিব
- উপসংহার
- সমাপ্তির দু’আ আনুসঙ্গিক বিভিন্ন তথ্যসূচী গ্রন্থপঞ্জী
অনুবাদক ও সম্পাদকের ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর। অসীম সলাত ও সালাম বর্ষিত হতে থাক শেষ নবী মুহাম্মাদ (স), তাঁর পরিবার পরিজন, বংশধর, সহচরবৃন্দ ও কিয়ামত পর্যন্ত সত্যিকার অর্থে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণকারীদের উপর। আল্লাহর অসীম রহমতে বিশ্বের সর্বসেরা ও বিশুদ্ধ সলাত শিক্ষার আলোড়ন সৃষ্টিকারী বইটি সযত্নে অনুবাদ ও সম্পাদনা সমাপ্ত হয়ে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে। বইটির আরবী নাম— বাংলায় নাম- “নবী (স) এর ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি তাকবীর থেকে সালাম পর্যন্ত এমনভাবে যেন আপনি দেখেছেন।”
মূল লেখক বিশ্ববরেণ্য প্রকৃত মুহাদ্দিস ফাকীহ আল্লামাহ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আল-আলবানী (র)। তিনি ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে আলবেনিয়ার তৎকালীন রাজধানী ইশকদারে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাযহাবগতভাবে তাঁর পিতাসহ গোটা পরিবার এমনকি তিনিও প্রথম দিকে হানাফী মাযহাবভুক্ত ছিলেন। ছোটকালে তিনি তাঁর পিতার নিকট মুখতাসার কুদুরী পড়েছিলেন। প্রথম দিকে তিনি কাঠমিস্ত্রী ছিলেন। অতঃপর তিনি তাঁর পিতার পেশা ঘড়ি মেরামতের কাজ শিখে সেই কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এ সময় অবসরের ফাঁকে ফাঁকে তিনি বিভিন্ন কিতাব-পত্র পড়ার সুযোগ পান। আল্লামাহ রাশীদ রেজার “আল মানার” ম্যাগাজিনে ধারাবাহিকভাবে প্রচারিত গযালীর ইয়াহইয়াউ উলূমিদ্দীন গ্রন্থের জাল যঈফ হাদীস পড়ে তিনি সর্বপ্রথম হাদীস যাচাই-বাছাই এর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেন এবং হাদীছ গবেষণার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। আল্লাহ তাঁর জন্য কুরআন হাদীছের ইলমের ভাণ্ডার খুলে দেন। হাজার বছরেরও বেশী কাল ধরে হাদীছ শাস্ত্রের যে খিদমত হয়নি, তিনি বিংশ শতাব্দীতে তা করার তাওফীক লাভ করেন। সুনান আবূ দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাতুল মাছাবীহ ও আল-জামিউছ ছাগীরসহ বহু হাদীছগ্রন্থ গবেষণা করে তার ছহীহ হাদীছ এবং যঈফ ও মওযু হাদীছ চিহ্নিত করেছেন। এমনকি সুনান আরবাআহ্ (পূর্বোক্ত চারখানা কিতাব), আল-জামিউছ ছাগীর ও আল-আদাবুল মুফরাদ ইত্যাদি হাসীছগ্রন্থকে ছহীহ যঈফ দুইভাবে ভাগ করে দিয়েছেন। ছহীহ হাদীসগুলো আলাদা খণ্ডে এবং যঈফগুলো আলাদা খণ্ডে। আরব বিশ্বের প্রায় সমস্ত লাইব্রেরিতে এভাবে বিক্রি হচ্ছে। আমরাও নিয়ে এসেছি। এছাড়াও ছহীহ হাদীছ এবং যঈফ মাওযু হাদীছের ব্যাপারে তাঁর নিজস্ব সংকলনও রয়েছে। সিলসিলাতুল আহাদীছিছ ছাহীহা এ যাবৎ তাঁর ৮ খণ্ডে বাজারে বেরিয়েছে এবং সিলসিলাতুল আহাদীছিয্ যা’ঈফাহ্ অল-মাওযূআহ- যার এযাবৎ ৭ খণ্ড বাজারে বেরিয়েছে। বিভিন্ন ফিক্হ ও গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী গ্রন্থের ভিতর উদ্ধৃত হাদীছগুলো তাহক্বীক (যাচাই) ও তাখরীজ (উদ্ধৃতি উৎস উল্লেখ) করেছেন। তাঁর লিখিত, সংকলিত, গবেষণা ও সম্পাদনাকৃত এবং মুদ্রিত অমুদ্রিত পুস্তক সংখ্যা ২১৫ খানা । অদূর ভবিষ্যতে প্রায় চল্লিখ খণ্ডে সমাপ্ত তার ফতুয়ার কিতাব প্রকাশ পেতে যাচ্ছে।
এ ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি কিতাবখানা তাঁর ২১৫ খানা গ্রন্থের একখানা। ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি বইখানা সারা বিশ্বেই প্রসিদ্ধ। প্রায় সকল ভাষাতেই তা অনূদিত হয়েছে। আরবীতেই বইখানা ২০ বারেরও বেশী পুনর্মুদ্রিত হয়েছে। তার সমস্ত কিতাবই প্রায় ইলমী কিতাব যা আলিম সমাজের জন্য বেশী প্রযোজ্য। সাধারণ পাঠকের তাঁর লিখিত কিতাব থেকে উপকৃত হতে হলে ধৈর্যসহ ধারাবাহিকতা রক্ষা করে পড়তে হবে। তিনি এক বিষয়ের উপর লিখিত কিতাবে প্রসঙ্গক্রমে অনেক স্থানে বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে থাকেন। তাই অধৈর্য পাঠকের জন্য তাঁর কিতাব থেকে উপকৃত হওয়া কঠিন হয়ে যায়। এজন্য আমরা প্রসঙ্গক্রমে ও বিভিন্ন বিষয় উপলক্ষে উল্লেখিত পুস্তকের সাথে সামঞ্জস্যহীন অথবা দূরবর্তী সামঞ্জস্যশীল তথ্যগুলোর জন্য আলাদা সূচিপত্র সংযোজন করেছি।’ এতে করে পাঠক এক বই এর ভিতরই যেন দুটি বই পেয়ে যাচ্ছেন। আমাদের এই অনুবাদের আসল বৈশিষ্ট্য এই যে, লিখকের মূলগ্রন্থ এবং তারই বসানো উক্ত কিতাবের নিম্নাংশে উল্লেখিত সমস্ত টীকা অনুবাদ করেছি। কেবল একটি স্থান ছাড়া। যার প্রতি কারণ উল্লেখসহ যথাস্থানে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আর বাংলাভাষী মুসলিম সমাজের প্রেক্ষাপটের দাবী ও চাহিদা অনুযায়ী কয়েকটি স্থানে অনুবাদক ও সম্পাদকের টীকা সংযুক্ত করা হয়েছে।
লেখক ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি কিতাবে ছলাতের মৌলিক অমৌলিক খুঁটিনাটি সমস্ত নিয়ম পদ্ধতি অর্থাৎ নবী (স) ছলাতে যা যা করতেন তার প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা শিরোনাম নির্ধারণ করে তার আওতায় হাদীছের বিভিন্ন গ্রন্থের উদ্ধৃতিসহ তথ্য উল্লেখ করেছেন। শুধু ছহীহ ও হাসান হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত নিয়মগুলোই তিনি নিয়েছেন। যঈফ বা মাওযু (বানোয়াট) হাদীছ থেকে যে সমস্ত নিয়ম পাওয়া যায় তা তিনি উল্লেখ করেননি। তবে অনেক সময় সে সব নিয়ম পালন থেকে সতর্ক করার জন্য টীকায় ঐ যঈফ ও বানোয়াট হাদীসছগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করেছেন এবং কতকগুলো ইবারতসহ উল্লেখ করেছেন।
১. এ সকল তথ্যের জন্য মূল বই-এ কোন শিরোনাম ব্যবহার করা হয়নি, তাই সম্মানিত পাঠক মহোদয়কে কষ্ট করে সূচিতে নির্দেশিত পৃষ্ঠায় তথ্যটি খুঁজে নিতে হবে । সূচিটি বই এর শেষে যোগ করা হয়েছে।
ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী ছলাত আদায় করলে এবং এ বিষয়ে কিছু বাহ্যত দ্বন্দ্বপূর্ণ ছহীহ হাদীছের নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু সমন্বয়ের দিকে গেলে তাতে মাযহাবগত কোন ভেদাভেদ থাকবে না। মূলতঃ ছলাতের ক্ষেত্রে মাযহাবগত যে পার্থক্য দেখা যায় তা দুর্বল ও জাল বানোয়াট হাদীছের অনুসরণ ও ছহীহ্ হাদীছের সুষ্ঠু সমন্বয় সাধন না করে মাযহাবী টানাহিচড়ার কারণে । অথচ যাদের নামে মাযহাব সৃষ্টি করা হয়েছে তারা শুধু কুরআন ও ছহীহ হাদীছ মানার জন্য উপদেশ দিয়ে গেছেন। তারা কস্মিনকালেও তাদের নামে মাযহাব সৃষ্টি করতে বা তাদের তাকলীদ করতে বলেননি বরং তারা তাঁদের দলীলবিহীন কথা ও ফতওয়া গ্রহণ করতে নিষেধ ও হারাম করেছেন। লিখকের ভূমিকায় বিস্তারিতভাবে তাদের এ সম্পর্কে উক্তি ও উপদেশগুলো দেখতে পাবেন। চারজন ইমামের উক্তি ও উপদেশগুলোর মাধ্যমে ছলাত আদায়ের যে পদ্ধতি সাব্যস্ত হয় তা হলো অত্র ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি কিতাবে বর্ণিত পদ্ধতি। ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি বইয়ে বর্ণিত পদ্ধতি কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বিশ্বাসী সকল মুসলিম জাতির জন্য প্রযোজ্য পদ্ধতি- তাঁরা যে দল ও মাযহাবেই পরিচিত হোন না কেন। আল্লাহ সকলকে বইখানার আলোকে সঠিকভাবে ছলাত আদায় করার তাওফীক দান করুন। আর এর লিখক, অনুবাদক, সম্পাদক এবং যারা এ বইখানা ছাপানোর ব্যাপারে সাহায্য সহযোগিতা, শ্রম, পরামর্শ ও উৎসাহ দান করেছেন তাদের সকলকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুন- আমীন!
অনুবাদক ও সম্পাদক
আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম
আবূ রাশাদ আজমাল বিন আব্দুন নূর
প্রথম সংস্করণের ভূমিকা
সকল প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য যিনি তাঁর বান্দাদের উপর ছলাত ফরয করেছেন এবং তাদেরকে এটি প্রতিষ্ঠিত করার ও সুন্দরভাবে সম্পাদন করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর তাকে খুশু খুযুর সাথে আদায় করার মধ্যে সফলতা নিহিত করেছেন। ঈমান ও কুফরের মধ্যে পার্থক্যকারী এবং নির্লজ্জতা ও অন্যায় কাজ থেকে বারণকারী বলে গণ্য করেছেন। ছলাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নাবী মুহাম্মদ (সা:) উপর যাঁকে আল্লাহ তা’আলা এই বলে সম্বোধন করেছেনঃ
অর্থঃ আমি (আল্লাহ) আপনার প্রতি যিকর (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি যাতে করে আপনি মানুষকে তাদের প্রতি অবতীর্ণ বিষয় ব্যাখ্যা করে দেন। তিনি এই দায়িত্বকে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পালন করে গেছেন। তিনি মানব জাতির জন্য কথা ও কাজের মাধ্যমে যেসব বিষয়ের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম বিষয় হচ্ছে ছলাত। একদা তিনি মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে এবং রুকু করে ছলাত পড়েন। অতঃপর (ছাহাবাদেরকে) বলেনঃ “আমি এমনটি করলাম এজন্য যাতে করে তোমরা আমার অনুকরণ করতে পার এবং আমার ছলাত শিখতে পার।’ তিনি আমাদের উপর তার অনুসরণ করা ওয়াজিব করেছেন। তাঁর বাণী হচ্ছেঃ অর্থঃ তোমরা আমাকে যেভাবে ছলাত পড়তে দেখ ঠিক সেভাবে ছলাত পড়।
যে ব্যক্তি তাঁর ছলাতের মত ছলাত পড়বে তাকে তিনি সুসংবাদ দিয়েছেন এ মর্মে যে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন বলে ওয়াদা করেছেন। যেমন তিনি বলেনঃ অর্থঃ মহান আল্লাহ পাঁচ (ওয়াক্ত) ছলাত ফরয করেছেন। যে ব্যক্তি এগুলোর জন্য উযু সুন্দরভাবে সম্পাদন করবে আর ঠিক সময় মত তা আদা করবে, এর রুকু, সাজদা ও খুশুখুযূ (বিনয়ভাব) পূর্ণমাত্রায় পালন করবে, আল্লাহ তার ব্যাপারে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তিনি তাকে ক্ষমা করবেন। আর যে এমনটি করবেনা তার ব্যাপারে আল্লাহর কোন অঙ্গীকার নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করতে পারেন আর তিনি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তিও দিতে পারেন। আরো দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক নাবী (স)-এর পুণ্যবান মুত্তাকী ছাহাবাদের উপর যারা আমাদের জন্য তাঁর ইবাদত, ছলাত, কথা এবং কাজগুলোর বিবরণী সংকলন করেছেন আর কেবল এগুলোকেই তাঁদের মাযহাব ও আদর্শ হিসাবে গণ্য করেছেন। এমনিভাবে যারা তাদের মত কাজ করবে ও তাদের পথ ধরে চলবে- প্রলয়কাল পর্যন্ত, তাদের উপরও বর্ষিত হোক দরুদ ও সালাম।
অতঃপর আমি যখন হাফিয মুনযিরী (স)-এর গ্রন্থের ছলাত অধ্যায়ের পঠন ও কিছু সালাফী ভাইদেরকে এর পাঠ দান শেষ করলাম যা চার বৎসর যাবৎ চলেছিল । এ থেকে আমাদের প্রত্যেকের কাছে ইসলামে ছলাতের অবস্থান ও মর্যাদা সুস্পষ্ট হয়ে যায়। আরও জানতে পারি, যে ব্যক্তি একে সুপ্রতিষ্ঠিত করবে এবং সুন্দরভাবে সম্পন্ন করবে তার জন্য কী প্রতিদান, মর্যাদা ও সম্মান রয়েছে। আর নাবী (স)- এর ছলাতের সাথে এর মিল ও গরমিলের উপর পারিতোষিকে কম বেশি হয়। যেমন তিনি হাদীছে বলেনঃ অর্থঃ নিশ্চয়ই (কিছু) বান্দাহ এমন ছলাতও পড়ে যার বিনিময়ে তার জন্য কেবল ছলাতের এক দশমাংশ, নবমাংশ, অষ্টমাংশ, সপ্তমাংশ, ষষ্ঠাংশ, পঞ্চমাংশ, চতুর্থাংশ, তৃতীয়াংশ, অর্ধাংশ লিখিত হয়।
এজন্যই আমি ভ্রাতৃমণ্ডলীকে অবহিত করেছিলাম যে, এই ছলাতকে যথাযোগ্য বা তার কাছাকাছিরূপে সম্পন্ন করা আদৌ সম্ভব নয় যতক্ষণ না রাসূল (সা)-এর ছলাত সম্পাদন পদ্ধতিকে বিশদভাবে জানতে পারব। যেমন ছলাতের ওয়াজিব ও আদাবসমূহ, তার অবস্থাদি, দু’আ ও যিকরসমূহ, তার পর বাস্তব জীবনে এগুলোকে রূপায়নে মনোযোগী হব। এসবের পর আমরা আশা করতে পারি যে, আমাদের ছলাত আমাদেরকে নির্লজ্জ কাজ ও অন্যায় থেকে বিরত রাখবে এবং ছলাতের বিনিময়ে যেসব ছওয়াব ও প্রতিদান রয়েছে আমাদের জন্যে তা লিখা হবে। কিন্তু এসবের বিস্তারিত জ্ঞান লাভ বেশিরভাগ লোকের পক্ষে কষ্টসাধ্য ব্যাপার এমনকি অনেক আলিমদের উপর তা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়- নির্দিষ্ট কোন মাযহাবে আবদ্ধ থাকার কারণে। আর পবিত্র সুন্নাহ (হাদীছ) গ্রন্থের সেবা, সংকলন, অধ্যয়ন ও গবেষণার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি মাত্রই একথা জানেন যে, প্রত্যেক মাযহাবেই কিছু এমন সুন্নাত রয়েছে যা অন্য মাযহাবে নেই । আর সমস্ত মাযহাবের মধ্যেই কিছু কথা ও কাজ এমন রয়েছে যেগুলোর সম্বন্ধ রাসূল (স)-এর দিকে বিশুদ্ধরূপে সাব্যস্ত নয় । এসব অশুদ্ধ হাদীছ বেশির ভাগই পরবর্তীদের (মুতাআখিরীনদের) কিতাবাদিতে পাওয়া যায়।
বিবেচনা করা যায়, তাহলে এই শ্রেণী বিন্যাস ঠিক থাকবে না। কারণ কত কিতাব এমন রয়েছে যেগুলোর উপর সুযোগ্য ফুক্বাহাগণ নির্ভরশীল ছিলেন। অথচ তা বানোয়াট (জাল) হাদীছ দ্বারা ভরপুর। বিশেষ করে ফাতওয়ার কিতাবগুলো যাতে প্রশস্ত দৃষ্টিভঙ্গির বিচারে একথাই আমাদের সামনে স্পষ্ট হয় যে, এ সবের রচয়িতারা যদিও (ফিকাহ বিষয়ে) পরিপক্ক কিন্তু তারা হাদীছ বর্ণনার ক্ষেত্রে শিথিল। ” আমি (আলবানী) বলছিঃ যোগ্যতম আলিমদের কিতাবে বিদ্যমান এসব জাল বরং বাত্বিল হাদীছের মধ্যে রয়েছে- অর্থঃ যে ব্যক্তি রামাযানের শেষ জুমু’আয় বাদ পড়া কয়েক ওয়াক্ত ফরয ছলাত কাযা পড়বে তার জীবনের ৭০ বৎসর পর্যন্ত ছুটে যাওয়া ছলাতের জন্য সম্পূরক হবে আলী আল-কারী তাঁর ভা l কিতাবে বলেনঃ এটা সুনিশ্চিত বাত্বিল হাদীছ। কেননা এটা ইজমার পরিপন্থী, যেহেতু কোন ইবাদত বহু বৎসর যাবৎ ছুটে যাওয়া ছলাতের স্থলাভিষিক্ত হতে পারে না। তাছাড়া আনিহায়াহ গ্রন্থের লিখকসহ হিদায়াহ গ্রন্থের অন্যান্য ভাষ্যকারদের উদ্ধৃতি ধর্তব্য নয়, কেননা তাঁরা মুহাদ্দিছদের অন্তর্ভুক্ত নয়, আবার (এখানে) কোন হাদীছবেত্তার প্রতি তাঁরা এর সম্বন্ধও করেননি।
শাওকানীর কিতাবে এ হাদীছটি উপরোক্ত শব্দের কাছাকাছি শব্দে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেনঃ “নিঃসন্দেহে এটি জাল হাদীছ, আমি এটিকে ঐসব কিতাবাদিতে পাইনি যার লিখকগণ তাতে মাউযু হাদীছ সন্নিবেশিত করেছেন। তবে এটা বর্তমান যুগের শহরের একদল ফকীহদের কাছে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে আর তাদের অনেকেই এর উপর আমল করতে শুরু করেছে। আমার জানা নেই কে তাদের জন্য এটা বানিয়েছে। আল্লাহ মিথ্যুকদের অপদস্থ করুন।” (উদ্ধৃতি শেষ) ৫৪ পৃষ্ঠা।অতঃপর লক্ষ্ণৌভী বলেনঃ আমি হাদীছটি (জাল হওয়া সত্ত্বেও) দৈনন্দিন নিয়মিত পঠিতব্য অযীফাহ, যিকর ও দু’আর বইসমূহে সংকলন ভিত্তিক ও বিবেক ভিত্তিক প্রমাণাদিসহ দীর্ঘ ও সংক্ষিপ্ত শব্দে পাওয়া যায় তাই তার জাল হওয়ার ব্যাপারে একটি পুস্তিকা রচনা করেছি যার নাম হচ্ছেঃ
আমরা প্রায়ই তাদেরকে এ হাদীছকে দৃঢ়তার সাথে নবী (স)-এর দিকে সম্বন্ধ করতে দেখতে পাই। তাই হাদীছ বিশারদগণ (আল্লাহ তাঁদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করুন)-এসব কিতাবাদির কিছু প্রসিদ্ধ কিতাবের উপর অনুসন্ধান ও যাচাইমূলক কিছু গ্রন্থ রচনা করেন যা উক্তউক্ত পুস্তিকায় অনেক উপকারী কথা সন্নিবেশিত করেছি যার মাধ্যমে মস্তিষ্ক প্রখর হবে এবং যেগুলো কান পেতে শুনার মত, তাই এ নিয়ে অধ্যয়ন করা উচিত যেহেতু এ বিষয়ে তা অতি সুন্দর ও মানগত দিক দিয়ে উন্নত। আমি (আলবানী) বলছিঃ ফিকহের কিতাবগুলোতে এ ধরনের বাত্বিল হাদীছ উদ্ধৃত হওয়ায় তাতে বিদ্যমান ঐসব হাদীছের বিশ্বস্ততা হারিয়ে দেয় যেগুলোকে নির্ভরযোগ্য কোন কিতাব এর দিকে সম্বন্ধযুক্ত করা হয়নি। আলী আল কারীর বক্তব্যে একথার প্রতিই ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাই মুসলিম ব্যক্তির উচিত হবে হাদীছকে তার শাস্ত্রীয় বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে গ্রহণ করা। তাইতো অতীতের লোকেরা বলেছেনঃ “মক্কাবাসীগণ মক্কার রাস্তাঘাট সম্পর্কে সমধিক জ্ঞাত”, আর “ঘরের মালিক তাতে অবস্থিত জিনিস সম্পর্কে সমধিক অভিজ্ঞ।”
৮. ইমাম নববী বলেন-এর প্রথম খণ্ডের ৬০পৃষ্ঠায় বলেন যা সংক্ষেপে নিম্নরূপঃ আহলুল হাদীছ ও অন্যান্য মুহাক্কিক বিদ্বানগণ বলেনঃ যঈফ হাদীছের ব্যাপারে একথা বলা যাবে না যে, রাসূল (স) বলেছেন অথবা তিনি করেছেন অথবা আদেশ দিয়েছেন বা নিষেধ করেছেন ইত্যাদি দৃঢ়তামূলক শব্দসমূহ। বরং এসব ক্ষেত্রে শুধু দুর্বলতামূলক শব্দ যেমন রসূল থেকে বর্ণনা করা হয়েছে বা উদ্ধৃত হয়েছে ইত্যাদি। তারা বলেনঃ দৃঢ়তা জ্ঞাপক শব্দাবলী ছহীহ ও হাসান হাদীছের জন্য গঠিত আর দুর্বলতাজ্ঞাপক শব্দগুলো অন্যান্য হাদীছের বেলায় প্রযোজ্য, আর তা এজন্য যে, দৃঢ়তা জ্ঞাপক শব্দ সম্বন্ধকৃতের পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ হওয়ার দাবী রাখে। তাই বিশুদ্ধ হাদীছ ছাড়া এ শব্দের প্রয়োগ অনুচিত, অন্যথায় মানুষ রাসূলের উপর মিথ্যারোপকারীর শামিল হবে, অথচ এই আদব রক্ষায় মুহায্যাবের লিখকসহ আমাদের (শাফিয়ীদের) ও অন্যান্য মাযহাবের অধিকাংশ ফুক্বাহাগণ ত্রুটি করেছেন। বরং ঢালাওভাবে প্রত্যেক শাস্ত্রের পণ্ডিতগণ এতে ত্রুটি করেছেন। কেবল হাদীছ শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞগণ এথেকে বেঁচে গেছেন। এটা জঘন্য ধরনের শিথিলতা, কারণ তারা প্রায়ই ছহীহ হাদীছের ক্ষেত্রে বলে থাকে- রাসূল থেকে বর্ণিত হয়েছে। আর যঈফ হাদীছের বেলায় বলেন অমুক বর্ণনা করেছেন। এটা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ারই নামান্তর।

ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি
Reviews
There are no reviews yet.