-40%Sold outHot

জান্নাতী নারী

৳ 36

জান্নাতী নারী
লেখক : শাইখ আব্দুল্লাহ আল-কাফী আল মাদানী
প্রকাশনী : তাওহীদ পাবলিকেশন্স
বিষয় : মহিলা
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৭৮ কাভার: পেপার ব্যাক

Out of stock

Description

জান্নাতী নারী

জান্নাতী নারী
প্রকাশনী : তাওহীদ পাবলিকেশন্স
বিষয় : মহিলা
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৭৮ কাভার: পেপার ব্যাক
বইটি কিনতে কিল্ক করুন: জান্নাতী নারী
আরো জানতে কিল্ক করুন: তাওহীদ পাবলিকেশন্স

জান্নাতী নারী

সংকলন ও গ্রন্থনা:

মুহা: আবদুল্লাহ্ আল কাফী

(লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)

জুবাইল দাওয়া এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব

প্রকাশনায় :

তাওহীদ পাবলিকেশন্স


জান্নাতী নারী

সূচীপত্র

বিষয় :

  • ভূমিকা
  • ইসলামে নারীর মর্যাদা
  • নারীর উপর পুরুষের কর্তৃত্ব
  • সৎ নারী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ
  • সৎ স্ত্রীর গুণাবলী
  • স্বামীর খেদমত জান্নাত লাভের মাধ্যম
  • জান্নাতী নারীর কতিপয় আলামত
  • জান্নাতের অঙ্গীকার
  • আনুগত্যশীল পুণ্যবতী এক নারীর দৃষ্টান্ত
  • স্বামীর সংসারে মুসলিম নারী যে
  • সকল বিষয়ে সতর্ক থাকবে
  • স্বামীর অবাধ্য হওয়া
  • স্বামীকে রাগম্বিত করা
  • স্বামীকে কষ্ট দেয়া
  • স্বামীর অনুগ্রহের অস্বীকার
  • বিনা কারণে স্বামীর নিকট তালাক চাওয়া
  • স্বামীর উপস্থিতিতে তার – বিনা অনুমতিতে নফল রোযা রাখা
  • সহবাস থেকে স্বামীকে বাধা দেয়া
  • স্বামী-স্ত্রীর গোপন বিষয় ফাঁস করা
  • স্বামীর গৃহ ছাড়া অন্যের গৃহে কাপড় খোলা
  • স্বামীর বিনা অনুমতিতে তার বাড়ীতে
  • কাউকে প্রবেশ করানো
  • স্বামীর অনুমতি না নিয়ে গৃহের বাইরে যাওয়া
  • আল্লাহর অবাধ্য হয়ে স্বামীর
  • আনুগত্য করা
  • স্বামীর খেদমত
  • মেয়ের প্রতি জনৈকা মায়ের
  • বিবাহোত্তর নসীহত
  • স্বামীর প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধির জন্য
  • স্ত্রীকে কতিপয় উপদেশ
  • জান্নাতী নারীর পর্দার বিবরণ
  • বেপর্দার পরিণতি
  • শরীয়ত সম্মত পর্দার শর্তসমূহ
  • জনৈকা নও মুসলিম নারীর দৃষ্টিতে
  • পর্দা
  • স্বামীকে উপদেশ
  • স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার
  • জান্নাতী নারীর জন্য কতিপয় ফতোয়া
  • তথ্য সূত্র

জান্নাতী নারী

কুরআন সুন্নাহর আলোকে জান্নাতী নারীর পরিচয়

وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ

بَيْنَكُمْ مَوَدَّةً وَرَحْمَةً إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ ))

“আর তাঁর নিদর্শন সমূহের মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য হতে জুড়ি সৃষ্টি করেছেন। যাতে করে তোমরা তাদের নিকটে পরম শান্তি স্বস্তি লাভ কর। আর তোমাদের উভয়ের মাঝে সৃষ্টি করেছেন ভালবাসা ও সহানুভুতি। এতে রয়েছে নিদর্শন সেই লোকদের জন্য যারা চিন্তা করে থাকে।”

(সূরা রূম- ২১)


জান্নাতী নারী

ভূমিকা

আল্হামদুলিল্লাহ ওয়াছ্ সলাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ্ । পুরুষের জন্য নারী সহোদরের মত মূল্যবান। সে তার জীবন সঙ্গী একজন অপরজনের পরিপুরক। উভয়ের প্রতি আল্লাহ তা’আলা নিৰ্দিষ্ট বিধি- নিষেধ নাযিল করেছেন এবং তাদেরকে তাদের কর্মের উপর প্রতিফল প্রদানের অঙ্গিকার করেছেন। পুণ্যের ঠিকানা জান্নাতে পাপের ঠিকানা অন্যস্থানে। সেই জান্নাত লাভের আশায় ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার কামনায় নারী-পুরুষ সকলকেই সেই পথ অবলম্বন করতে হবে।

আলোচ্য জান্নাতী নারী পুস্তকে একজন মুসলিম নারী কীভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল করে জান্নাত লাভে ধন্য হতে পারবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। পবিত্র কুরআন, রাসূলুল্লাহ্ এর সুন্নাত এবং পূর্বসূরী নেক মনিষীদের বচন থেকে জান্নাতী নারীর পরিচয় ও গুণাবলী তুলে ধরা হয়েছে। প্রত্যেক মুমিন নারীর উচিত হচ্ছে উক্ত গুণাবলী সম্পর্কে জ্ঞান হাসিল করা এবং তদানুযায়ী নিজের জীবনকে গড়ে তোলা ।

একজন নারীর জান্নাতী হবার জন্য অবশ্যই স্বামীর সহযোগিতা আবশ্যক । তাই বিষয়টিকে পূর্ণতা দেয়ার জন্য স্বামী কীভাবে স্ত্রীর হক আদায় করবে? স্ত্রী জান্নাতের পথ পরিত্যাগ করে বক্রপথে চললে স্বামী কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে তাকে সংশোধন করতে পারবে? ইত্যাদি বিষয়ে স্বামীকেও নসীহত করা হয়েছে।

ইসলামের নির্দেশাবলীর জ্ঞান লাভ, তার প্রতি বিশ্বাস ও কর্ম জীবনের বাস্ত বায়নের জন্য প্রত্যেক নারী ও পুরুষের নিম্ন লিখিত মূলনীতিটি সর্বাবস্থায় স্মরণ রেখে চলতে হবে। আর তা হচ্ছে, আল্লাহর বিধানের কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ এবং সর্বাবস্থায় রাসূল (স) এর জীবনকে নিজের জন্য মডেল বা আদর্শরূপে গ্রহণ। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন,

وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَنْ يَكُونَ هُمْ

الخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ ضَلَّ ضَلالا مُبِينًا )

“আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল কোন আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করার কোন অধিকার নেই। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ অমান্য করবে, সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হবে।

আবু হুরায়রা চিত্র থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (স) বলেছেন,

“আমার উম্মতের প্রত্যেক ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে, কিন্তু ঐ ব্যক্তি নয় যে জান্নাতে যেতে অস্বীকার করে। তাঁরা বললেন, কে এমন আছে জান্নাতে যেতে অস্বীকার করে? তিনি বললেন, যে আমার আনুগত্য করবে সে জান্নাতে যাবে। আর যে আমার অবাধ্য হবে সেই জান্নাতে যেতে অস্বীকার করবে।

উপরোক্ত আয়াত ও হাদীছটি যে ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত জীবনের চলমান পথে স্মরণ রাখবে তার জন্য ইসলামের যাবতীয় বিধি-বিধান মান্য করা সহজসাধ্য হবে।

সম্মানিত পাঠক-পাঠিকাদের প্রতি আমাদের নিবেদন, এই জান্নাতী নারী পুস্তকের মধ্যে যে কোন ধরনের ত্রুটি বা অভিযোগ পরিলক্ষিত হলে, আমাদেরকে জানাতে চেষ্টা করবেন। আমরা কৃতজ্ঞতার সাথে তা গ্রহণ করে পরবর্তী সংস্করণে তা সংশোধন করব। ইনশাআল্লাহ্।

আল্লাহর কাছে আমাদের আকুল আবেদন তিনি যেন এই জান্নাতী নারী পুস্তিকাটি দ্বারা আমাদেরকে এবং সমস্ত মুসলমানকে উপকৃত করেন। একনিষ্ঠভাবে তাঁর জন্য কবূল করে নেন। মুসলিম নারীদের তাঁর সন্তুষ্টি মূলক কাজ আঞ্জাম দিয়ে জান্নাত লাভে ধন্য করেন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন৷

নিবেদক,

মুহাঃ আবদুল্লাহ্ আল কাফী

লিসান্স মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দাঈ,

জুবাইল দা’ওয়া এন্ড গাইডেন্স সেন্টার

সউদী আরব ।


জান্নাতী নারী

ইসলামে নারীর মর্যাদা

ইসলাম নারীকে সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদায় ভূষিত করেছে। এই ধর্ম নারীকে যে সম্মান দিয়েছে তা কোন যুগে কোন কালে কোন ধর্ম ও কোন জাতি দিতে পারেনি। ইসলাম নারীকে পুরুষের সাথী হিসেবে নির্ধারণ করেছে। তাদের একজন অপরজন ছাড়া অচল। দু’জনই পরস্পরের মুখাপেক্ষী । নারীর দৃষ্টিতে যে পুরুষ শ্রেষ্ঠ মানুষের মধ্যে সেই সর্বোত্তম শিশুকালে নারী দুগ্ধ পানের সাথে সাথে বিশেষ তত্বাবধান ও উত্তম লালন- পালনের দাবীদার। সে সময় সে পিতা-মাতা ও ভাই-বোনের চক্ষু শীতলকারীনী ও হৃদয় ঠান্ডাকারীনী।

নাবী (স) বলেন, “যে ব্যক্তিকে এই কন্যা সন্তান প্রদান করার মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে, সে যদি তাদের প্রতি সুন্দর আচরণ করে, তাদেরকে সঠিকভাবে লালন-পালন করে, তবে তারা জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য পর্দা স্বরূপ হয়ে যাবে।”

রাসূলুল্লাহ্ (স) বলেন, “কারো যদি তিনজন কন্যা সন্তান থাকে বা তিনজন বোন থাকে, অথবা দু’জন কন্যা বা দু’জন বোন থাকে এবং সে তাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে তাদের প্রতি করুণা ও সদ্ব্যবহার করে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।””

এ নারী প্রাপ্তবয়স্কা হলে পরিবারে সর্বাধিক সম্মানিত। যার সম্মান ও ইজ্জত-আবরু রক্ষার জন্য পুরুষ তার সর্বাধিক প্রিয় বস্তু জানও বিসর্জন দিতে প্রস্তুত। পরপুরুষের কাল হাত অগ্রসর হলে, অপ্রিয় কন্ঠ তাকে ত্যাক্ত করলে ও লোভনীয় চোরা দৃষ্টি তার প্রতি নিক্ষিপ্ত হলেই সে তার প্রতিবাদে সোচ্চার হয় এবং তার ইজ্জতের সংরক্ষণ করতে নিজের জানকে বাজী রাখে।

নাবী (স) বলেন, “যে ব্যক্তি নিজ পরিবারের ইজ্জত রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হবে, সে শহীদের মর্যাদা লাভ করবে।”

এ নারী বিবাহিতা হলে, আল্লাহর বাণীর দৃঢ় অঙ্গিকারের মাধ্যমে হয়। স্বামী গৃহে সে হয় সর্বাধিক নিকটতম সাথী, সম্মানিত প্রতিবেশী। স্বামীর উপর আবশ্যক হয় তাকে সম্মান করা, তার প্রতি করুণা করা ও তাকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকা। ভরণ-পোষণসহ তার যাবতীয় প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট থাকা এবং সে ক্ষেত্রে কোন ত্রুটি না করা ।

এ নারী মাতা হলে, আল্লাহর হক আদায় করার সাথে সাথে তাঁর সাথে সদ্ব্যবহার করা ওয়াজিব হয়ে যায়। আল্লাহর সাথে শির্ক যেমন নিষিদ্ধ তেমনি মায়ের নাফরমানী ও তার সাথে অসদাচরণও নিষিদ্ধ জনৈক ব্যক্তি নাবী (স) কে প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল! মানুষের মধ্যে কে আমার সদ্ব্যবহার পাওয়ার সর্বাধিক অধিকার রাখে? তিনি বললেন, তোমার মাতা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মাতা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মাতা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার পিতা ।”

এ নারী বোন হলে, ইসলাম তার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে, তাকে সম্মান ও তার সম্ভ্রম রক্ষা করতে আদেশ করেছে ।

এ নারী খালা হলে, খেদমত ও সদ্ববহারের ক্ষেত্রে মায়ের স্থানে তাঁর মতই মর্যাদাবান ৷

এ নারী বৃদ্ধা হলে বা দাদী-নানী হলে পরিবারে তিনি হন অত্যধিক সম্মানিতা ও সর্বশ্রদ্ধেয়া । সন্তান-সন্তুতি, নাতী-নাতনী ও নিকটাত্মীয় সকলেই তার প্রয়োজন পূরণে সচেষ্ট থাকে । তার মতামতকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে ।

এ নারী যদি দূরবর্তী কোন সাধারণ নারী হয়, তবে ইসলামের অধিকার অনুযায়ী তাকে সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে রক্ষা করা কর্তব্য, দৃষ্টি নত রাখা আবশ্যক ।

ইসলাম নারীকে অধিকার দিয়েছে- সে শিক্ষা অর্জন করবে, সম্পাদ উপার্জন করবে, সম্পদের মালিক হবে, বেচা-কেনা করবে, উত্তরাধীকার হবে, বিবাহের প্রস্তাব দানকারী পুরুষকে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে। ইসলামী সমাজের সর্বত্রই নারী এভাবেই সম্মানিত হয়ে আসছে। ফলে নারী সেই সমাজে সর্বাধিক মূল্যবান, মর্যাদাবান ও শ্রদ্ধাভাজন হয়ে অবস্থান করে ।

নারীর উপর পুরুষের কর্তৃত্ব

আল্লাহ্ তা’আলা বলেন,

الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَمَا

أنفقوا من أموالهم

“পুরুষগণ নারীদের উপর কর্তৃত্বকারী। কেননা আল্লাহ তাদের একজনকে অপর জনের উপর মর্যাদাবান করেছেন। এবং পুরুষগণ তাদের সম্পদ খরচ করে থাকে।”

হাফেয ইবনু কাছীর এই আয়াতের তাফসীরে বলেন, পুরুষ নারীর কতৃত্বকারী। অর্থাৎ সে তার প্রধান, তার চাইতে শ্রেষ্ঠ, তার শাসক এবং বাঁকা পথে চললে তাকে শিক্ষাদানকারী ।

নবী (স) এর নিম্ন লিখিত বাণীটি উক্ত অর্থকে সমর্থন করে। আবদুল্লাহ্ বিন আবু আউফা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ () বলেছেন,

لَوْ كُنتُ أمرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لغير الله لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ

لزَوْجِهَا وَالَّذي نَفْسُ مُحَمَّد بيده لا تُؤَدِي الْمَرْأَةُ حَقَّ رَبِّهَا حَتَّى تُؤَدِّيَ حَقَّ زَوْجِهَا وَلَوْ سَأَلَهَا نَفْسَهَا وَهِيَ عَلَى قَتَبٍ لَمْ تَمْنَعُهُ

সূরা নিসা- ৩৪

জান্নাতী নারী

জান্নাতী নারী

Reviews (0)

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “জান্নাতী নারী”

Your email address will not be published.

Shopping cart
Facebook Twitter Instagram YouTube WhatsApp WhatsApp

Sign in

No account yet?