তাফসীর তাইসীরুল কুরআন অর্থানুবাদ (পকেট সাইজ)

৳ 160

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন অর্থানুবাদ (পকেট সাইজ)
লেখক: অধ্যাপক মোহাম্মাদ মোজাম্মেল হক
প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স
বিষয়: কুর’আন ও তাফসীর
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৭৮৩

Description

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন অর্থানুবাদ (পকেট সাইজ)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন অর্থানুবাদ (পকেট সাইজ)
লেখক: অধ্যাপক মোহাম্মাদ মোজাম্মেল হক
প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স
বিষয়: কুর’আন ও তাফসীর
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৭৮৩
বইটি কিনতে কিল্ক করুন: তাফসীর তাইসীরুল কুরআন অর্থানুবাদ (পকেট সাইজ)
আরো জানতে কিল্ক করুন: তাওহীদ পাবলিকেশন্স

আল-কুরআন আরবী ভাষায় নাযিলকৃত। অধিকাংশ বাংলাভাষীর পক্ষে বাংলা অনুবাদ ছাড়া কুরআন বুঝার উপায় নেই। এ পর্যন্ত বহু আলিম এ গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ করলেও তাঁরা অনেকেই উচ্চাঙ্গের ভাষা ব্যবহার করেছেন। ফলে স্বল্প শিক্ষিত এ বিশাল সমাজের নিকট এ মর্মার্থ যেমন রয়ে গেছে দুর্বোধ্য, তেমনি এর মর্মার্থ বোঝার ব্যাপারেও দেখা যায় উদাসীনতা। আল-কুরআনের অনুবাদকে সহজ সরল ভাষায় এবং সহীহ আক্বীদা অনুযায়ী অনুবাদের দিক দিয়ে তাওহীদ পাবলিকেশন্স প্রকাশিত “তাফসীর তাইসীরুল কুরআন” অনন্য। হাজারো সহীহ আক্বীদা ও মানহাজের অনুসারীগণ এই অনুবাদের উপর নির্ভর করে থাকেন।

আশা করি বইটি পাঠকদের কুরআন আরো ভালোভাবে বুঝতে ও পড়তে পারার জন্য সহায়ক হবে।

 

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন অর্থানুবাদ (পকেট সাইজ)

অর্থানুবাদ:

অধ্যাপক মোহাম্মাদ মোজাম্মেল হক

সম্পাদনায়ঃ

ড. আবদুল্লাহ ফারুক

(পিএইসডি আলীগড়), সউদী দূতাবাসের অনুবাদ কর্মকর্তা ও সাবেক চেয়ারম্যান, (ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ) চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ

কামিল, মাদরাসা-ই আলিয়া ঢাকা, বি এস অনার্স, কিং সউদ ইউনিভার্সিটি রিয়াদ; এম এ এরাবিক, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়

সাবেক অনুবাদ কর্মকর্তা, রাজকীয় সউদী দূতাবাস, বাংলাদেশ; প্রিন্সিপ্যাল অফিসার, সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস ইন বাংলাদেশ

প্রকাশনায়ঃ

তাওহীদ পাবলিকেশন্স

সম্পাদনা সহযোগী:

হাফিয আনিসুর রহমান

(লিসান্স, কুল্লিয়াতুল কুরআন, মাদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)

আবদুর রব আফফান

(লিসান্স, মাদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)

মুহাম্মাদ মুকাম্মাল হক

(বি এ অনার্স, কিং সউদ ইউনিভার্সিটি, রিয়াদ) আবূ রাশাদ আজমাল বিন আবদুন নূর (লিসান্স, মাদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)

হাফিয মুহাম্মাদ সানাউল্লাহ

(লিসান্স, মাদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)

মুহাম্মাদ ইবরাহীম আল-মাদানী

(দাঈ, ধর্ম মন্ত্রণালয় সু‘উদী আরব, দক্ষিণ কোরিয়া)

আবদুল ওয়াসে আবদুল কাইয়ূম

(দাওরায়ে হাদীস, ঢাকা )

 

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন অর্থানুবাদ (পকেট সাইজ)

প্রকাশকের কথা

আল-হামদু লিল্লাহ। ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু। আলা রাসূলিল্লাহ।

আল্লাহর অসীম কুদরতে তাফসীর তাইসীরুল কুরআরনের মূল সংস্করণের বাংলাদেশ ও সউদী সংস্করণ অতি অল্প সময়ে নিঃশেষ হয়ে যায়। অতি সহজ ভাষায় অনুদিত বলে এর ভাষা সাধারণের নিকট সাদরে গৃহীত হয়েছে। এরই মধ্যে পাঠকদের অতি আগ্রহের কারণে আল-কুরআনের অর্থানুবাদের বাংলা সংস্করণটি প্রকাশিত হলো। মানুষ মাত্রই প্রমাদ ঘটা স্বাভাবিক। আশাকরি অনিচ্ছাকৃত টি বিচ্যুতিগুলোকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে তা আমাদের অবগত করাবেন। ইনশাআল্লাহ পরবর্তী সংস্করণে সংশোধন করা হবে। পরিশেষে এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আল্লাহ উত্তম৷ জাযা দান করুন। এই দুআ করছি।

বিনীত

প্রকাশক

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন অর্থানুবাদ (পকেট সাইজ)

অনুবাদকের কথা

আমি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে করুণাময় আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়া তা’আলার শুকরিয়া আদায় করছি যিনি দুনিয়ার মানুষের প্রতি তাঁর সর্বশেষ বাণী আল-কুরআনুল কারীমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হওয়ার দুর্লভ সুযোগ আমাকে দান করেছেন। আমি মা‘আনিল কুরআনের অনুবাদক নই। এ সম্পর্কিত আরবী ভাষার গভীর জ্ঞান আমার নেই। কুরআনকে বুঝার অদম্য স্পৃহা নিয়ে আমি কয়েকটি অনুবাদগ্রন্থ অধ্যয়ন করেছি। কিন্তু সেগুলোতে কুরআনকে বুঝার, কমের পক্ষে আয়াতগুলোর বাংলা মর্মার্থ উদ্ধার করার ব্যাপারে আমি অনেক ক্ষেত্রেই হতাশ হয়েছি। বহুদিন থেকেই মনে আশা পোষণ করছিলাম কুরআনের যদি এমন একটা অর্থানুবাদ হত যা কুরআনের পাঠক তেমনিভাবে বুঝতে পারবেন যেভাবে তারা নিজ মাতৃভাষায় লিখিত গ্রন্থ বুঝে থাকেন। একদিন আমার পুত্র তাওহীদ পাবলিকেশন্স এর স্বত্বাধিকারী মোঃ ওয়ালীউল্লাহর উদ্যোগে ও আগ্রহে এ বিশাল কাজে হাত দিলাম। আমার বিদ্যা কম থাকলেও আল্লাহর প্রতি ভরসা আছে অনেক অনেক বেশি। তাই আমি সব সময়ই দৃঢ় চিত্ত ছিলাম যে আল্লাহর ফযল ও করমে এ কাজটি আমি করতে পারব। আমি সামনে রাখলাম আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত আল-কুরআনের তরজমা যা খুবই যথার্থ ও উচ্চাঙ্গের অনুবাদ গ্রন্থ। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ পাঠক এর অর্থ বোঝার সামর্থ্য রাখে না। সামনে রাখলাম মাওলানা মুহীউদ্দিন খান কৃত তরজমা। এটি বেশ সুন্দর ও ঝরঝরে ভাষায় লেখা। কিন্তু এটির ভাষাও উচ্চাঙ্গের বৈকি। আরো সামনে রেখেছি মদীনা মুনাওওরার বাদশাহ ফাহাদ প্রিন্টিং কমপ্লেক্স প্রকাশিত ড. তাকীউদ্দীন হিলালী ও ড. মুহাম্মদ মুহসিন খান কৃত ইংরেজি তরজমা এবং খ্যাতনামা ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মওদূদীর তাফহীমুল কুরআনের মাওলানা আব্দুর রহীম কৃত তরজমা। তরজমার মাঝে বন্ধনীতে প্রয়োজনীয় কিছু কথা লিখে কুরআনের আয়াতগুলো বুঝিয়ে দেয়ার ব্যাপারে আমি শেষোক্ত গ্রন্থদ্বয় হতে সাহায্য গ্রহণ করেছি৷ অবশেষে পেয়েছি কোলকাতার হাফিয মাওলানা আইনুল বারী আলিয়াভীর তরজমা। এটি আমাকে কিছু কিছু আয়াতের সঠিক অর্থ বুঝতে সাহায্য করেছে।

আরবী ভাষায় যাঁদের দক্ষতা আছে এমন বিদ্বজ্জনের দ্বারা আমার অনুবাদকর্ম দেখিয়ে নেয়ার প্রয়োজন ছিল খুব বেশি। এ দায়িত্ব পালন করেছেন সউদী দূতাবাসের অনুবাদ কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ ফারূক পিএইচডি আলীগড়, মাদরাসা-ই আলিয়া ঢাকার এমএম, রিয়াদের কিং সউদ ইউনিভার্সিটি থেকে বিএ অনার্স; ঢাকার দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এরাবিকে এমএ, বাংলাদেশস্থ সউদী দূতাবাসের সাবেক অনুবাদ কর্মকর্তা ও বর্তমানে সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড অব ইসলামী ব্যাংকস বাংলাদেশ এর সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।

এ কাজে আরো সাহায্য করেছেন সউদী আরবে ইসলামী দাওয়াতী কার্যে নিয়োজিত ও মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদপ্রাপ্ত আবদুর রব আফফান, মাদরাসা মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, ঢাকা’র মুদাররিস হাফিয আনিসুর রহমান আল মাদানী, ভারতের পশ্চিম বাংলার মুহাম্মদ মুকাম্মল হক, আবূ রাশাদ আজমাল বিন আবদুন নূর, হাফিয মুহাম্মাদ সানাউল্লাহ ও আবদুল ওয়াসে আবদুল কাইয়ূম। বিশেষতঃ আবদুর রব আফফান গ্রন্থটিকে সাউদী আরবে প্রকাশ করার জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। আল্লাহ এদের সবাইকে উত্তম বিনিময় দান করুন।

আমি আশা করি বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী কুরআনের পাঠক, গবেষক এবং ইসলামী গ্রন্থপ্রণেতাগণ এ অনুবাদের মাধ্যমে কুরআনের কাছাকাছি পৌঁছতে পারবেন। আল্লাহর সঙ্গে তাদের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠবে। তাঁরা ইসলামের নাবী ও ইসলামকে গভীরভাবে চিনতে পারবেন এবং ইসলামী জ্ঞান-গৌরব নতুন উদ্দীপনা লাভ করবে। অনুবাদের ক্ষেত্রে কোন প্রকার ত্রুটি বিচ্যুতি উল্লেখ ও দিক নির্দেশনা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করা হবে। আল্লাহ! তুমি আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে গ্রহণ কর। আমীন!

আসুন! আমরা প্রতিদিন কুরআন পড়ি, কুরআনের বাণীকে আত্মস্থ করি। আল-কুরআনের মর্মবাণীকে সহজপাঠ্য ও সহজবোধ্য করে তুলি। ঘরে ঘরে এর চর্চা ও অনুশীলন বৃদ্ধি করে তদনুযায়ী আমল করি। ইনশাআল্লাহ এটি পরকালে শাফা’আতকারী হিসেবে দাঁড়াবে এবং মুক্তির পথকে সুগম করবে।

আল্লাহ তাওফীক দানকারী এবং মুহাম্মাদ (স:) এর উপর সালাম বর্ষিত হোক।

বিনীত

মোহাম্মদ মোজ্জাম্মেল হক

তাং ১০-০৯-২০০৭

 

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন অর্থানুবাদ (পকেট সাইজ)

১. সূরাহ আল-ফাতিহাহ*

আয়াত : ৭, রুকূ : ১, মাক্কী

১. (আরম্ভ করছি) পরম করুণাময় অসীম দয়াময় আল্লাহ্ নামে ।

২. যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্ই জন্য।

৩. যিনি করুণাময় ও কৃপানিধান।

৪. যিনি প্রতিফল দিবসের মালিক।

৫. আমরা কেবল তোমারই ‘ইবাদাত করি এবং কেবলমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

৬. আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন কর ও তার প্রতি অটুট থাকার তাওফীক দান কর।

৭. তাদের পথ, যাদের প্রতি তুমি অনুগ্রহ করেছ। তাদের পথ নয় যারা গযবপ্রাপ্ত ও পথভ্রষ্ট।

*উবাদাহ ইবনু সামিত মল হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ্ (রঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি সলাতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা পড়ল না, তার নামায হলো না। -বুখারী ৭৫৬, [মুসলিম ৩৯৪, তিরমিযী ২৪৭, নাসায়ী ৯১০, ৯১১; আবূ দাউদ ৮২২, ইবনে মাজাহ ৮৩৭, আহমাদ ২২১৬৩, ২২১৮৬, ২২২৩৭] আবূ সা’ঈদ ইবনু মু’আল্লা (মন হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা মাসজিদে নাববীতে নামায আদায় করছিলাম, এমন সময় রসূলুল্লাহ (র) আমাকে ডাকেন। কিন্তু ডাকে আমি সাড়া দেইনি। পরে আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি নামায আদায় করছিলাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ কি বলেননি যে, “ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা নাড়া দেবে আল্লাহ্ ও রসূলের ডাকে, যখন তিনি তোমাদেরকে ডাক দেন” (সূরাহ আনফাল ৮/২৪)। তারপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার আগেই তোমাকে আমি কুরআনের এক অতি মহান সূরাহ্ শিক্ষা দিব। তারপর তিনি আমার হাত ধরেন। এরপর যখন তিনি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করেন তখন আমি তাঁকে বললাম, আপনি কি বলেননি যে আমাকে কুরআনের অতি মহান সূরাহ্ শিক্ষা দিবেন? তিনি বললেন : । সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক, এটা বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহান কুরআন যা কেবল আমাকেই দেয়া হয়েছে। -বুখারী ৪৪৭৪ [৪৬৪৭, ৪৭০৩, ৫০০৬; নাসায়ী ৯১৩, আবূ দাউদ ১৪৫৮, ইবনে মাজাহ ৩৭৮৫, আহমাদ ১৫৩০৩, ১৭৯৩৫; দারিমী ১৪৯২, ৩৩৭১]

আবূ সাঈদ (র:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (স:)-এর একদল সাহাবী কোন এক সফরে যাত্রা করেন। তারা এক আরব গোত্রে পৌছে তাদের মেহমান হতে চাইলেন। কিন্তু তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। সে গোত্রের সরদার বিচ্ছু দ্বারা দংশিত হল। লোকেরা তার (আরোগ্যের) জন্য সব ধরনের চেষ্টা করল। কিন্তু কিছুতেই কোন উপকার হল না। তখন তাদের কেউ বলল, এ কাফেলা যারা এখানে অবতরণ করেছে তাদের কাছে তোমরা গেলে ভাল হত। সম্ভবত, তাদের কারো কাছে কিছু থাকতে পারে। ওরা তাদের নিকট গেল এবং বলল, হে যাত্রীদল! আমাদের সরদারকে বিচ্ছু দংশন করেছে, আমরা সব রকমের চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছুতেই উপকার হচ্ছে না। তোমাদের কারো কাছে কিছু আছে কি? তাদের (সাহাবীদের) একজন বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহর কসম আমি ঝাড়-ফুঁক করতে পারি। আমরা তোমাদের মেহমানদারী কামনা করেছিলাম, কিন্তু তোমরা আমাদের জন্য মেহমানদারী করনি। কাজেই আমি তোমাদের ঝাড়-ফুঁক করব না, যে পর্যন্ত না তোমরা আমাদের জন্য পারিশ্রমিক নির্ধারণ কর। তখন তারা এক পাল বকরীর শর্তে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হল। তারপর তিনি গিয়ে [সূরা ফাতিহা) পড়ে তার উপর ফুঁ দিতে লাগলেন। ফলে সে (এমনভাবে নিরাময় হল) যেন বন্ধন হতে মুক্ত হল এবং সে এমনভাবে চলতে ফিরতে লাগল যেন তার কোন কষ্টই ছিল না।……….. হাদীসের শেষ পর্যন্ত। -বুখারী ২২৭৬ [৫০০৭, ৫৭৩৬, ৫৭৪৯, মুসলিম ৩৯/২৩, হাঃ ২২০১, আহমাদ ১১৩৯৯]

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন অর্থানুবাদ (পকেট সাইজ)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন অর্থানুবাদ (পকেট সাইজ)

Reviews (0)

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “তাফসীর তাইসীরুল কুরআন অর্থানুবাদ (পকেট সাইজ)”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart
Facebook Twitter Instagram YouTube WhatsApp WhatsApp

Sign in

No account yet?