দ্বীনী প্রশ্নোত্তর

৳ 207

দ্বীনী প্রশ্নোত্তর
লেখক : আব্দুল হামীদ ফাইযী আল মাদানী
প্রকাশনী : তাওহীদ পাবলিকেশন্স
বিষয় : ইসলামি বিধি-বিধান ও মাসআলা-মাসায়েল
পৃষ্ঠা : ৩৬৮, কভার : হার্ড কভার
Description

দ্বীনী প্রশ্নোত্তর

দ্বীনী প্রশ্নোত্তর
প্রকাশনী : তাওহীদ পাবলিকেশন্স
বিষয় : ইসলামি বিধি-বিধান ও মাসআলা-মাসায়েল
পৃষ্ঠা : ৩৬৮, কভার : হার্ড কভার
বইটি কিনতে কিল্ক করুন: দ্বীনী প্রশ্নোত্তর
আরো জানতে কিল্ক করুন: তাওহীদ পাবলিকেশন্স

দ্বীনী প্রশ্নোত্তর

দ্বীনী প্রশ্নোত্তর

[ মুসলিম নর-নারীর জন্য ঈমান, আক্বীদা আমলসহ প্রাত্যহিক জীবনের অভিনব ৮০৫ টি প্রশ্নের উত্তর সম্বলিত ]

সংকলনে:

আব্দুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী

বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ইসলামী গবেষক, লেখক, মুহাক্কিক আলিম ও দাঈ

প্রকাশনায়

তাওহীদ পাবলিকেশন্স

ঢাকা-বাংলাদেশ


দ্বীনী প্রশ্নোত্তর

সূচীপত্র

  • মহান আল্লাহ কোথায় আছেন?
  • মহান আল্লাহ কি নিরাকার, নাকি তাঁর আকার আছে?
  • যে মসজিদে কবর আছে, সে মসজিদে নামায হয় না।
  • মসজিদে কবর দেওয়া অথবা কবরের উপরে মসজিদ বানানো বৈধ নয় কেন? অথচ মহানবী (স)-এর কবর মসজিদে নববীর ভিতরে রয়েছে।
  • আহলে কিতাব (ইয়াদী-খ্রিস্টান) কি কাফের?
  • কবরপূজা কি ইসলামের শরীয়ত-সমর্থিত?
  • আল্লাহর নবী (স) কি হাযির-নাযির?
  • ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ’, ‘ইয়া আলী’, বা ‘ইয়া জীলানী’ বলা বৈধ কি?
  • আল্লাহ ছাড়া কেউ কি ‘বিপত্তারণ’ বা ‘গওস পাক’ আছে?
  • মহানবী (স) কি আমাদের মতো মানুষ ছিলেন?
  • মহানবী (স) কি মাটির তৈরি ছিলেন, নাকি নূরের তৈরি ছিলেন?
  • যারা ‘নবী’কে খোদ ‘খোদা’ বলে বিশ্বাস রাখে, তাদের বিধান কী?
  • নবীর জন্য সারা বিশ্বজগৎ সৃষ্টি হয়েছে।—এ ধারণা কি সঠিক।
  • নবী-অলীর অসীলায় দুআ করা যায় কি?
  • হেতুর উপর ভরসা করলে শির্ক কখন হয়?
  • কোন মাযারের জন্য হাঁস-মুরগী বা ফল-ফসল মানত করা বৈধ কি?
  • মুসলিম হওয়ার জন্য কেবল কালেমা পড়াই কি যথেষ্ট?
  • ‘জন্মে-জন্মে’ বা ‘জন্মে-জন্মান্তরে তোমাকে ভালবাসব’—এ বিশ্বাস কি সঠিক?
  • জাতীয় পতাকার তা’যীমে তাকে ‘সেলুট’ করা এবং তার সামনে একাগ্রচিত্তে দণ্ডায়মান হওয়া কি মুসলিমের জন্য বৈধ?
  • মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর প্রতি ঈমানের সাথে তাগূতের প্রতি কুফরী (অর্থাৎ, তাগূতকে অ¯্বীকার) করতে বলেছেন। কিন্তু ‘তাগূত’ কাকে বলে?
  • তকদীর যদি সত্য হয়, তাহলে কি আমল বৃথা নয়?
  • এ কথা কি ঠিক যে, যার নাম ‘মুহাম্মাদ’ হবে সে জান্নাতী হবে এবং তাকে গালি দেওয়া ও প্রহার করা যাবে না?
  • মানুষের মতো জ্বিনদেরও জান্নাত-জাহান্নাম আছে। কিন্তু আগুনের তৈরি জ্বিন আগুনে শাস্তি পাবে কীভাবে?
  • জ্বিন কি মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে?
  • স্বামী বা ডাক্তার কি ইচ্ছামতো পুত্র বা কন্যা-সন্তান জন্মাতে পারে?

দ্বীনী প্রশ্নোত্তর

  • মায়ের পেটে কোন্ সন্তান আছে, তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। কিন্তু বর্তমানে তো যন্ত্র দ্বারা বলা সম্ভব হয়েছে। তাহলে কি কুরআনের ব্যাখ্যা ভুল করা হয়েছে?
    আল্লাহ বা তাঁর রসূল (স)-কে গালি দিলে কেউ মুসলিম থাকবে কি?
  • অনেক সময় নবী (স)-এর হুজরার আশেপাশে চিরকুট পড়ে থাকতে দেখা যায়, তাতে থাকে নানা আবেদন। সে আবেদন করা হয় নবী (স)-এর কাছে। কেউ লেখে, চাকরি চাই, কেউ লেখে, সুখ-সমৃদ্ধি চাই, কেউ লেখে, কিয়ামতে সুপারিশ চাই, কেউ লেখে, ভাল ¯্বামী চাই ইত্যাদি। নবী (স)-এর দরবারে এমন দরখাস্ত পেশ করার শরয়ী বিধান কী?
  • এক পীর সাহেব আছেন, যিনি তাঁর মুরীদদেরকে অসিয়তে বলেন, ‘পাপের সম্মুখীন হলে আমাকে স্মরণ করো, তাহলে পাপ থেকে বেঁচে যাবে।’ এই শ্রেণীর স্মরণ কি শির্ক নয়?
  • শোনা যায়, আল্লাহর চোখ আছে। এ কথা কি ঠিক?
  • ‘মালাকুল মাওত’ ফিরিশ্তার নাম কি ‘আজরাঈল’?
  • কুফ্র ও শির্ক না করেও মানুষ কখন কাফের হয়?
  • নবী (স)-এর নবুঅত-প্রাপ্তির আগে যারা মুশরিক অবস্থায় মারা গেছে, তারা জাহান্নামে যাবে কেন? অথচ মহান আল্লাহ বলেছেন, “আমি রসূল না পাঠানো পর্যন্ত কাউকে শাস্তি দিই না।
  • কোন কাফের ‘মুসলিম’ হলে কুফরী অবস্থায় কৃত আমলের সওয়াব সে পাবে কি?
  • ভাল নিয়তে কোন খারাপ কাজ করলে কি তার সওয়াব পাওয়া যায়?
  • আল্লাহর রসূল (স)-কে ‘হাবীবুল্লাহ’ বলা উচিত, নাকি ‘খালীলুল্লাহ’?
  • মহান আল্লাহর সর্বপ্রথম সৃষ্টি কী?
  • মহান আল্লাহ তো সবই জানেন, তাহলে কিরামান-কাতেবীন দ্বারা লেখানোর যুক্তি কি?
  • যারা কাবীরা গোনাহ করে, অর্থাৎ ব্যভিচার করে, খুন করে, মদ্যপান করে, মিথ্যা কথা বলে ইত্যাদি, তারা কি কাফের? তারা কি চিরকাল দোযখে বাস করবে?
  • ‘আল্লাহ আকাশ-পৃথিবীর জ্যোতি’ কথার অর্থ কী?
  • সৃষ্টিতত্ত্বের কোন সংবাদ প্রচারে কেউ কেউ বলে থাকেন, ‘এত কোটি বছরে এই হয়েছিল। এত কোটি বছর আগে ঐ হয়েছিল। এত কোটি বছর পূর্বে পৃথিবীতে মানুষের বসবাস শুরু হয়।’ ইত্যাদি। এ সবে বিশ্বাস করা কি বৈধ?
  • আল্লাহর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ, আল্লাহর কাজের সমালোচনা অথবা আল্লার কাজে দোষ বের করা বৈধ কি?

দ্বীনী প্রশ্নোত্তর

  • বদ-নজর থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে গাড়ির সামনে ছেঁড়া জুতো ঝুলিয়ে দেওয়া, ফলদার গাছে ভাঙ্গা হাঁড়ি টেঙ্গে দেওয়া, গরু বা ঘোড়ার গলায় কিছু বেঁধে দেওয়া বৈধ কি?
  • যদি কেউ ইমাম মাহদীর আগমন ও ঈসা (আ:)-এর অবতরণকে অ¯্বীকার করে, তাহলে তার বিধান কী?
  • কিয়ামতে মানুষকে তার মায়ের নাম ধরে ডাকা হবে, নাকি বাপের নাম ধরে?
  • আল্লাহর রসূল (স)-এর পিতামাতা কি মুশরিক অবস্থায় মারা গেছেন?
  • আদম (আ:) যখন তওবা করেছিলেন, তখন তিনি মুহাম্মাদের অসীলায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন।—এ কথা সঠিক কি?
  • কিয়ামতে প্রত্যেক সন্তানকে কি তার মায়ের নাম জুড়ে ডাকা হবে?
  • দাঊদ (আ:)-এর সৈনিক আওরিয়ার স্ত্রীর প্রেমে পড়া এবং কৌশলে তাকে হত্যা করিয়ে ঐ মহিলাকে বিয়ে করার কাহিনী কি ঠিক?
  • উল্কা বা তারা ছুটার সাথে দুনিয়ার কোন ঘটনাঘটনের সম্পর্ক আছে কি?
  • চন্দ্র বা সূর্য গ্রহণের সাথে দুনিয়ার কোন ঘটনাঘটনের সম্পর্ক আছে কি?
  • মাটিতে দাগ টেনে হাত চালিয়ে অদৃশ্যের কিছু বলা সম্ভব কি? হাত চালিয়ে ঘরের মধ্যে সাপ কোথায় আছে, সাপে কামড়ালে বিষ হয়েছে কি না, চুরি হওয়া জিনিস কোথায় আছে বা কে নিয়েছে—এ সব বলা কি বৈধ?
  • সাহাবা
  • সাহাবাগণের পরবর্তী যুগে কি কোনও মুসলিমের জন্য সাহাবার মর্তবা ও মর্যাদায় পৌঁছনো সম্ভব?
  • জ্বিন ও শয়তান
  • মনের ভিতরে আল্লাহ ও গায়বী বিষয়সমূহে নানা সন্দেহের সৃষ্টি হলে কী করা উচিত?
  • জ্বিন যাতে কাছে বা বাড়িতে না আসে, সে উদ্দেশ্যে বাঘের ছাল বা মাথা ঘরে রাখা বৈধ কি?
  • জ্বিন কি বশ করা যায়?
  • জ্বিন কি কোন মানুষের সাথে যৌন-মিলনে লিপ্ত হতে পারে?
  • কোন মৃতের ‘রূহ’ কি হাযির করা যায়?
  • জ্বিন কি মানুষকে অপহরণ ও হত্যা করতে পারে?
  • জ্বিন কর্তৃক খুন-হত্যা, অপহরণ ইত্যাদি সত্য হলে, যাদের জ্বিন বশ আছে, তারা তার দ্বারা বড় বড় অপরাধীদেরকে ধ্বংস করায় না কেন?
  • অনেক সময় রোগী বড় ওঝার কাছে ভাল হয় না। জ্বিন পাওয়ার প্রায় সমস্ত আলামত থাকতেও পরিশেষে ডাক্তারের কাছে ভাল হয়। তাহলে জ্বিন পাওয়ার ব্যাপারটা কি মানসিক রোগ নয়?

দ্বীনী প্রশ্নোত্তর

  • যে ব্যক্তি জ্বিন অ¯্বীকার করে, ইসলামে তার বিধান কী?
  • জ্বিন জাতি আগুন থেকে সৃষ্ট। তাদের জান্নাত-জাহান্নাম হলে জাহান্নামের আগুনে আগুন পুড়বে বা শাস্তি পাবে কীভাবে?
  • কিতাব ও সুন্নাহ
  • রেডিও বা টিভিতে কুরআন শুনতে শুনতে খবরের সময় হলে তা শোনা বাদ দিয়ে খবর শোনা হয়। এ কাজ কি কুরআন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর্যায়ে পড়ে?
  • অনেকের রেডিও, টিভি, টেপ বা মোবাইলে কুরআন তিলাঅত চলতে থাকে এবং তারা আপোসে গল্পতে মগ্ন থাকে। এ আচরণ কি ঠিক?
  • বিতর্কিত সমস্যায় কার সমাধান গ্রহণ করব?
  • অনেক শিক্ষিত মুসলিম পরিবার আছে, যারা কুরআন শেখে না, শিখে থাকলেও নিয়মিত তিলাঅত করে না, তিলাঅত করলেও মানে বুঝে (পড়ে) না, বুঝলেও যথাযথভাবে আমল করে না। এদের আলমারী অথবা দেওয়ালের তাকে বড় যত্নের সাথে কুরআন রাখা থাকে। এদের ব্যাপারে উপদেশ কী?
  • উম্মতের ইখতিলাফ কি রহমত?
  • দ্বীন ও ইসলাম
  • দ্বীনে মধ্যমপন্থা কী?
  • মহান আল্লাহ যে জিনিসকে হালাল করেছেন, তা হারাম এবং যে জিনিসকে হারাম করেছেন, তা হালাল করার ব্যাপারে কোন ইমাম, আলেম বা সরকারের আনুগত্য করা কী?
  • যে ব্যক্তি শরীয়তের কোন বিধানকে ‘অচল’ বা ‘বস্তাপচা’ মনে করে, সে ব্যক্তির বিধান কী?
  • যে ব্যক্তি মনে করে, নারী-পুরুষের সমান অধিকার না দিয়ে ইসলাম নারীর প্রতি যুলুম করেছে, সে ব্যক্তির বিধান কী?
  • বিদআত
  • ‘বিদআত’ কাকে বলে? কখন কোন্ কাজকে ‘বিদআত’ বলে আখ্যায়ন করা হবে?
  • বিদআত কাকে বলে? ‘বিদআতে হাসানাহ’ বলে কি কোন বিদআত আছে?
  • ‘বিদআতে হাসানাহ’ নামক কোন বিদআত আছে কি, যা করলে সওয়াব হয়। যেহেতু হাদীসে আছে, “যে ব্যক্তি ইসলামে ভাল রীতি চালু করবে, সে তার নিজের এবং ঐ সমস্ত লোকের সওয়াব পাবে, যারা তার (মৃত্যুর) পর তার উপর আমল করবে। তাদের সওয়াবের কিছু পরিমাণও কম করা হবে না।”
  • ঈদে মীলাদুন নাবী বিদআত কেন?
  • ‘ঈদে মীলাদুন নাবী’ (নবী-দিবস) পালন করা বৈধ নয় কেন?
  • কেক কেটে, মোমবাতি নিভিয়ে বার্থ-ডে বা জন্মদিন পালন করা কি?

দ্বীনী প্রশ্নোত্তর

  • দ্বীনের দাওয়াত
  • দাওয়াতের কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার বৈধ কি?
  • দাওয়াতী ময়দানের ঘোড়-সওয়ারদের ভুল সংশোধনের সঠিক পদ্ধতি কী?
  • মহিলা কি দাওয়াতের কাজ করতে পারে?
  • দাওয়াতের কাজ কখন শুরু করা যাবে?
  • কিসের দাওয়াত আগে দিতে হবে?
  • অনেকে সৎকাজের আদেশ ও মন্দকাজে বাধা দান না ক’রে বলে, ‘এ সব আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহই দ্বীনের হিফাযত করবেন। আর আল্লাহই তো বলেছেন, “ হে মু’মিনগণ! তোমাদের আত¥রক্ষা করাই কর্তব্য। তোমরা যদি সৎপথে পরিচালিত হও, তবে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে, সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।” সুতরাং তাদের কথা কি ঠিক?
  • নিজের লোক উপদেশ গ্রহণ না ক’রে যদি পাপে অবিচল থাকে, তাহলে কি তার সাথে পথ চলা যাবে?
  • কিছু অল্প শিক্ষিত আলেম অথবা বাংলা পড়ুয়া আধুনিক শিক্ষিত ফতোয়াবাজি করেন। তাঁদের এ কাজ কি যথাযথ?
  • দাওয়াতের কাজে আলেম ও বক্তার অর্থ গ্রহণ করা কি বৈধ?
  • কোন মুফতী ফতোয়া দেওয়ার পর সেটা ‘ভুল ফতোয়া’ বলে জানতে পারলে তাঁর কী করা উচিত?
  • দ্বীনের বিষয়ে কোন নির্দিষ্ট ইমাম বা আলেমের ‘তাক্বলীদ’ অন্ধানুকরণ করা বৈধ কি?
  • জামা‘আত ও মযহাব
  • শতধাবিচ্ছিন্ন দলেদলে বিভক্ত মুসলিম সমাজে নব আলোকপ্রাপ্ত মুসলিম বা নও-মুসলিমরা কোন দলে শামিল হবে?
  • ধর্মনিরপেক্ষবাদী কি মুসলিম থাকতে পারে?
  • সূফীপন্থী মুসলিম কি হকপন্থী? ‘সূফী’ কেন বলা হয়?
  • জিহাদ ও সন্ত্রাস
  • মুসলিম দেশে মানব-রচিত আইন দ্বারা পরিচালিত মুসলিম শাসককে সরিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র কীভাবে কায়েম হবে?
  • আল্লাহর বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র-পরিচালনা না করলে কি কোন মুসলিম শাসককে ‘কাফের’ বলা যাবে?
  • মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কীভাবে করা যাবে?
  • মহান আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, “অতঃপর নিষিদ্ধ মাসগুলি অতিবাহিত হলে অংশীবাদীদেরকে যেখানে পাও হত্যা কর, তাদেরকে বন্দী কর, অবরোধ কর এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওঁৎ পেতে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, যথাযথ নামায পড়ে ও যাকাত প্রদান করে, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” “আর যেখানে পাও, তাদেরকে হত্যা কর এবং যেখান থেকে তোমাদেরকে বহিষ্কার করেছে, তোমরাও সেখান থেকে তাদেরকে বহিষ্কার কর।” এ সবের মানে কি কুরআন আমাদেরকে অমুসলিমদের হত্যা করতে বলছে?
  • দ্বীনের কোন কোন দাঈ দ্বীন মানতে ও মানাতে আবেগের সাথে কঠোরতা ও অতিরঞ্জন প্রদর্শন করে। এ ব্যাপারে দ্বীনের নির্দেশ কী?
  • স্বপ্ন ও তার বৃত্তান্ত
  • ঘুমের ঘোরে যে সব স্বপ্ন দেখা যায়, তা কি সত্য হতে পারে?

দ্বীনী প্রশ্নোত্তর

  • কেউ স্বপ্নদিষ্ট হলে কী করবে?
  • চিকিৎসা, তাবীয ও ঝাড়ফুঁক
  • কোন ব্যথা-বেদনা বা জ্বালা-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার মানসে ঝাড়ফুঁক করা বা করানো কি বৈধ?
  • কোন মুশরিক বা অমুসলিমের কাছে ঝাড়ফুঁক করানো বৈধ কি?
  • পানি পড়া বৈধ কি না? পানপাত্রে ফুঁক দিতে হাদীসে নিষেধ আছে, তাহলে পানি পড়াতে ফুঁক দেওয়া কীভাবে বৈধ হতে পারে?
  • ঝাড়ফুঁক ক’রে কি পয়সা নেওয়া বৈধ?
  • কোন বালা-মুসীবত বা জ্বিনভূতের কবল থেকে বাঁচার জন্য তাবীয ব্যবহার করা বৈধ কি?
  • তাবীয দিয়ে পয়সা খাওয়া কি হালাল?
  • কুরআনের আয়াত পাত্রে জাফরান দিয়ে লিখে তা পান করার মাধ্যমে আরোগ্যের আশা করা বৈধ কি?
  • জ্বিন ছাড়াতে কি আগুন ব্যবহার করা যায়?
  • যিনি ঝাড়ফুঁক করবেন, তাঁর কি আলেম, ইমাম বা যুর হওয়া জরুরী?
  • থুথু দিয়ে মাটি ঘুলে ফোঁড়া বা ব্যথা ইত্যাদিতে লাগিয়ে চিকিৎসা বৈধ কি?
  • বদনজরের শরয়ী চিকিৎসা কী?
  • কেউ খাওয়া দেখলে বদনজরের ভয়ে কিছু খাবার মাটিতে ফেললে কি উপকার হয়?
  • যে ইমাম সাহেব তাবীয লিখেন এবং তার বিনিময়ও গ্রহণ করেন, তাঁর পিছনে নামায শুদ্ধ কি?
  • তামা বা লোহার বালা ব্যবহার ক’রে আরোগ্য লাভের আশা করা বৈধ কি?
  • জাদু কাটানোর জন্য জাদু ব্যবহার বৈধ কি?
  • জ্বিন ছাড়ানোর জন্য পশু-পাখী যবেহ করা কি শরীয়তসম্মত?
  • অমুসলিমদের সাথে ব্যবহার
  • ক্রিসমাস ডে’ ও নববর্ষের আগমনে কাফেরদেরকে মুবারকবাদ দেওয়া যায় কি? যেহেতু ওরা আমাদের সাথে কাজ করে। ওরা যদি আমাদেরকে সম্ভাষণ জানায়, তাহলে ওদেরকে আমরা কিভাবে উত্তর দেব? এই উপলক্ষ্যে ওদের আয়োজিত কোন অনুষ্ঠানে যোগদান করা বৈধ কি? উক্ত বিষয়সমূহের কোন একটা ক’রে ফেললে মানুষ গোনাহগার হবে কি? যদি সদ্ব্যবহার, চক্ষুলজ্জা বা সঙ্কোচ ইত্যাদির খাতিরে করা হয়? আর এ সবে ওদের অনুরূপ করা চলবে কি?
  • অমুসলিমদেরকে সালাম দেওয়া যায় কি?
  • একত্রে মুসলিম-অমুসলিম উভয়ই থাকলে কোন্ শব্দে সালাম দেওয়া যাবে? এ ক্ষেত্রে কি ‘আস্-সালামু আলা মানিত্তাবাআল দা’ বলে সালাম দিতে হয়?
  • কাফেরদের কোন্ ধরনের সাদৃশ্য গ্রহণে দোষ আছে?
  • অমুসলিমের ঘরে পানাহার বৈধ কি?
  • কোন অমুসলিম ইফতারী পার্টি দিলে তা খাওয়া বৈধ কি?
  • কোন অমুসলিমকে অনূদিত কুরআন অথবা যাতে কুরআনী আয়াত আছে এমন বই পড়তে দেওয়া বৈধ কি?
  • কার্যক্ষেত্রে কোন অমুসলিমের অফিস বা বাড়িতে নামায পড়া শুদ্ধ কি?
  • অমুসলিমদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক কায়েম করা বৈধ কি?
  • প্রয়োজনে কোন অমুসলিমকে কি মসজিদ-প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে?
  • মূর্তিপূজা উপলক্ষ্যে বসানো মেলা বা বাজার থেকে কোন বৈধ জিনিস ক্রয় করা কি অবৈধ?
  • কোন মুসলিম যদি ‘সব ধর্ম সমান’ কথায় বিশ্বাস রাখে, তাহলে সে কি মুসলিম থাকবে?
  • হিজরত করা ওয়াজেব কখন?
  • অমুসলিমদের সাথে মুসলিমদের ব্যবহার কেমন হবে?
  • বেনামাযীকে ‘কাফের’ বলাতে দোষ আছে কি?
  • কোন ব্যক্তি তার পরিজনকে নামায পড়তে আদেশ করা সত্ত্বেও যদি তারা তার কথা না শোনে, তাহলে সে ব্যক্তি তাদের সাথে এক সংসারে বসবাস করবে, নাকি পৃথক হয়ে যাবে?
  • পশু-পক্ষীর সাথে ব্যবহার
  • বাড়িতে যে সব অবাঞ্চিত ও ক্ষতিকর প্রাণী, যেমন পিঁপড়ে, আরশোলা, ছারপোকা ইত্যাদি থাকে, তা হত্যা করা বৈধ কি?
  • পশুর দেহে বা কানে দাগ ক’রে চিহ্ন দেওয়া জায়েয কি না?
  • শিশুদের খেলার জন্য, মনোরঞ্জনের জন্য অথবা সৌন্দর্যের জন্য পিঞ্জারাবদ্ধ ক’রে পাখি পোষা বৈধ কি?
  • শখের বশে কুকুর পোষা বৈধ কি?
  • বিবিধ
  • কাফেররা উন্নত, আর মুসলিমরা অনুন্নত কেন?
  • মুসলিমের দোষ ঢাকার উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য গোপন করা বৈধ কি?
  • কুরআন মাজীদের পাতা ছিঁড়ে গেলে কী করা উচিত?
  • আঙ্গুলে থুথু লাগিয়ে বইয়ের পাতা উল্টানো লোকের অভ্যাস, কুরআন মাজীদের পাতাও কি ঐভাবে উল্টানো যায়?

দ্বীনী প্রশ্নোত্তর

ভূমিকা

الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على أشرف المرسلين، نبينا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين. أما بعد:

দিবারাত্রি নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। সেই সকল প্রশ্নের উত্তর উদ্ধার করতে হয় বিভিন্ন মুফতীর কুরআন-হাদীস ভিত্তিক ফতোয়া গ্রন্থাবলী হতে। তারই কিছু সংকলিত হল এই পুস্তকে। আশা করি, মুসলিম জনসাধারণের কাজে লাগবে।

কোন কোন ফতোয়ার শেষে কোন কোন মুফতী সাহেবের নামের সংকেত ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিম্নরূপ ঃ-

ইবা = ইবনে বায

ইজি = ইবনে জিবরীন

ইউ = ইবনে উষাইমীন

মুই = মুহাম্মাদ বিন ইব্রাহীম

লাদা = লাজনাহ দায়েমাহ

মুনাজ্জিদ = মুহাম্মাদ স্বালেহ আল-মুনাজ্জিদ

বানী = আলবানী

মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন এ আমল কবুল ক’রে নেন। আমীন।

বিনীত—

আব্দুল হামীদ মাদানী

আল-মাজমাআহ, সঊদী আরব


দ্বীনী প্রশ্নোত্তর

আক্বীদাহ ও তাওহীদ

আক্বীদাহ ও তাওহীদ
প্রশ্ন: মহান আল্লাহ কোথায় আছেন?
উত্তর: মহান আল্লাহ আছেন সাত আসমানের ঊর্ধ্বে আরশের উপরে। তিনি বলেছেন,

{الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى} (৫) سورة طـه

অর্থাৎ, পরম দয়াময় আরশে সমাসীন। (ত্বা-হা ঃ ৫)
তিনি স্রষ্টা, সৃষ্টি থেকে ঊর্ধ্বে থাকেন। তবুও তিনি বান্দার নিকটবর্তী। তাঁর জ্ঞান ও দৃষ্টি সর্বত্র আছে। মু’মিনের হূদয়ে তাঁর যিক্র বা স্মরণ থাকে।
প্রশ্ন:মহান আল্লাহ কি নিরাকার, নাকি তাঁর আকার আছে?
উত্তর: মহান আল্লাহর আকার আছে। তিনি নিরাকার নন। তবে সেই আকার কেমন, তা কেউ জানে না। তিনি বলেছেন,

{لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيْعُ البَصِيْرُ} (১১) سورة الشورى

অর্থাৎ, কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা । (শূরা ঃ ১১)
তাঁকে বেহেশ্তে দেখা যাবে। তাঁর দীদারই হবে বেহেশ্তের সবচেয়ে বড় সুখ।
মহানবী (স) স্বপ্নে আল্লাহকে দেখেছেন। তিনি বলেছেন,

(رَايْتُ رَبِّيْ فِيْ أَحْسَنِ صُوْرَةٍ).

অর্থাৎ, আমি আমার প্রতিপালককে সবচেয়ে সুন্দর আকৃতিতে দর্শন করেছি।
আর যা দেখা যায়, তা নিরাকার নয়।
প্রশ্ন: যে মসজিদে কবর আছে, সে মসজিদে নামায হয় না। মসজিদে কবর দেওয়া অথবা কবরের উপরে মসজিদ বানানো বৈধ নয় কেন? অথচ মহানবী (স)-এর কবর মসজিদে নববীর ভিতরে রয়েছে।
উত্তর: বৈধ নয়, যেহেতু মহানবী (স) তা নিষেধ ক’রে গেছেন। আর তাঁর কবর মসজিদের ভিতরে মনে হলেও তাতে কিন্তু বৈধতার দলীল নেই। কারণ ঃ-
প্রথমতঃ মসজিদে নববী নবী (স) নিজে বানিয়েছেন। সুতরাং তাঁর কবরের উপরে মসজিদ হয়নি।
দ্বিতীয়তঃ তাঁর ইন্তিকালের পর তাঁর কবর মসজিদে হয়নি। বরং তাঁর কবর হয়েছিল মা আয়েশা(র:)র ঘরের ভিতরে।

দ্বীনী প্রশ্নোত্তর

তৃতীয়তঃ মসজিদে নববী সম্প্রসারণের সময় মা আয়েশার ঘর যখন মসজিদের শামিলে আনা হয়, তখন তা সাহাবাগণের ঐক্যমতে ছিল না। বরং সেই সময় অধিকাংশ সাহাবা পরলোকগত। আর তা ছিল প্রায় ৯৪ হিজরীতে। যে সকল সাহাবা তখন বর্তমান ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই সে কাজের প্রতিবাদ করেছেন। তাবেঈনদের মধ্যে যাঁরা প্রতিবাদ করেছেন, তাঁদের মধ্যে সাঈদ বিন মুসাইয়িব অন্যতম।
চতুর্থতঃ মা আয়েশার হুজরা মসজিদে শামিল হওয়ার পরেও কবর মসজিদে নয়। বরং তা পৃথক কক্ষে সংরক্ষিত আছে। তিন-তিনটি দেওয়াল ও রেলিং দিয়ে তা পৃথক করা আছে। ভিতরের দেওয়াল দেওয়া আছে তিনকোণা আকারে, যাতে তার পশ্চাতে কেউ নামায পড়তে দাঁড়ালে সরাসরি কবর সামনে না পড়ে।
বলা বাহুল্য, মহানবী (স)-এর কবর দেখে মসজিদের ভিতর কবর দেওয়ার বৈধতার দলীল পেশ করা শুদ্ধ নয়।
প্রশ্ন: আহলে কিতাব (ইয়াহুদী-খ্রিস্টান) কি কাফের?
উত্তর: মহান আল্লাহই তাদেরকে মুশরিক ও কাফের গণ্য করেছেন। তিনি বলেছেন,

{وَقَالَتِ الْيَهُوْدُ عُزَيْرٌ ابْنُ اللهِ وَقَالَتْ النَّصَارَى الْمَسِيْحُ ابْنُ اللهِ ذَلِكَ قَوْلُهُم بِأَفْوَاهِهِمْ يُضَاهِؤُوْنَ قَوْلَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِن قَبْلُ قَاتَلَهُمُ اللهُ أَنَّى يُؤْفَكُوْنَ (৩০) اتَّخَذُوْا احْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِّن دُوْنِ اللهِ وَالْمَسِيْحَ ابْنَ مَرْيَمَ وَمَا أُمِرُوْا إِلاَّ لِيَعْبُدُوْا إِلَهًا وَاحِدًا لاَّ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ سُبْحَانَهُ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ} (৩১) سورة التوبة

অর্থাৎ, আর ইয়াহুদীরা বলে, ‘উযাইর আল্লাহর পুত্র’ এবং খ্রিষ্টানরা বলে, ‘মসীহ আল্লাহর পুত্র।’ এটা তাদের মুখের কথা মাত্র (বাস্তবে তা কিছুই নয়)। তারা তো তাদের মতই কথা বলছে, যারা তাদের পূর্বে অবিশ্বাস করেছে। আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন, তারা উল্টা কোন্ দিকে যাচ্ছে! তারা আল্লাহকে ছেড়ে নিজেদের পণ্ডিত-পুরোহিতদেরকে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে এবং মারয়্যামের পুত্র মসীহকেও। অথচ তাদেরকে শুধু এই আদেশ করা হয়েছিল যে, তারা শুধুমাত্র একক উপাস্যের উপাসনা করবে, যিনি ব্যতীত (সত্য) উপাস্য আর কেউই নেই, তিনি তাদের অংশী স্থির করা হতে পবিত্র। (তাওবাহ ঃ ৩০-৩১)

{لَّقَدْ كَفَرَ الَّذِيْنَ قَآلُوْا إِنَّ اللهَ هُوَ الْمَسِيْحُ ابْنُ مَرْيَمَ} (১৭) سورة المائدة و ৭২

অর্থাৎ, নিশ্চয় তারা অবিশ্বাসী (কাফের), যারা বলে, ‘মারয়্যাম-তনয় মসীহই আল্লাহ।’ (মায়িদাহ ঃ ১৭, ৭২)

দ্বীনী প্রশ্নোত্তর

দ্বীনী প্রশ্নোত্তর

Reviews (0)

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “দ্বীনী প্রশ্নোত্তর”

Your email address will not be published.

Shopping cart
Facebook Twitter Instagram YouTube WhatsApp WhatsApp

Sign in

No account yet?