নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন

৳ 60

নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন
লেখক: মোস্তাফিজুর রহমান আল মাদানী
প্রকাশনী: দারুল ইরফান
বিষয়: ইসলামি বিধি-বিধান ও মাসআলা-মাসায়েল
পৃষ্ঠা: ১৩৬,
কভার: পেপার ব্যাক
Description

নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন

নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন
প্রকাশনী : দারুল ইরফান
বিষয় : ইসলামি বিধি-বিধান ও মাসআলা-মাসায়েল
পৃষ্ঠা : ১৩৬,
কভার : পেপার ব্যাক
বইটি কিনতে কিল্ক করুন: নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন
আরো জানতে কিল্ক করুন: তাওহীদ পাবলিকেশন্স

নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন

রাসূল (স.) বলেছেন : পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ

নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন

সংকলন :

শাইখ মোস্তাফিজুর রহমান বিন্ আব্দুল আজিজ আল-মাদানী

সম্পাদনায় :

শাইখ আবদুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী

প্রকাশনায়ঃ

দারুল ইরফান

ঢাকা-বাংলাদেশ


নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন

সূচীপত্রঃ

বিষয়:

  • লেখকের কথা
  • পূর্বাভাষ পবিত্রতা
  • পবিত্রতার প্রকারভেদ
  • অদৃশ্য পবিত্রতা
  • দৃশ্যমান পবিত্রতা
  • পানি কর্তৃক পবিত্রতা
  • পানি সংক্রান্ত বিধান
  • পানির সাধারণ প্রকৃতি পানির প্রকারভেদ
  • পবিত্র ও পবিত্রতা বিধানকারী পানি
  • পবিত্র তবে পবিত্রতা বিধানকারী নয়
  • যা নাপাক ও ব্যবহার করা হারাম
  • মাটি কর্তৃক পবিত্রতা
  • নাপাকীর প্রকারভেদ ও তা থেকে পবিত্রতা অর্জন
  • ১. মানুষের মল-মূত্র
  • মল-মূত্র ত্যাগের শর’য়ী নিয়ম
  • শৌচাগারে প্রবেশের সময় যে দোয়া পড়তে হয়
  • শৌচাগার থেকে বের হওয়ার সময় যে দোয়া পড়তে হয় মল-মূত্র ত্যাগ সম্পৰ্কীয় মাসআলা
  • মল-মূত্র ত্যাগের সময় কিবলামুখী হওয়া অথবা কিবলাকে পেছন দেয়া জায়েয নয়
  • গোবর অথবা হাড় দিয়ে ইস্তিঞ্জা তথা মল-মূত্র পরিস্কার করা জায়েয নয়
  • পথে-ঘাটে, বৈঠকখানা অথবা ছায়াবিশিষ্ট গাছের তলায় মল- মূত্র ত্যাগ করা জায়েয নয়
  • ডান হাত দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা না জায়িয
  • ঢিলা-কুলুপ ব্যবহার করলে বেজোড় ব্যবহার করতে হয়
  • ঢিলা-কুলুপ ব্যবহার করলে কমপক্ষে তিনটি ব্যবহার করতে হয়
  • মল-মূত্র ত্যাগের সময় আপনাকে কেউ যেন দেখতে না পায়
  • ভালভাবে ইস্তিঞ্জা করতে হয় যাতে উভয় দ্বার পরিষ্কার হয়ে যায়
  • প্রস্রাব করার সময় কোন ব্যক্তি সালাম দিলে উত্তর দেওয়া যাবে না
  • গোসলখানায় প্রস্রাব করা নিষেধ
  • ওযু ও ইস্তিঞ্জার লোটা ভিন্ন হওয়া উচিত
  • মল-মূত্র ত্যাগের প্রয়োজন দেখা দিলে তা প্রথমে সেরে নিবে অতঃপর নামায আদায় করবে
  • মল-মূত্র ত্যাগের সময় সম্পূর্ণরূপে বসার প্রস্তুতি নিয়ে সতর খুলবে
  • স্থির পানিতে প্রস্রাব করা নিষেধ
  • ইস্তিঞ্জার পর হাত খানা ঘষে ধুয়ে নিবে
  • তুলনামূলক নরম ও নিচু স্থানে প্রস্রাব করবে প্রস্রাবের ছিটা থেকে বাঁচার কঠিন নির্দেশ
  • বিনা প্রয়োজনে বাটি বা পাত্রে প্রস্রাব করা নিষেধ
  • মুসলমানদের কবরস্থানে মল-মূত্র ত্যাগ করা নিষেধ মল-মূত্র থেকে পবিত্ৰতা
  • ভূমির পবিত্রতা
  • নাপাক কাপড়ের পবিত্রতা
  • শাড়ীর নিম্নাংশের পবিত্ৰতা
  • দুগ্ধপোষ্য শিশুর প্রস্রাব থেকে পবিত্রতা
  • নাপাক জুতোর পবিত্রতা
  • ২. কুকুরের উচ্ছিষ্ট
  • কুকুর কর্তৃক অপবিত্র থালা-বাসনের পবিত্রতা
  • ৩. প্রবাহিত রক্ত, শুকরের গোস্ত ও মৃত জন্তু
  • মৃত পশুর চামড়া সংক্রান্ত বিধান
  • 8. বীর্য
  • ৫. মযি
  • মযি বের হলে গোসল করতে হয় না
  • ৬. ওদি
  • মনি, মযি ও ওদির মধ্যে পার্থক্য
  • ৭. মহিলাদের ঋতুস্রাব ঋতুবতী সংক্রান্ত কিছু মাআলা
  • ঋতুবতী মহিলার সাথে মেলামেশা
  • ঋতুবতী মহিলার কুর’আন পাঠ
  • ঋতুবতী মহিলার নামায-রোযা
  • ৮. লিকোরিয়া
  • লিকোরিয়ায় গোসল ফরয হয় না
  • ৯. ইস্তিহাযা
  • ইস্তিহাযা সংক্রান্ত মাস্আলাসমূহ
  • ১০. নিফাস
  • নিফাস সংক্রান্ত বিধান
  • ১১. জাল্লালা (মল ভক্ষণকারী পশু)
  • ১২. ইঁদুর
  • ১৩. গোশত খাওয়া এমন যে কোন পশুর মল-মূত্র
  • ১৪. মদ
  • নামাযী ব্যক্তির নাপাকী থেকে পবিত্রতা
  • পবিত্রতা সংক্রান্ত বিশেষ সূত্র
  • সন্দেহ ঝেড়ে মুছে নিশ্চিত অতীতের দিকে প্রত্যাবর্তন
  • বিড়ালে মুখ দেয়া থালা-বাসন
  • প্রকৃতি সম্মত ক্রিয়াকলাপ
  • খতনা বা মুসলমানি করা
  • নাভির নিম্নাংশের লোম মুণ্ডন
  • বগলের লোম ছেঁড়া
  • নখ কাটা
  • মোছ কাটা
  • দাড়ি লম্বা করা
  • মিসওয়াক করা
  • মিসওয়াক করার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সময়
  • ঘুম থেকে জেগে
  • প্রত্যেক ওযুর সময়
  • প্রত্যেক নামাযের সময়
  • ঘরের ঢুকার সময়
  • মুখ দুর্গন্ধ, রুচি পরিবর্তন কিংবা দীর্ঘকাল পানাহারবশত দাঁত হলুদবর্ণ হলে
  • কুর’আন মাজীদ পড়ার সময়
  • আঙ্গুলের সন্ধিগুলো ভালভাবে ধৌত করা
  • ওযুর সময় নাকে পানি ব্যবহার করা
  • ইস্তিঞ্জা করা
  • ফিত্রাত বা প্রকৃতির প্রকারভেদ
  • ঘুম থেকে জেগে যা করতে হয়
  • উভয় হাত তিনবার ধোয়া
  • তিন বার নাক পরিষ্কার করা
  • কি জন্য ওযু করতে হয়
  • ওযু
  • যে কোন ধরণের নামায আদায়ের জন্য 
  • কা’বা শরীফ তাওয়াফের জন্য
  • কুর’আন মাজীদ স্পর্শ করার জন্য
  • ওযুর ফযিলত
  • নবী (স.) যেভাবে ওযু করতেন
  • ওযুর শুরুতে নিয়্যাত করতেন
  • বিসমিল্লাহ্ পড়ে ওযু শুরু করতেন ডান দিক থেকে ওযু শুরু করতেন
  • দু’ হাত কব্জি পর্যন্ত তিন বার ধুয়ে নিতেন আঙ্গুলগুলোর মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গা মলে নিতেন
  • তিন বার কুলি ও নাকে পানি দিতেন
  • তিন বার সমস্ত মুখমণ্ডল ধুয়ে নিতেন দাড়ি খেলাল করতেন
  • উভয় হাত কনুইসহ তিনবার ধুয়ে নিতেন সম্পূর্ণ মাথা একবার মাস্হ করতেন
  • উভয় পা টাখনুসহ তিনবার ধুয়ে নিতেন
  • ওযু শেষে নিচের পরিধেয় বস্ত্রে পানি ছিটিয়ে দিতেন
  • ওযু শেষে নিম্নোক্ত দো’আসমূহ পাঠ করতেন
  • ওযু শেষে দু’রাক’আত নামায পড়তেন
  • ওযুর অঙ্গগুলো দু’ একবারও ধোয়া যায়
  • ওযুর কোন অঙ্গ ধোয়ার সময় কেশ পরিমাণও শুষ্ক রাখা যাবে না
  • এক ওযু দিয়ে কয়েক ওয়াক্ত নায আদায় করা যায়
  • ওযুর ফরয ও রুকনসমূহ
  • সমস্ত মুখমণ্ডল ধৌত করা
  • কনুইসহ উভয় হাত ধৌত করা
  • সম্পূর্ণ মাথা মাস্হ করা
  • ১. সরাসরি সম্পূর্ণ মাথা মাস্হ করা
  • মাথায় দৃঢ়ভাবে বাঁধা পাগড়ীর উপর মাস্হ করা
  • পাগড়ী ও কপাল উভয়টি মাস্হ করা
  • উভয় পা টাখনুসহ ধৌত করা
  • ধোয়ার সময় অঙ্গগুলোর মাঝে পর্যায়ক্রম বজায় রাখা
  • ওযুর সময় অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর মাঝে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা
  • ওযুর শর্তসমূহ
  • ওযুকারী মুসলমান হতে হবে
  • জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে
  • ভালমন্দ ভেদাভেদজ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে
  • নিয়্যাত করতে হবে
  • শেষ পর্যন্ত নিয়্যাত বহাল থাকতে হবে
  • ওযু চলাকালীন ওযু ভঙ্গের কোন কারণ না পাওয়া যেতে হবে
  • ওযুর পূর্বে মলমূত্র ত্যাগ করলে ইস্তিঞ্জা করতে হবে
  • ওযুর পানি জায়েয পন্থায় সংগৃহীত হতে হবে
  • পানি প্রতিবন্ধক বস্তু অপসারণ করতে হবে
  • মা’যুরের জন্য নামাযের ওয়াক্ত উপস্থিত হতে হবে
  • ওযুর সুন্নাতসমূহ
  • মিসওয়াক করা
  • ওযু করার পূর্বে উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করা
  • অঙ্গগুলো ঘষেমলে ধৌত করা
  • প্রতিটি অঙ্গ তিন তিন বার ধৌত করা
  • ওযু শেষে দো’আ পড়া
  • ওযুশেষে দু’ রাক্‘আত (তাহিয়্যাতুল উযু) নামায আদায় করা
  • কোন বাড়াবাড়ি ব্যতীত স্বাভাবিক পন্থায় ভালভাবে ওযু করা
  • যে যে কারণে ওযু নষ্ট হয়
  • মল-মূত্রদ্বার দিয়ে কোন কিছু বের হলে
  • ঘুম বা অন্য যে কোন কারণে অচেতন হলে
  • আবরণ ছাড়া হাত দিয়ে লিঙ্গ বা গুহ্যদ্বার স্পর্শ করলে
  • উটের গোশত খেলে
  • মুরতাদ হয়ে গেলে
  • শরীর থেকে রক্ত বের হলে ওযু নষ্ট হয় না
  • নামাযের মধ্যে ওযু বিনষ্ট হলে কি করতে হবে
  • যখন ওযু করা মুস্তাহাব
  • যিকির ও দো‘আর জন্য ঘুমের পূর্বে
  • ওযু বিনষ্ট হলে
  • প্রতি ওয়াক্ত নামাযের জন্য
  • মৃত ব্যক্তিকে কবরমুখে বহন করার পর
  • বমি হলে
  • আগুনে পাকানো কোন খাবার খেলে
  • জুনুবী ব্যক্তি খাবার খেতে ইচ্ছে করলে
  • দ্বিতীয়বার সহবাসের জন্য
  • জুনুবী ব্যক্তি গোসল না করে শোয়ার ইচ্ছে করলে
  • মোজা, পাগড়ী ও ব্যাণ্ডেজের উপর মাস্হ
  • মোজার উপর মাস্হ করার বিধান
  • মোজা মাস্হ করার শর্তসমূহ
  • সম্পূর্ণ পবিত্রাবস্থায় মোজা পরিধান করতে হবে
  • শুধু ছোট অপবিত্রতার জন্য মোজা মাস্হ করবে
  • শুধু শরীয়ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাস্হ করতে হবে
  • মোজা জোড়া সম্পূর্ণরূপে পবিত্র হতে হবে
  • মোজা জোড়া টাখনু পর্যন্ত পদযুগল ঢেকে রাখতে হবে
  • জায়েয পন্থায় সংগৃহীত ও শরীয়ত সম্মত হতে হবে
  • মাস্হ’র সময়সীমা পূর্ণ হওয়ার পূর্বে মোজা খোলা যাবে না
  • যখন মাস্হ ভঙ্গ হয়
  • গোসল ফরয হলে
  • মাস্হ’র পর মোজা জোড়া খুলে ফেললে
  • মাস্হ’র নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে গেলে
  • মাস্হ করার পদ্ধতি
  • জাওরাবের উপর মাস্হ
  • পাগড়ীর উপর মাস্হ
  • ব্যাণ্ডেজের উপর মাস্হ
  • মোজা ও ব্যাণ্ডেজের উপর মাস্হ করার মধ্যে পার্থক্যসমূহ
  • ক্ষত বিক্ষত স্থানের শরয়ী বিধান
  • যখন গোসল করা ফরয
  • গোসল
  • উত্তেজনাসহ বীর্যপাত হলে
  • স্বপ্নদোষ
  • ঘুম থেকে জেগে পোশাকে আর্দ্রতা দেখলে কি করতে হয়
  • সে নিশ্চিত যে, এ আর্দ্রতা বীর্যের
  • সে নিশ্চিতভাবে জানে যে, এ আর্দ্রতা বীর্যের নয় 
  • স্ত্রী সহবাস করলে
  • জানাবাত বিষয়ক বিধান
  • জুনুবী মহিলার কেশ সংক্রান্ত মাস্আলা
  • জুনুবী ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
  • জুনুবী ব্যক্তির পানাহার, নিদ্রা ও পুনঃসহবাস
  • কোন কাফির মুসলমান হলে
  • যুদ্ধক্ষেত্রের শহীদ ব্যতীত যে কোন মুসলমান ইন্তেকাল করলে
  • মহিলাদের ঋতুস্রাব হলে
  • নিফাস হলে
  • জুনুবী অবস্থায় যা করা নিষেধ
  • নামায পড়া
  • কা’বা শরীফ তাওয়াফ করা
  • কুর’আন মাজীদ স্পর্শ করা
  • কুর’আন মাজীদ তিলাওয়াত করা মসজিদে অবস্থান করা
  • গোসলের শর্তসমূহ
  • নিয়্যাত করতে হবে
  • মুসলমান হতে হবে
  • জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে
  • ভালমন্দ ভেদাভেদ জ্ঞান থাকতে হবে
  • গোসল শেষ হওয়া পর্যন্ত পবিত্রতার্জনের নিয়্যাত স্থির থাকতে হবে
  • গোসল চলাকালীন তা ভঙ্গকারী কোন কারণ পাওয়া না যেতে হবে
  • পানি জায়েয পন্থায় সংগৃহীত হতে হবে
  • পানি পৌঁছতে বাধা এমন বস্তু অপসারিত হতে হবে
  • রাসূল হার) যেভাবে গোসল করতেন
  • প্রথমে নিয়্যাত করতেন
  • বিসমিল্লাহ্ বলে শুরু করতেন
  • উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত তিন বার ধুয়ে নিতেন
  • বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করতেন
  • বাম হাত ভালভাবে ঘষে বা ধুয়ে নিতেন নামাযের
  • ওযুর ন্যায় ওযু করতেন
  • হাতের আঙ্গুল দিয়ে চুল খেলাল করতেন
  • পুরো শরীরে পানি প্রবাহিত করতেন
  • পূর্বের জায়গা ছেড়ে একটু দূরে গিয়ে পা ধুয়ে নিতেন
  • খোলা জায়গায় গোসল করা নিষেধ
  • গোসলের ওযু দিয়েই নামায পড়া যায়
  • যখন গোসল করা মুস্তাহাব
  • জুমুআর দিন গোসল করা
  • হজ্জ বা উমরার ইহরামের জন্য গোসল করা
  • মক্কায় প্রবেশের পূর্বে গোসল করা
  • প্রতিবার সহবাসের জন্য গোসল করা
  • মৃতকে গোসল দেয়ার পর গোসল করা
  • মুশরিক ও কাফিরকে মাটিচাপা দিয়ে গোসল করা
  • মুস্তাহাযা মহিলার প্রতি নামাযের জন্য গোসল করা
  • অবচেতনার পর চেতনা ফিরে পেলে
  • কাফির ব্যক্তি মুসলমান হলে
  • দু’ ঈদের জন্য গোসল করা
  • ‘আরাফার দিন গোসল করা
  • তায়াম্মুমের বিধান
  • তায়াম্মুম
  • যখন তায়াম্মুম জায়েয
  • পানি না পেলে
  • ওযু বা গোসলের জন্য যথেষ্ট পানি না পেলে
  • পানি অত্যন্ত ঠাণ্ডা হলে
  • রোগাক্রান্ত বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে
  • পানি সংগ্রহে অপারগতা প্রমাণিত হলে
  • মজুদ পানি ব্যবহার করলে কঠিন পিপাসায় মৃত্যুর ভয় হলে
  • তায়াম্মুমের শর্তসমূহ
  • নিয়্যাত করতে হবে
  • তায়াম্মুমকারী মুসলমান হতে হবে জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে
  • ভালমন্দ ভেদাভেদ জ্ঞান রাখতে হবে
  • শেষ পর্যন্ত নিয়্যাত বহাল থাকতে হবে
  • তায়াম্মুম চলাকালীন ওযু বা গোসল ওয়াজিব হয় এমন কারণ না পাওয়া যেতে হবে
  • মাটি পবিত্র হতে হবে
  • পূর্বে মল-মূত্র ত্যাগ করে থাকলে ইস্তিঞ্জা করতে হবে
  • নবী (স) যেভাবে তায়াম্মুম করতেন
  • প্রথমে নিয়্যাত করতেন
  • বিমিল্লাহ্ বলে শুরু করতেন
  • উভয় হাত মাটিতে মেরে মুখমণ্ডল ও কব্জিসহ হাত মাস্হ করতেন
  • তায়াম্মুমের রুকনসমূহ
  • সুনির্দিষ্ট নিয়্যাত করা
  • সমস্ত মুখমণ্ডল একবার মাস্হ করা
  • উভয় হাত কব্জিসহ একবার মাস্হ করা
  • তায়াম্মুম ভঙ্গকারী কারণসমূহ
  • যে কারণগুলো ওযু বিনষ্ট করে তা তায়াম্মুমকেও বিনষ্ট করে
  • পানি পাওয়া গেলে
  • পানিও নেই মাটিও নেই তখন কি করতে হবে
  • তায়াম্মুম করে নামায পড়ার পর সময় থাকতে পানি পেলে

নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন

লেখকের কথা

সকল প্রশংসা আল্লাহ্ তা’আলার জন্য যিনি সর্বজগতের প্রভু । সালাত ও সালাম আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ স. ও তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবাগণ ও তা কিয়ামত আগত সকল অনুসারীদের উপর ।

মূলতঃ ধর্মীয় জ্ঞানার্জন সর্বোৎকৃষ্ট কর্ম ও সর্বাধিক কল্যাণকর কাজ। মু’আবিয়াহ্ (র) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন : রাসূল (সা) ইরশাদ করেনঃ অর্থাৎ আল্লাহ্ তা’আলা যার সাথে কল্যাণের ইচ্ছে করেন তাকেই তিনি ধর্মীয় জ্ঞান দান করেন। কারণ, সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানের উপরই একমাত্র পুণ্যময় কর্ম নির্ভরশীল । (বুখারী ৭১, ৩১১৬ মুসলিম ১০৩৭)

আল্লাহ্ তা’আলা নবী স. কে কল্যাণকর জ্ঞান ও পুণ্যময় কর্মসহ দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন । তিনি বলেন :অর্থাৎ তিনিই আল্লাহ্ যিনি রাসূল স. কে কল্যাণকর জ্ঞান ও পুণ্যময় কর্মসহ দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। (তাওবা: ৩৩)

আল্লাহ্ তা’আলা নবী স. কে তাঁর নিকট জ্ঞান বর্ধনের প্রার্থনা করতে আদেশ করেন । তিনি বলেন : অর্থাৎ আপনি বলুনঃ হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। (ত্বা-হাঃ ১১৪)

উক্ত আয়াত ধর্মীয় জ্ঞানার্জন সর্বোৎকৃষ্ট কর্ম হওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ। কারণ, আল্লাহ্ তা’আলা নবী স. কে শুধু জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যই দো’আ করতে আদেশ করেন। অন্য কিছুর জন্যে নয় ।

অন্য দিকে নবী স. শিক্ষার মজলিসকে জান্নাতের বাগান এবং আলেম সম্প্রদায়কে নবীগণের ওয়ারিশ বলে আখ্যায়িত করেছেন ।

এ কথা সবারই জানা যে, যে কোন কাজ করার পূর্বে সর্ব প্রথম সে কাজটি বিশুদ্ধরূপে কিভাবে সম্পাদন করা সম্ভব সে পদ্ধতি অবশ্যই জেনে নিতে হয়। নতুবা সে কাজটি সঠিকভাবে আদায় করা তদুপরি অভীষ্ট লক্ষ্যে উপনীত হওয়া কখনোই সম্ভবপর হয়না। যদি এ হয় সাধারণ কাজের কথা তা হলে কোন ইবাদাত যার উপর জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি ও জান্নাত লাভ নির্ভর করে তা কি করে ধর্মীয় জ্ঞান ছাড়া সঠিকভাবে সম্পাদন করা সম্ভবপর হবে। অবশ্যই তা অসম্ভব। অতএব এ দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষ তিন ভাগে বিভক্তঃ

১. যারা লাভজনক শিক্ষা ও পুণ্যময় কর্মের মাঝে সমন্বয় সাধন করতে পেরেছে। এরাই সত্যিকারার্থে নবী, চির সত্যবাদী, শহীদ ও পুণ্যবান লোকদের পথে উপনীত ।

২. যারা লাভজনক শিক্ষা গ্রহণ করেছে ঠিকই ; অথচ তদনুযায়ী আমল করছে না। এরাই হচ্ছে আল্লাহ্ তা’আলার রোষানলে পতিত ইহুদীদের একান্ত সহচর ।

৩. যারা সঠিক জ্ঞান বহির্ভূত আমল করে থাকে । এরাই হচ্ছে পথভ্রষ্ট খ্রিস্টানদের একান্ত অনুগামী ।

উক্ত দলগুলোর কথা আল্লাহ্ তা’আলা কোরআ’ন মাজীদে উল্লেখ করেন । আল্লাহ্ তা’আলা বলেন :

অর্থাৎ (হে আল্লাহ্!) আপনি আমাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন । তাদের পথ যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন। ওদের পথ নয় যাদের উপর আপনি রোষান্বিত ও যারা পথভ্রষ্ট। (ফাতিহা: ৬-৭)

সর্বজন শ্রদ্ধেয় যুগ সংস্কারক শায়েখ মুহাম্মাদ বিন্ আব্দুল ওয়াহ্হাব (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন :

অর্থাৎ উক্ত আয়াতে “মাগযুব ‘আলাইহিম” বলতে ও সকল আলেমদেরকে বুঝানো হচ্ছে যারা অর্জিত জ্ঞান মাফিক আমল করে না। আর “যাল্লীন” বলতে জ্ঞান বিহীন আমলকারীদেরকে বুঝানো হচ্ছে । প্রথম বৈশিষ্ট্য ইহুদীদের আর দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য খ্রিস্টানদের। অনেকেই যখন তাফসীর পড়ে বুঝতে পারেন যে, ইহুদীরাই হচ্ছে আল্লাহ্ তা’আলার রোষানলে পতিত আর খ্রিস্টানরাই হচ্ছে পথভ্রষ্ট তখন তারা মূর্খতাবশত এটাই ভাবেন যে, উক্ত বৈশিষ্ট্যদ্বয় শুধু ওদের মধ্যেই সীমিত ; অথচ তাদের এতটুকুও বোধোদয় হয় না যে, তাই যদি হতো তা হলে আল্লাহ্ তা’আলা কেন নামাযের প্রতিটি রাকাতে ওদের বৈশিষ্ট্যদ্বয় থেকে নিষ্কৃতি চাওয়া ফরয করে দিয়েছেন। সত্যিই তাদের এ রকম ধারণা আল্লাহ্ তা’আলার প্রতি চরম কুধারণার শামিল।

উক্ত আলোচনা থেকে যখন আমরা লাভজনক জ্ঞানের অপরিহার্যতা অনুধাবন করতে পেরেছি তখন আমাদের জানা উচিত যে, এ জাতীয় জ্ঞানের সঠিক সন্ধান কোথায় মেলা সম্ভব। সত্যিকারার্থে তা কোরআ’ন ও হাদীসের পরতে পরতে লুক্কায়িত রয়েছে। তবে তা একমাত্র সহযোগী জ্ঞান ও হক্কানী আলেম সম্প্রদায়ের মাধ্যমেই অর্জন করতে হয়।

তবে একটি কথা বিশেষভাবে স্মরণ রাখতে হবে যে, আমলের উপরই ইলমের প্রবৃদ্ধি নির্ভরশীল। যতই আমল করবে ততই জ্ঞান বাড়বে। বলা হয়, যে ব্যক্তি অর্জিত জ্ঞানানুযায়ী আমল করবে আল্লাহ তা’আলা তাকে এমন কিছু জ্ঞান দান করবেন যা সে পূর্বে অর্জন করেনি ।

আল্লাহ্ তা’আলা বলেন : অর্থাৎ তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। তিনি তোমাদেরকে জ্ঞান দান করবেন। তিনি সর্বজ্ঞ। (বাক্বারাহ : ২৮২)

আল্লাহ্ তা’আলা আমলকারী আলেমদের মর্যাদা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন : অর্থাৎ আল্লাহ্ তা’আলা মু’মিন ও জ্ঞানীদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। তিনি তোমাদের কর্ম সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত । (মুজাদালাহ : ১১)

আল্লাহ্ তা’আলা জ্ঞানী মু’মিনদের মর্যাদা বর্ণনা করে ক্ষান্ত হননি বরং তিনি আমাদের কর্ম সম্পর্কে তাঁর পূর্ণাবগতির সংবাদ দিয়ে এটাই বুঝাতে চাচ্ছেন যে, শুধু জ্ঞানই যথেষ্ট নয় বরং আমলও একান্ত প্রয়োজনীয় । আর তা জ্ঞান ও ঈমানের ঘনিষ্ঠ সংমিশ্রণের মাধ্যমেই একমাত্র সম্ভব ।

বিশুদ্ধ জ্ঞান সঞ্চার ও গ্রহণযোগ্য আমলের পথ সুগম করার মানসেই এ নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন পুস্তিকাটির উপস্থিতি। সাধ্যমত নির্ভুলতার প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়েছে এই নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন পুস্তিকাটিতে। এরপরও সচেতন পাঠকের চোখে নিশ্চিত কোন ভুল ধরা পড়লে সরাসরি লেখকের কর্ণগোচর করলে অধিক খুশি হবো। এই নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন পুস্তক পাঠে কারোর সামান্যটুকুও উপকার হলে তখনই আমার শ্রম সার্থক হবে।

সর্বশেষে জনাব আব্দুল হামীদ ফায়যী সাহেবের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে পারছিনে। যিনি অনেক ব্যস্ততার মাঝেও আমার আবেদনক্রমে নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন পাণ্ডুলিপিটি আদ্যপান্ত অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখেছেন এবং তাঁর অতীব মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেছেন। আল্লাহ্ তা’আলা তাঁকে এর উত্তম প্রতিদান দিন এবং তাঁর জ্ঞান আরো বাড়িয়ে দিন এ আশা রেখে এখানেই শেষ করলাম ।


নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন

পূর্বাভাষ

আল্লাহ্ তা’আলা ও তদীয় রাসূল এর উপর সুদৃঢ় বিশ্বাস স্থাপনের পরপরই ইসলামের দ্বিতীয় রুকন ও বিধান হচ্ছে নামায। একমাত্র নামাযই হচ্ছে মুসলিম ও অমুসলিমের মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য বিধানকারী । ইসলামের বিশেষ স্তম্ভ। সর্ব প্রথম বস্তু যা দিয়েই কিয়ামতের দিবসে বান্দাহর হিসাব-নিকাশ শুরু করা হবে। তা বিশুদ্ধ তথা গ্ৰহণযোগ্য প্রমাণিত হলে বান্দাহর সকল আমলই গ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণিত হবে। নতুবা নয়। নামাযের বিষয়টি কুর’আন মাজীদে অনেক জায়গায় অনেকভাবেই আলোচিত হয়েছে। কখনো নামায প্রতিষ্ঠার আদেশ দেয়া হয়েছে। আবার কখনো এর মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। তেমনিভাবে কখনো এটির সাওয়াব ও পুণ্যের বিবরণ দেয়া হয়েছে। আবার কখনো মানুষের জীবনে আকস্মিকভাবে আগতসমূহ বিপদাপদ সহজভাবে মেনে নেয়ার জন্য নামায ও ধৈর্যের সহযোগিতা নেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। এ জন্যই এ নামায একদা রাসূল এর অন্তরাত্মাকে সম্পূর্ণভাবে শীতল করে দিতো। তাই বলতে হয়, নামায নবীদের ভূষণ ও নেককারদের অলঙ্কার, বান্দাহ্ ও প্রভুর মাঝে গভীর সংযোগ স্থাপনকারী, অপরাধ ও অপকর্ম থেকে হেফাযতকারী।

তবে বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ অপবিত্রতা থেকে যথাসাধ্য পবিত্ৰতা অর্জন ছাড়া কোন নামাযই আল্লাহ্ তাআলার দরবারে গ্রহণযোগ্য নয় । এ কারণেই পবিত্রতার ব্যাপারটি ইসলামী শরীয়তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন

নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন

Reviews (0)

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “নবী (স.) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন”

Your email address will not be published.

Shopping cart
Facebook Twitter Instagram YouTube WhatsApp WhatsApp

Sign in

No account yet?