বারো মাসে তেরো পরব
বই: বারো মাসে তেরো পরব
প্রণয়নে: শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী
প্রকাশনী: তাওহীদ পাবলিকেশন্স
পৃষ্ঠা: ১১৯
কভার: পেপার ব্যাক
বইটি কিনতে কিল্ক করুন: বারো মাসে তেরো পরব
আরো জানতে কিল্ক করুন: তাওহীদ পাবলকিশেন্স
আমাদের দেশে বারো মাস জুড়ে বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান, বিশেষ ইবাদত ও দোয়ার আয়োজন করা হয়, ইসলামের দৃষ্টিতে যার অধিকাংশই বিদআত ও পরিত্যাজ্য। সেসব অনুষ্ঠানের কোনটি সুন্নত ও কোনটি বিদআত লেখক এ বইয়ে তার বিস্তারিত আলোচনা পেশ করেছেন।
বারো মাসে তেরো পরব
লেখক: মহানবীর আদর্শ জীবন
প্রণয়নে: শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী
প্রকাশনী: তাওহীদ পাবলিকেশন্স
সূচীপত্র
বিষয়:
ভূমিকা
ঈদ হল দ্বীনী বিষয়
বাড়তি পরব সৃষ্টির কারণ
বিজাতির ঈদ-পরবে সাদৃশ্য অবলম্বন করার বিভিন্ন ধরন
বার চাঁদের মনগড়া ফযীলত
মুহার্রাম মাস
সফর মাস
রবিউল আওয়াল
রবিউস সানী
জুমাদাল আওয়াল
জুমাদাস সানী
রজব
স্বালাতুর রাগায়েব
শা’বান
রমযান
শওয়াল
যুল-ক্বা’দাহ
যুল-হাজ্জাহ
মাসিক পরবসমূহ
আশূরা ও মহরম
আখেরী চাহার শোম্বা
নবীদিবস (মীলাদ)
কিয়াম প্ৰসঙ্গ
বিধেয় ও বাঞ্ছিত (কিয়াম) প্রত্যুত্থান
ফাতিহা দোয়াযদহম
কুণ্ডা
শবে মি’রাজ
শবেবরাত
শা’বান মাসের অধিকাংশ দিনের রোযা
শবে কদরের বিশেষ নামায
জুমআতুল বিদা
ঈদুল ফিতর
ঈদুল আযহা
জন্ম-সংক্রান্ত অনুষ্ঠান
গৰ্ভানুষ্ঠান
দু’কুড়ি দিন
মুখেভাত
আকীকা
জন্মদিন
মৃত্যু-সংক্রান্ত অনুষ্ঠান
মরা বাড়ির ভোজ
মৃত্যু-বার্ষিকী
চাহারম
চালসে (চেহলম)
ফাতিহা ও কুলখানী
শবীনা ও কুরআনখানী
উরস-উৎসব
ফাতিহা ইয়াযদহম
বিভিন্ন লৌকিকতার অনুষ্ঠান
মুসলমানি (খতনা) উৎসব
বিবাহে ক্ষীর খাওয়ানো উৎসব
ব্যাঙের বিয়ে
ঘর ইকামত
নিছক বিজাতীয় পরব
জয়ন্তী বা জুবিলী
স্বাধীনতা-দিবস
অলিম্পিক উৎসব
সহস্রাব্দ (মিলেনিয়াম) পালনের বিধান
মাতৃদিবস
বিশ্ব-ভালবাসা দিবস
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
মসজিদ সপ্তাহ
হানিমূন
হালখাতা বা নতুন খাতা
ফারেগী অনুষ্ঠান
নবান্ন উৎসব
পৌষপার্বণ
বিবিধ পরব
বারো মাসে তেরো পরব
নবীদিবস (মীলাদ)
‘মীলাদ’ বা ‘মাওলিদ’ মানে জন্মদিন বা জন্মক্ষণ। মহানবী ( এর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে অথবা নতুন বাড়ি, দোকান, কারখানা বা গাড়ি উদ্বোধনের সময় অথবা কোন মর্যাদাপূর্ণ দিন বা রাতে ভালো মনে করে সওয়াবের আশায় ‘মীলাদ’ বা ‘মৌলুদ’ পাঠ একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। মোরগের বাহনে আগত এই মীলাদ অনুষ্ঠান স্বার্থের খাতিরে বহু হুজুরেই পালন করে থাকেন। এক পাত গোশ্ত্-ভাত বা ২/৫টা বাতাসা বা মিষ্টির লোভে উপস্থিত হয় বহু নামাযী-বেনামাযী মানুষ। রাজনৈতিক কারদা লুটার জন্য দেশের অধিকাংশ মানুষের মন যোগাতে ঐ দিনকে সরকারী ছুটি বলে ঘোষণা করা হয়। কোন কোন দেশে তা পালনের জন্য অনেক প্রকার সাহায্য-সহযোগিতাও করা হয়। কিন্তু সে অনুষ্ঠানের ধর্মীয় স্বরূপ কি?
বারো মাসে তেরো পরব
মহান আল্লাহ আমাদের দ্বীন ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ করে দিয়েছেন তাঁর নবীর জীবদ্দশাতেই । মহান আল্লাহ বলেন,
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ
لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا
অর্থাৎ, আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ (নেয়ামত) সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের ধর্মরূপে মনোনীত করলাম । (সূরাহ মায়েদাহ ৩ আয়াত)
বারো মাসে তেরো পরব
আর মহানবী (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি আমাদের এ (দ্বীন) ব্যাপারে নতুন কিছু আবিষ্কার করে সে ব্যক্তির সে কাজ প্রত্যাখ্যাত।” (বুখারী ও মুসলিম)
বারো মাসে তেরো পরব
“যে ব্যক্তি এমন কোন কাজ করে যার উপর আমাদের কোন নির্দেশ নেই সে ব্যক্তির সে কাজ প্রত্যাখ্যাত ।” (মুসলিম)
বারো মাসে তেরো পরব
ইসলামে পালনীয় ঈদ হল মাত্র দুটি; ঈদুল ফিত্র ও ঈদুল আযহা। তৃতীয় কোন ঈদ ইসলামে নেই । মহানবী নবুয়তের ২৩ বছর কাল নিজের জীবনে কোন বছর নিজের জন্মদিন পালন করে যাননি। কোন সাহাবীকে তা পালন করার নির্দেশও দেননি। তাঁর পূর্ববর্তী নবীদের জন্ম- উপলক্ষ্যে কোন আনন্দ অথবা শোকপালন করে যাননি।
বারো মাসে তেরো পরব
তাঁর পরবর্তীকালে তাঁর চারজন খলীফা তাঁদের খেলাফতকালে রাষ্ট্রীয়ভাবে অথবা একাকী নবীদিবস পালন করে যাননি। অন্য কোন সাহাবী বা আত্মীয়ও তাঁর প্রতি এত ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা থাকা সত্ত্বেও তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আনন্দ অথবা মৃত্যুদিন উপলক্ষ্যে শোক পালন করেননি। তাদের পরেও কোন তাবেঈ অথবা তাঁদের কোন একনিষ্ঠ অনুসারী অথবা কোন ইমাম তাঁর জন্ম কিংবা মৃত্যুদিন পালন করার ইঙ্গিত দিয়ে যাননি । সুতরাং তা যে নব আবিষ্কৃত বিদআত, তা বলাই বাহুল্য ।
বারো মাসে তেরো পরব
তাছাড়া অধিকাংশ ‘ঈদে-মীলাদুন-নবী’র অনুষ্ঠানে যা ঘটে থাকে তা গর্হিত, বিদআত এবং শরীয়তের বিরুদ্ধাচরণ; এর অন্যথা নয়। পক্ষান্তরে তাঁর সাহাবাবৃন্দ, তাবেয়ীবর্গ, চার এই ঈদে মীলাদ রসূল(সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইমামগণ এবং শ্রেষ্ঠতম (প্রারম্ভিক) শতাব্দীগুলির অন্য কেউই পালন করে যাননি। আর এর সপক্ষে কোন শরয়ী প্রমাণও নেই । যদি তা পালন করা বিধেয় বা ভালো হত, তাহলে আমাদের আগে তাঁরাই তা পালন করে যেতেন। আর যখন তাঁরা তা পালন করে যাননি, তখন বোঝা গেল যে, অবশ্যই আমাদের তা পালন করা বিদআত ও হারাম ।
বারো মাসে তেরো পরব

বারো মাসে তেরো পরব
Reviews
There are no reviews yet.