মহিলাদের ঈদগাহে উপস্থিতি ও দুআয় যোগদান ওয়াজিব
প্রণেতা : শায়খ আব্দুল মান্নান বিন হিদায়াতুল্লাহ
পরিবেশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স ও দারুল কারার পাবলিকেশন্স
কভার : পেপারব্যাক কভার
মুদ্রিত মূল্য : ১২
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৬
বিষয় : মহিলাদের ঈদগাহে উপস্থিত হওয়ার গুরুত্ব
মহিলাদের ঈদগাহে যাওয়া!
মহিলাদের ঈদগাহে যাওয়া এবং সালাতে শরীক হওয়ার হুকুম সুন্নাত নয় বরং ওয়াজিব। কারন মহিলাদেরকে সাথে নিয়ে ঈদের নামায পড়তে যাওয়ার জন্য রাসূল ﷺ নির্দেশ প্রদান করেছেন। তিনি বলেন,
-‘কর্তব্য হল, পর্দানশীন কুমারী মেয়েরা; এমন কি ঋতুবতী মহিলারাও ঈদগাহে যাবে। তবে ঋতুবর্তী মহিলাগণ নামাযের স্থান থেকে দূরে অবস্থান করে কল্যাণময় কাজ এবং মুমিনদের দু’আতে শরীক হবে’। [১]
এ আমলটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এবং বাংলাদেশের কিছু কিছু এলাকায় প্রচলিত আছে। সুতরাং যে সব এলাকায় তা চালু নেই সেসব স্থানের সচেতন আলেম সমাজ এবং নেতৃস্থানীয় মুসলমানদের কর্তব্য হল, আল্লাহর রাসূলের সুন্নতকে পুনর্জীবিত করার লক্ষ্যে মহিলাদেরকেও ঈদের এই আনন্দঘন পরিবেশে অংশ গ্রহণের সুযোগ প্রদানের জন্য এগিয়ে আসা। তবে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, পর্দা হীনতা, উচ্ছৃঙ্খলতা ইত্যাদি যাতে না ঘটে তার জন্য আগে থেকে সকলকে সচেতন ও সাবধান করা জরুরী। মহিলাগণ যখন বাড়ি থেকে বের হবে সর্বাঙ্গ কাপড় দ্বারা আবৃত করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে। কেননা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: -‘যে মহিলা সুগন্ধি ব্যবহার করে অন্য মানুষের নিকট দিয়ে গমন করার ফলে তারা তার ঘ্রাণ পেল সে মহিলা ব্যভিচারিণী।[২]
যেসব লোক একথা বলেন যে, বর্তমান যুগ ফিতনার যুগ, মেয়েদের নিরাপত্তা নেই এসব কথা বলে মেয়েদেরকে ঈদের সালাত থেকে বঞ্চিত রাখছেন। তাদের এ অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। তারা যেন প্রকারান্তরে হাদীসের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। শেষ যামানার ফিতনা বাড়বে একথা নাবী ﷺ আমাদের চেয়ে বেশি অবগত থাকার পরও মহিলাদেরকে ঈদের সালাতে যেতে হুকুম দিয়েছেন।
মেয়েদের সালাতের ব্যবস্থা থাকলে, কোন উসিলা দিয়েই মেয়েদেরকে ঈদগাহে যেতে বারন করা জায়েজ হবে না। কারন: -মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নাবী ﷺ ঈদের দিনে ঋতুবতী এবং পর্দানশীন মহিলাদের বের করে আনার নির্দেশ দিলেন, যাতে তাঁরা মুসলমানদের জামা’আত ও দু’আয় শরীক হতে পারে। অবশ্য ঋতুবতী মহিলারা সালাত এর স্থান থেকে দূরে থাকবে। এক মহিলা বললেনঃ ইয়া রাসূল ﷺ! আমাদের কারো কারো ওড়না নেই। তিনি বললেন: তাঁর সাথীর উচিত তাঁকে নিজের ওড়না থেকে পরিয়ে দেওয়া।
আবদুল্লাহ ইবনু রাজা (রহঃ) সুত্রে উম্মে ‘আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এরুপ বলতে শুনেছি। [৩]
আর্থাৎ ঋতুবতী হওয়া, ওড়না না থাকা সত্তেও রাসুল (স:) ওড়না শেয়ার (ধার) করে হলেও ইদগাহে যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তাই সম্মানিত ঈদগাহ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ তারা যেন মেয়েদের জন্য পৃথক প্যান্ডেল এর ব্যবস্থা করেন। আর মা-বোনদের নিকটও অনুরোধ তারা যেন সম্পূর্ণ শরয়ী পর্দা করে অত্যন্ত শালীনভাবে পথ চলেন, ঈদগাহে যাওয়া আসা করেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সহীহ হাদীস অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন…!
Reviews
There are no reviews yet.