রিযিক্ব
শুধু খাদ্য বা জীবিকার নাম রিযিক্ব নয়।সম্মান মর্যাদা, ভালোবাসা, ইলম,ধন-সম্পদ সবই রিযিক্বের অন্তর্ভুক্ত। তবে মুখ্য হচ্ছে খাবার। অনেকেই মনে করেন ইসলাম মানে দারিদ্র্যতা। ইসলাম ঘর সংসার বিমুখ, দুনিয়াবিমুখ বৈরাগী জীবন যাপন।স্বয়ং মহান আল্লাহ মানুষকে রুযী অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশ
দিয়েছেন [মুলক,১৫]
অনেক ছাহাবী ধনী ছিলেন স্বয়ং রাসুল( সঃ) এর স্ত্রী খাদিজা (রাঃ) ধনী ছিলেন। ধনী হওয়া ইসলামের বিরোধী নয়। ❝অর্থের প্রয়োজনীয়তা কে মুহাম্মদ সাঃ কখনোই অস্বীকার করেন নি। তিনি মৃত্যুন্মুখ ব্যক্তির জন্য এক তৃতীয়াংশের বেশি অছিয়ত করা শুধু এই জন্য নিষেধ করেছেন যাতে তার উত্তরসূরীরা অর্থাভাবে না পড়ে❞.
শুধু তাই নয় হালাল পন্থায় অর্থ উপার্জন করা নেকীর কাজ। সেই অর্থ নিজের স্ত্রী পুত্রদের জন্য খরচ করা নেকির কাজ। এমনকি মানুষ তার স্ত্রীর মুখে যে খাবারের লোকমা তুলে দেয় সেটাও তার জন্য ছাদাক্বাহ। শুধু নিয়ত থাকা চাই।
ভগ্য ও রিযিক্ব: মৃত্যু যেভাবে মানুষকে খুঁজে মানুষের রিযিক্ব সেভাবেই মানুষকে খোঁজে। মানুষ তার নির্ধারিত রিযিক্ব ভোগ না করে মারা যাবে না। মৃত্যুর সময় যদি নিকটবর্তী হয় আর রিযিক্ব বাকী থাকে তাহলে মৃত্যুর পূর্বে সে তুলনামূলক বেশি খাবে। আর যদি রিজিক্ব শেষ হয়ে যায় হায়াত বাকী থাকে তাহলে মৃত্যুর পূর্বে তার খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, কমে যাবে।
”সন্তান জন্মের পূর্বই মায়ের পেটে সন্তানের রিযিক্ব লিপিবদ্ধ করা হয় [বুখারী,৬৫৯৪]
সবাই কেন ধনী নয়??
বিশ্ব সংসারে বৈচিত্র্য না থাকলে পৃথিবী অচল হয়ে যাবে সবাই যদি ধনী হয় তাহলে কাজ কে করবে?ধারিত্রর সচলতার জন্য বাধ্যতা মুলক বৈচিত্র্যতা থাকবে। আর এটা মহান আল্লাহর পরীক্ষা তার বান্দাদের জন্য।
অনুভূতি কথা ঃ
পৃথিবীতে কেউ সবসময় দুনিয়ায় পিছনে ছুটে তার রিযিক্বের জন্য আবার কেউ ইসলামের বিধান কে কষ্টকর মনে করে, কেও কেও হতাশ থাকে তার রিযিক্ব নিয়ে।এই সমস্যা অসাধরন ভাবে সমাধান করা হয়েছে রিযিক্ব বইটিতে। ❝রিযিক্ব”❞ বইটি পড়লে সবাই হতাাশ দুশ্চিন্তা থেকে রক্ষা পাবে ইনশাআল্লাহ। এককথায় ভাগ্য ও রিযিক্ব নিয়ে অসাধারণ একটা মোটিভেশনাল বই হলো ❝রিযিক্ব❞.

রিযিক্ব
Reviews
There are no reviews yet.