শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ

৳ 36

বই: শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ
লেখক: হাফিজুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন
প্রকাশনায়: তাওহীদ প্রকাশনী
বিষয়: বিবাহ ও সমাজ ও কুসংস্কার
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৯৬
কভার: পেপার ব্যাক

Description

শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ

বই: শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ
লেখক: হাফিজুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন
প্রকাশনায়: তাওহীদ প্রকাশনী
বিষয়: বিবাহ ও সমাজ ও কুসংস্কার
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৯৬
কভার: পেপার ব্যাক
বইটি কিনতে কিল্ক করুন: শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ
আরো জানতে কিল্ক করুন: তাওহীদ পাবলকিশেন্স

শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ

লেখক: হাফিজুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন
প্রকাশনায়: তাওহীদ প্রকাশনী

 

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ

ভূমিকা

الحمدُ للهِ وَحْدَهُ وَالصَّلَاةُ وَالصَّلَامُ عَلى مَنْ لَّا نَيَّ بَعْدَهُ وَعَلَى آلِهِ وَصَحَبِهِ وَمَنْ تَبِعَهُمْ بِإِحْسَانِ إِلَى يَوْمِ الدِّينَ وَبَعدُ

আল্লাহ্ তা’আলা মানুষকে সৃষ্টি করার সাথে সাথে তার জীবন ধারণের জন্য কিছু চাহিদা দিয়েছেন এবং চাহিদা মিটানোর পদ্ধতি ও দিয়েছেন। মানব জীবনে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ন্যায় জৈবিক চাহিদাও গুরুত্বপূর্ণ। এই চাহিদা পূরণের জন্য ইসলাম বিবাহের বিধান দিয়েছে। আল্লাহ্ তা’আলা পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম (আলাম-কে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। পরবর্তী বংশ বৃদ্ধির জন্য হাওয়া (রি-কে সৃষ্টি করে আদম (আলায়হিস)-এর সাথে বিবাহের ব্যবস্থা করেন। মানব জীবন প্রণালী পরিবর্তনের সাথে সাথে বিবাহের নিয়মেও পরিবর্তন ঘটেছে। অবশেষে শেষ নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) জাহেলী যুগের সকল কুসংস্কার দূর করে নারীদেরকে বিবাহের মাধ্যমে মর্যাদা দান করেছেন। কিন্তু কালের বিবর্তনে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর মুসলমানগণ বিবাহের ইসলামী নীতিকে কবর দিয়ে বিধর্মীদের রসম-রেওয়াজের তাবেদারী করছে। যা অত্র বইয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এ বইটি পাঠকের সামান্যতম উপকারে আসলে আমরা আমাদের শ্রম সার্থক মনে করব। বিজ্ঞ পাঠক মহলের কাছে সুচিন্তিত পরামর্শ কামনা করছি। বইটি প্রণয়নে যারা আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন এবং আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আল্লাহ্ তা’আলা তাদের সকলকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। বইটি প্রকাশে ভুল-ভ্রান্তি ও মুদ্রণ-ত্রুটি থাকা অসম্ভব নয়। (সহৃদয়) পাঠকগণ সে বিষয়ে অবগত করলে পরবর্তী সংস্করণে সংশোধনের আশাবাদ ব্যক্ত করছি। বইটি আমাদের সকলের জন্য পরকালীন পাথেয় হোক—এক কামনা করছি। পরিশেষে আমরা আল্লাহ্ তা’আলার নিকটে জান্নাতুল ফিরদাউস কামনা করছি এবং তিনি আমাদের এ প্রচেষ্টা কবুল করুন-আমীন!

 

শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ

প্রথম অধ্যায়

১. বিবাহের সংজ্ঞা :

বিবাহ হচ্ছে শরী‘আতের পবিত্র একটি বন্ধন, যার দ্বারা স্বামী-স্ত্রীর আপোসে একে অপরকে সম্ভোগ করা হালাল হয়ে যায়’।'( মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম আত্তুওয়াইজিরী, মুখতাছার আল-ফিকহুল ইসলামী, অনু: আবু আহমাদ সাইফুদ্দীন বেলাল মাদানী, ২য় খণ্ড ৪১১ পৃ. ‘বিবাহ’ অধ্যায় )

২. বিবাহের গুরুত্ব :

আল্লাহ্ তা’আলা পৃথিবীর সব কিছু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন,

وَمِنْ كُلِّ شَيْءٍ خَلَقْنَا زَوْجَيْنِ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ

আমি প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়, যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর’ (সূরা যারিয়াত ৫১ : ৪৯) এমনকি তিনি লতা-পাতা, গাছ- পালাও সৃষ্টি করেছেন । আল্লাহ তা’আলা বলেন,

سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنْفُسِهِمْ

وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ

পবিত্র সেই সত্তা যিনি জোড়া সৃষ্টি করেছেন প্রত্যেকটির যা উৎপন্ন করে যমীন, আর তাদের নিজেদের ভিতরেও আর সে সবেও যা তারা জানে না’ (সূরা ইয়াসীন ৩৬ : ৩৬) তেমনি আল্লাহ্ তা’আলা মানুষকে নারী- পুরুষে বিভক্ত করেছেন । আল্লাহ্ তা’আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوبًا

وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا

হে লোকসকল! আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত করেছি যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার’ (সূরা হুজরাত ৪৯ : ১৩)

 

শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلًا مِنْ قَبْلِكَ وَجَعَلْنَا لَهُمْ أَزْوَاجًا وَذُرِّيَّةً

‘তোমার পূর্বে আমরা অনেক রাসূল প্রেরণ করেছিলাম এবং তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দিয়েছিলাম’ (সূরা রা’দ ১৩ : ৩৮)। রাসূলুল্লাহ্ (আলাইহি)-এর স্ত্রীদের নিকট আগত তিন ব্যক্তির ঘটনা উল্লেখ্যযোগ্য । হাদীছে এসেছে,

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَقَالَ : ” لَكِنِّي أَنَا أَصَلَّ وَأَنَامُ، وَأَصُومُ وَأُفْطِرُ، وَأَتَزَوَّجُ النَّسَاءَ، فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي .

আনাস বিন মালিক(رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) (একদা) আল্লাহর স্তুতি ও প্রশংসা বর্ণনা করলেন, আর বললেন, আমি তো ছালাত আদায় করি, ঘুমাই; ছিয়াম পালন করি, আবার তা থেকে বিরতও থাকি মেয়েদেরকে বিবাহও করি (এসবই আমার আদর্শভুক্ত)। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত (জীবন-যাপন পদ্ধতি) হতে বিমুখ হবে সে আমার দলভুক্ত নয় ।

( ছহীহুল বুখারী হা. ৫০৬৩; ছহীহ মুসলিম হা. ৩৪৬৯; মুসনাদে আহমাদ হা ১৩৫৩৪; মিশকাত হা. ১৪৫; বুলুগুল মারাম হা. ৯৬৮)

 

শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ

অবিবাহিত থাকা নিষেধ:

বিবাহ না করে চিরকুমার ও নিঃসঙ্গ জীবন যাপনের অনুমতি ইসলামে নেই । হাদীছে এসেছে,

عَنْ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ يَقُولُ رَدَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونِ التَّبَتْلَ وَلَوْ أَذِنَ لَهُ لَاخْتَصَيْنَا

 

সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাছ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ওছমান ইবনু মাযউনকে নিঃসঙ্গ জীবন যাপনের অনুমতি দেননি। তিনি তাঁকে অনুমতি দিলে আমরা খাসি হয়ে যেতাম।

( ছহীহুল বুখারী হা. ৫০৭৩, ৫০৭৪ [আ:প্র: হা. ৪৭০০, ই:ফা: হা. ৪৭০৩]; ছহীহ মুসলিম হা. ৩৪৭০, ১৫৮৮; মিশকাত হা. ৩০৮১ ‘বিবাহ অধ্যায়’)

 

শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ

 অন্য হাদীছে এসেছে,

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ التَّبَتُلَ.

 

আয়েশা (رضي الله عنها)  বলেন, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করতে নিষেধ করেছেন’ ।’

(নাসাঈ হা. ৩২১৩; ছহীহুল বুখারী হা. ৫০৭৩, ৫০৭৪ [আ: প্র: হা. ৪৭০০, ই:ফা: হা. ৪৭০৩]; মিশকাত হা. ৩০৮১; ‘বিবাহ’ অধ্যায়)

কারণ, বিবাহের মাধ্যমে বংশের ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়। মানুষ তার জৈবিক চাহিদা বিবাহ ব্যতীতও মিটাতে পারে; অর্থাৎ যেনার মাধ্যমে। ইসলামে তা অবৈধ, হারাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) স্বীয় উম্মাতের ব্যাপারে যিনার ভয় প্রকাশ করেছেন।

হাদীছে এসেছে,

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ… إِنَّ أَخْوَفُ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمُ الزَّنَا وَالشَّهْوَةُ الْخَفيَّة

আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়েদ (رضي الله عنه) (পাখিমারার (আমি মানে) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ বলতে শুনেছি,…‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের উপর যে ব্যাপারে বেশি ভয় করি তা হচ্ছে যেনা ও গোপন প্রবৃত্তি’ ।”

(ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব হা. ২৩৯০ হাদীছ হাসান)

শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ

অন্য হাদীছে এসেছে,

عَنْ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : لا

تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَتَسَافَدُوا فِي الطُّرُقِ تَسَافُدَ الْحَمِيرِ قُلْتُ إِنَّ ذَلِكَ لَكَائِنْ قَالَ نَعَمْ لِيَكُونَنَّ

 

আবদুল্লাহ্ ইবনু আমর (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)বলেছেন, কিয়ামত ততদিন পর্যন্ত হবে না, যতদিন পর্যন্ত মানুষ গাধার মত রাস্তায় খোলা মাঠে যেনায় লিপ্ত না হচ্ছে। আমি বললাম, এমন ঘটনা কি ঘটতে পারে? রাসূলুল্লাহ্ (জেনাহার) বললেন, অবশ্যই অবশ্যই ঘটবে’।

 (সিলসিলা ছহীহাহ হা. ৪৮১; মুসনাদে বাযযার হা. ২৩৫৩ ছহীহ)

পক্ষান্তরে বিবাহের ব্যবস্থা না থাকলে বংশ ধারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। একে অপরের প্রতি দয়া-মায়া লোপ পাবে বা কমে যাবে, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ অল্প বয়সে মারা যাবে ।৪

 

 

শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ

৬. দরিদ্রতার কারণে বিবাহ না করা :

অনেক যুবক-যুবতীরা কেবলমাত্র অর্থাভাবে বা দরিদ্রতার কারণে স্ত্রী- সন্তান লালন-পালন না করতে পারার ভয়ে বিবাহ করে না। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে এ মনোভাব মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। কারণ, মানুষের রুজি-রোজগার কোন স্থায়ী ও অপরিবর্তনীয় ব্যাপার নয়। অথচ আল্লাহ্ তা’আলা বিবাহের কারণে দরিদ্রকে সম্পদশালী করে থাকেন। আল্লাহ

তা’আলা বলেন,

إِنْ يَكُونُوا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ

‘যদি তারা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ্ তার অনুগ্রহে তাদের সম্পদশালী করে দিবেন। বস্তুত আল্লাহ্ প্রশস্থতাসম্পন্ন সর্বজ্ঞ’ (সূরা নূর ২৪ : ৩২)। অর্থাৎ আল্লাহ তা’আলা বললেন, বিবাহ করলেই মানুষ আর্থিক দায়িত্বভারে পর্যুদস্ত হবে—এমন কোন কথা নেই, বরং উল্টোটারই সম্ভাবনা বেশি। আর তা হচ্ছে অধিক সন্তান হলে অনেক সময় আল্লাহ্ তা’আলা তার ধন-সম্পদ বাড়িয়ে দেন। আবূ বকর (رضي الله عنه) বলেন,

أطيعوا الله فيما أمركم به من النكاح، ما وعدكم من الغنى،

তোমরা বিবাহের ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলার আদেশ পালনে তাঁর আনুগত্য কর। তাহলে ধন-সম্পত্তি দানে তিনি যে ওয়াদা করেছেন তা তোমাদের জন্য পূরণ করবেন’।

(তাফসীরে ইবনে কাসীর ৬ষ্ট খণ্ড ৫১ পৃ., সূরা নুর ৩২ নং আয়াতের তাফসীর )

অতএব কোন মুসলিম যুবকেরই আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে অবিবাহিত কুমার জীবন-যাপনে প্রস্তুত হওয়া উচিত নয়। বরং আল্লাহ্র রিযক দাতা হওয়া এবং তাঁর আল্লাহর অফুরন্ত দয়া ও দানের উপর অবিচল ও বিশ্বাস থাকা উচিত । আল্লাহ তা’আলা বলেন,

وَمَا مِنْ دَابَّةٍ فِي الْأَرْضِ إِلَّا عَلَى اللهِ رِزْقُهَا

‘যমীনের উপর বিচরণশীল সব প্রাণীরই রিযকের ভার একান্তভাবে

আল্লাহর উপর’ (সূরা হুদ ১১ : ৬)। 

তিনি অন্যত্র বলেন,

وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لا يَحْتَسِبُ وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللهِ فَهُوَ حَسْبُهُ

‘আল্লাহ্ তাকে রিযক দান করবেন এমন সব উপায়ে যা সে ধারণা পর্যন্ত করতে পারেনি। আর বস্তুতই যে লোক আল্লাহর উপর ভরসা করে কাজ করবে, সে লোকের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট হবেন’ (সূরা তালাক ৬৫.: ৩)। তিনি অন্যত্র আরও বলেন,

وَإِنْ خِفْتُمْ عَيْلَةً فَسَوْفَ يُغْنِيكُمُ اللهُ مِنْ فَضْلِهِ إِنْ شَاءَ إِنَّ اللهَ

عَلِيمٌ حَكِيمٌ

‘তোমরা যদি দরিদ্রতার ভয় কর তাহলে জেনে রেখো, আল্লাহ্ তা’আলা অবশ্যই তাঁর অনুগ্রহে তোমাদের ধনী করে দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ বড়ই জ্ঞানী ও সুবিবেচক’ (সূরা তাওবাহ্ ৯ : ২৮)।

 

শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ

বস্তুত কোন গরীব লোক যদি বিবাহ করে, তবে কামাই-রোজগারে তার বিপুল উৎসাহ ও উদ্যম সৃষ্টি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। আর এ ব্যাপারে তার স্ত্রী তার উপর বোঝা না হয়ে বরং দরদী সাহায্যকারিণী হয়। আর সন্তান হলে অর্থোপার্যনের কাজে সাহায্যকারী হতে পারে। অনেক সময় স্ত্রীর ধনী নিকটাত্মীয়ের নিকট থেকে যথেষ্ট আর্থিক সাহায্য লাভও হতে পারে। সদিচ্ছার উপর ফলাফল নির্ভর করে। আল্লাহ তা’আলার কথার প্রতি যার বিশ্বাস ও আস্থার অভাব থাকে সে ছাড়া অপর কেউ দুর্ভোগে পড়তে পারে না। দৃঢ় বিশ্বাসই তাকে সফলতার পথে আল্লাহ্র সাহায্য লাভের উপযুক্ত করে দিবে । হাদীছে এসেছে,   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ ثَلاَثَةٌ حَقٌّ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ عَوْنُهُمُ الْمُكَاتَبُ الَّذِي يُرِيدُ الأَدَاءَ وَالنَّاكِحُ الَّذِي يُرِيدُ الْعَفَافَ وَالْمُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ‏

আবূ হুরায়রাহ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণীর লোকের উপর আল্লাহর সাহায্য অপরিহার্য হয়ে পড়ে—(১) যে দাস নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আদায় করে দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে চায়। (২) যে লোক বিবাহ করে নিজের নৈতিক পবিত্রতা রক্ষা করতে চায় । (৩) এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদে যেতে চায়’।

(তিরমিযী হা. ১৬৫৫; নাসাঈ হা. ৩২১৮; ইবনু মাযাহ হা. ২৫১৮; মিশকাত হা ৩০৮৯, হাদীছ হাসান)

 

শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ

 

শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ

শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ

Reviews (0)

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “শারঈ মানদণ্ডে বিবাহ ও সমাজে প্রচলিত কুপ্রথাসমূহ”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping cart
Facebook Twitter Instagram YouTube WhatsApp WhatsApp

Sign in

No account yet?